বর্তমান পৃথিবীতে সুন্দর করে কথা বলতে পারা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা গুলোর মধ্যে একটি। ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রেই যার গুরুত্ব অপরিসীম।আজকের কন্টেন্টে আমরা একটু বিস্তারিতভাবে শিখবো পয়েন্টগুলি।
সঠিক উচ্চারণ
সুন্দর ও সঠিক উচ্চারণ ভালো কথা বলার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই জন্যই, কবিতা আবৃত্তি, বক্তৃতা বা বিতর্ক প্রতিটি ক্ষেত্রে উচ্চারণের ওপর বিশেষ নম্বর থাকে।
শুদ্ধ উচ্চারণ করার প্রথম শর্ত হচ্ছে এই বিষয়ে অবগত হওয়া যে আপনার কোন কোন উচ্চারণ ভুল হচ্ছে। আমাদের অধিকাংশেরই বিভিন্ন ক্রিয়া পদ গুলোতে ভুল হয়। যেমন– অনেকে ‘আমি কাজটি করেছি‘ না বলে, ‘আমি কাজটি করছি‘ বলে, তার জন্য পুরো বাক্যটি সৌন্দর্য হারায়।
সঠিক উচ্চারণ শেখার জন্য উচ্চারণের বিভিন্ন বই পড়তে পারেন। পাশাপাশি ইন্টারনেটে অসংখ্য ভিডিও ও ট্রান্সক্রিপ্ট রয়েছে এই বিষয়ে। দুই-একটি নিয়ম শিখে, ধীরে ধীরে অভ্যাসে পরিণত করে নিজের জীবনে প্রয়োগ করতে পারলে তা আপনার কথা বলার ধরনকে পাল্টে দিতে পারে।
আত্মবিশ্বাসী হওয়া
যেকোন মানবিক অনুভূতিই খুব সংক্রামক। কোন একজনকে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত দেখলে, তার জন্য নিজের অজান্তে এক ধরনের সহানুভূতি তৈরি হয়। ঠিক তেমনি আত্মবিশ্বাসও খুবই সংক্রামক, যা দ্রুত একজন থেকে আরেকজনের কাছে ছড়িয়ে পরে।
আপনি নিজে কনফিডেন্ট ও হাসিখুশি থাকলে, আপনার সামনের মানুষগুলোর মাঝে তা ছড়িয়ে পরবে। অন্যদিকে আপনি নিজেই যদি নিজের উপর বিশ্বাস করতে না পারেন যে, আপনি সুন্দর করে কথা বলতে পারবেন তবে তা অন্যকে প্রভাবিত করতে ব্যর্থ হবে।
দৃষ্টি সংযোগ বা আই কন্টাক্ট
কারো সাথে কথা বলার সময় তার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজনের চোখের দিকে তাকালে, তার মনের অবস্থা অনেকটা বোঝা যায়। পাশাপাশি চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলে একজন মানুষের সাথে আরেকজনের গভীর সম্পৃক্তি তৈরি হওয়া সম্ভব।
আপনি যদি নির্দিষ্ট একজনের সাথে কথা বলেন, তাহলে তার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলুন। যাতে এটা কখনো মনে না হয় যে, আপনি সামনের মানুষটিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
আর যদি কোন মঞ্চে উপস্থাপনা বা বড় সমাগমে বক্তৃতা করেন, তখন একটানা নির্দিষ্ট কারো দিকে না তাকিয়ে বরং আলাদা আলাদা করে একেকবার সমাগমের একেক অংশের দিকে তাকিয়ে সবার মনোযোগ ধরে রাখার চেষ্টা করুন।
এক্ষেত্রে ছোট্ট একটা টিপস দিয়ে রাখি, আপনি যদি কারো চোখের দিকে তাকাতে অস্বস্তি বোধ করেন তাহলে আপনি সরাসরি তার চোখের দিকে না তাকিয়ে বরং কপালের মাঝ বরাবর, দুই ভুরুর মাঝখানের অংশটিতে তাকাতে পারেন। এতে করে সামনের ব্যক্তির মনে হবে যে আপনি তার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলছেন।