প্রয়োজনীয় সবকিছু লিখে রাখার অভ্যাস করুন এবং সবকিছুর শিডিউল করুন
মানুষের মনে রাখার ক্ষমতা সীমিত। এমনকি লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির মত জিনিয়াস প্রয়োজনীয় সবকিছু মনে রাখতে পারতেন না। তিনি সব সময়ে কাছে একটা নোটবুক রাখতেন, এবং ভালো কোনও আইডিয়া বা জরুরী কিছু মাথায় আসলে সাথে সাথে লিখে রাখতেন। সত্যি কথা বলতে পৃথিবীর প্রায় সব সফল মানুষেরই এই অভ্যাসটি ছিল।
নতুন আইডিয়া বা ভাবনা ছাড়াও, দিনের কাজগুলোকে গুছিয়ে লিখে রাখা উচিৎ। এতে করে কাজ গোছানো হয়। কোনটার পর কোনটা করতে হবে, কোনটা বেশি জরুরী – ইত্যাদি ব্যাপার লিখে রাখলে অনেক ভালোভাবে কাজ করা যায়।
হাতের কাছে একটি নোটবুক সব সময়ে রাখুন। একটি কাজের মধ্যে থাকার সময়ে যদি অন্য কিছু সম্পর্কে কোনও আইডিয়া আসে বা অন্য কাজের কথা মনে পড়ে যায় – তবে সাথে সাথে সেটা লিখে ফেলুন। এতে করে সেই চিন্তার কারণে আর কাজে ব্যাঘাত ঘটবে না। এবং আপনি পূর্ণ মনোযোগী হয়ে হাতের কাজটি করতে পারবেন।
এছাড়া, দিনের শুরুতে দিনের কাজগুলো শিডিউল করে ফেলুন। যদি আগের রাতে করতে পারেন, তবে আরও ভালো হয়। এভাবে সপ্তাহের ও মাসের কাজের একটা প্ল্যান রাখুন। সপ্তাহ বা মাসিক কাজের লিস্টে কখন কোনটা করবেন – সেটা না লিখলেও লিস্ট করুন। পরে প্রতিদিনের কাজের শিডিউলে সেগুলো প্রয়োজন মত যোগ করুন।
লিখে রাখার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, কোনও দরকারি জিনিস আপনি ভুলে যাবেন না। এবং কোন কাজটি করা জরুরী, এবং কোনটি কম জরুরী – সেটা স্পষ্টভাবে আলাদা করতে পারবেন। আপনার সব কাজই হবে গোছানো ও পরিপাটি।
আর্থিক সচেতনতা
আর্থিক ভাবে সচেতন হওয়াটা গোছানো জীবন এর একটি প্রধান শর্ত। রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড বইতে লেখক রবার্ট কিওসাকি বলেছেন, জীবনে শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য আর্থিক সচেতনতার কোনও বিকল্প নেই। টাকা কিভাবে আসছে, এবং কিভাবে খরচ হচ্ছে – এই হিসাব রাখা শুরু করলে দেখবেন, অনেক বাজে খরচ বাঁচাতে পারছেন। এবং বেঁচে যাওয়া টাকা বিনিয়োগ করে আরও টাকা আয় করতে পারছেন।
আর্থিক চাপ মাথায় থাকলে কোনও কাজেই মন দেয়া যায় না। ফলে গুছিয়ে কাজ করা যায় না। কাজেই টাকার চিন্তা যাতে মাথায় কম আসে, সেই কারণে সচেতনতার সাথে টাকার হিসেব রাখা জরুরী।
যদি ভাবেন কিভাবে এটা শুরু করা যায়, তবে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কোথায় কত টাকা খরচ করেছেন, সেটা দিনের শেষে লিখে রাখতে পারেন। এভাবে শুরু করলে দেখবেন আপনি দিনে দিনে অর্থনৈতিক ভাবে আরও সচেতন হয়ে উঠছেন। আপনার বাজে খরচ কমছে, এবং আপনার হাতে অনেক বাড়তি টাকা জমছে, যেগুলো আপনি লাভজনক কোনও কাজে লাগাতে পারবেন। ইমার্জেন্সির সময়েও আপনার হাতে টাকা থাকবে।
এই কাজটি করলে টাকার হিসেব রাখার পাশাপাশি আরও একটা লাভ হবে। দিনের শেষে প্রতিদিনের টাকার হিসেব মনে করতে গেলে কিছুদিনের মধ্যে আপনার স্মৃতিশক্তিরও অনেক উন্নতি হবে। এবং আপনি যে কোনও জিনিসই চট করে মনে করতে পারবেন।
এই কাজ দুইটি আমি গতমাসে করিনি,যার ফল আমি এইমাসে ছন্নছাড়া। আমি খুবই ফিল করছি এই দুইটা পয়েন্টকে। ইনশাআল্লাহ আবার শুরু করবো আজ থেকেই।