আমাদের আগের দুই পর্বে আমরা এই কন্টেন্ট নিয়ে জেনেছি,আজ আমরা এই কন্টেন্টের ৩য় পর্বে আরো দুইটি বিষয় নিয়ে জানতে চেষ্টা করবো।
কাজের জায়গায় বাড়তি জিনিস রাখবেন না
আপনার কাজের জায়গায় বাড়তি জিনিস যত কম থাকবে, আপনি ততই মনোযোগের সাথে কাজ করতে পারবেন।
মনে করুন, আপনি আপনার ডেস্কে বসে একটা এ্যাসাইনমেন্ট করছেন। সেই সময়ে আপনার চোখ গেল টেবিলের পাশে রাখা মাটির ব্যাংক এর দিকে। তারপর আপনার মাথায় চিন্তা ঢুকলো, এই মাটির ব্যাংকের টাকা আপনি একটা চ্যারিটিতে দিতে চেয়েছিলেন। এরপর মনে পড়বে গত ৫ দিন ধরে ব্যাংকে টাকা রাখা হয় না, কারণ খুচরা পয়সা পকেটে জমছে না। কারণ গত ৫ দিনে আপনি কাঁচা বাজারে যাননি। তারপর আপনার মনে পড়বে রান্নাঘরে মাত্র ৩টা পেঁয়াজ আছে, ডিপ ফ্রিজে রাখা মুরগীর বয়স ১৫ দিনের বেশি হয়ে গেছে, ওটা খেয়ে ফেলা দরকার। তারপর মাথায় আসবে দেশের পোল্ট্রি শিল্পের সম্ভাবনা নিয়ে বিরাট কোনও আইডিয়া। কিন্তু যেভাবে বার্ড ফ্লু হচ্ছে, তাতে কি পোল্ট্রি শিল্পকে বাঁচানো যাবে?
এতদূর পড়তে পড়তে নিশ্চই বিরক্ত হয়ে গেছেন? কিন্তু এমন চিন্তা করে সময় নষ্ট করাটা কিন্তু বিরক্তিকর নয়। আপনার কাজের জায়গায় থাকা অদরকারী জিনিসগুলো এভাবে কত সময় খেয়ে ফেলে – সচেতন ভাবে হিসাব রাখতে গেলে অবাক হয়ে যাবেন। অনেক সময়ে এই চিন্তার কারণেই আমরা সময়ের কাজ সময়ে শেষ করতে পারি না। যার জন্য দায়ী হয় কাজের জায়গায় রাখা ছোট একটা মাটির ব্যাংক বা শো পিস।
কাজের সময়ে মোবাইল ফোন দূরে রাখুন। দরকার হলে পাশের রুমে রেখে আসুন। এভাবে যদি কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারেন, তবে দেখবেন অনেক বেশি দ্রুত আর মনোযোগের সাথে গুছিয়ে কাজ করতে পারছেন।
জায়গার জিনিস জায়গায় রাখুন
আমার সাথে যেকারো বেঁধে যাবার একটা বড় কারন হলো- জায়গার জিনিস জায়গায় না রাখা, এই কাজটা আমি খুব যত্ন নিয়ে করার চেষ্টা করি।এর কারন হলো- যেকোন দরকারে যেন চোখ বুঝেও সব পেয়ে যেতে পারি।
প্রতিটি জিনিসের জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা ঠিক করুন। এবং সেগুলো নিয়ে কাজ করার পর আবার সেটা জায়গামত রেখে দিন। জায়গার জিনিস জায়গায় রাখার অভ্যাস করলে, এই অভ্যাস আপনাকে খুব সহজেই গোছানো মানুষে পরিনত করবে। এই অভ্যাস না থাকার কারণে, প্রয়োজনের সময়ে অনেক জিনিস খুঁজে পাওয়া যায় না। এর ফলে ছোটখাট ঝামেলা থেকে শুরু করে অনেক বড় বড় বিপদও হতে পারে। গোছানো মানুষের একটি প্রধান গুণই হলো, তারা জায়গার জিনিস জায়গায় রাখে।
এই অভ্যাস শুরু করার জন্য প্রতিদিন ১৫ মিনিট ব্যয় করতে পারেন। দিনের কাজ শেষে প্রতিদিন ১৫ মিনিট ধরে আপনার কাজের ও বাড়ির জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখুন। কোনও জিনিস তার জায়গা ছেড়ে অন্যকোথাও থাকলে, সেগুলো জায়গামত রাখুন।
১৫ মিনিট হয়ে গেলে গোছানো বন্ধ করুন। এভাবে কিছুদিন করার পর দেখবেন, ১৫ মিনিটের মধ্যে সব গোছানো না হলে আপনার নিজের মনের মধ্যেই খচখচ করবে। তখনই বুঝবেন এটা আপনার অভ্যাসের অংশ হয়ে গেছে। এরপর থেকে আপনার আর ঘড়ি ধরে করার দরকার হবে না। এমনিতেই আপনি সবকিছু গুছিয়ে রাখবেন।
আমিও আজ থেকে আমার অফিসের সব জিনিস গোছানোর পিছনে ১৫ মিনিট করে সময় দিব ইনশাআল্লাহ,গতকালের দুইটি পয়েন্ট মানতে শুরু করেছি আলহামদুলিলাহ।