আমি প্রায় সময়ই এই কথাটা বলি- যার কমিউনিটি যত শক্তিশালী, তার সকল কাজ করা তত সহজ তবে চ্যালেঞ্জিং।সহজ কারন- তারাই আপনার সম্পদ আর চ্যালেঞ্জিং কারন- কাজের কোয়ালিটি ঠিক রাখতে হয়।
ছবিতে যাদের দেখছেন তারা সকলেই বিসিএস ক্যাডার তবে আমার কাছে তাদের পরিচয় এইটা না।আমার কাছে তাদের পরিচয় হলো- এই মানূষগুলি ই-কমার্স ইন্ডাষ্ট্রি বলেন আর অনলাইন বিজনেস বলেন,এই টার্মটির প্রচারে কাজ করছেন।
কিভাবে?
দিদি (০৬-০৮ ব্যাচ) দেশের অন্যতম সেরা ভার্সিটি- খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এগ্রোটেকনোলজিতে লেখাপড়া শেষ করে, এখন পুরোপুরি উদ্যোক্তা।
ভালো ফ্যামিলি, ভাই ডক্টরেট করছেন আমেরিকাতে,হাসব্যান্ড হচ্ছেন- সয়েল সায়েনটিষ্ট, বাবা ছিলেন ব্যাংকার। অথচ নিজের পরিবারকে সময় দিতে এবং ছেলে ও মেয়েকে সময় দিতেই দিদি আজ পুরোপুরি ওয়ার্ক ফ্রম হোম মাদার।
নিজের ক্যারিয়ারকে বিসর্জন দিয়েছেন ফ্যামিলির জন্য,এটাই তো বড় ত্যাগ।আরো জেনে অবাক হবেন- দিদির একটি খাবারের পেজ আছে যার নাম- আস্বাদ।খুলনাতে এত ভালো চলা অবস্থায় তিনি সেই পেজের কাজিটাও অফ রেখেছেন শুধু ছেলেকে বাড়তি সময় দিতে,অথচ তিনি রান্না এইভাবে শিখেছিলেনই ছেলে-মেয়েকে বাইরের কাবার খাওয়াবেন না বলে।
দিনশেষে এমন মানুষগুলিকে আমরা হাইলাইট করিনা বলেই আমাদের অবস্থান এমন যে- আমরা আজও জেন্ডার নিয়ে ভেদাভেদ করি,আমরা এখনো এই কাজগুলির স্বীকৃতি দিতে কার্পন্য করি। এই মানূষগুলিই তো প্রকৃত ই-কমার্স ইন্ডাষ্ট্রির উন্নয়নে কাজ করছে।
ও হ্যাঁ- দিদি কিন্তু আমায় আবার বিরাট প্রশংসা করেনি কিংবা তেল ও দেন নি,আমি দিদির সাথে পরিচয়ে জেনেছিলাম- দিদির সম্পর্কে।আমাদের যশোরের মেয়ে।আর দিদির পেজে যেয়ে পেয়ে গেলাম এই মডেলদের।
তৈরি হোক এমন অনেক মানূষ,এগিয়ে যাক আমাদের ইন্ডাষ্ট্রি।