আমার আজকের পোষ্ট কে আমি দুইটি ভাগে বিভক্ত করেছি। প্রথম সেকশনে আমরা জানার চেষ্টা করবো
কীভাবে আরো সুন্দর করে ফেসবুকে নিজের প্রোফাইল সাজানো যায়। দ্বিতীয় সেকশনে আমরা জানবো
কীভাবে নিউজফিড নিজের পছন্দমত অপটিমাইজ করা যায়।
ফেসবুক একাউন্ট সাজানোর নিয়ম
আপনার ফেসবুক একাউন্ট আপনার প্রদত্ত তথ্যের মাধ্যমে আপডেটেড হয়।
আপনার প্রোফাইলই ফেসবুকে আপনার পরিচয় বহন করে।
চলুন জেনে নিই, কীভাবে সাজাবেন আপনার প্রোফাইল।
ফেসবুক প্রোফাইল পিকচার দেয়ার নিয়ম
একটি ফেসবুক একাউন্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল প্রোফাইল পিকচার।
আপনার একাউন্টের প্রোফাইল পিকচার আপনাকে একই নামের অসংখ্য একাউন্ট থেকে আলাদা করে।
এছাড়াও প্রোফাইলে হোক কিংবা কোনো গ্রুপে, আপনার করা পোস্টে আপনার পরিচয় বহন করে এই প্রোফাইল পিকচার।
এছাড়াও আপনি যখন কোনো পোস্ট এ লাইক দেন কিংবা কমেন্ট করেন, তখন
যে ব্যাক্তি পোস্ট করেছেন তার কাছে আপনার প্রোফাইল পিকচারযুক্ত নোটিফিকেশন প্রেরণ করা হয়।
প্রোফাইল পিকচার যে ফেসবুক একাউন্টের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা নিশ্চয়
উপরোক্ত আলোচনা থেকে বুঝতে পেরেছেন। তাই সবসময় আপনার সেরা ছবিটি প্রোফাইল পিকচার হিসেবে নির্বাচন করুন।
অন্তত ফুল, পাখি,লতাপাতা,কার্টুন বর্জন করুন।
ফেসবুক টাইমলাইন সাজানোর নিয়ম
ফেসবুকে যেকোনো প্রোফাইলের প্রোফাইল পিকচার কিংবা নামে ক্লিক করলে
উক্ত প্রোফাইলের টাইমলাইন এ এসে পড়বে। টাইম লাইনকে ওয়াল ও বলা হয়।
টাইমলাইনে মূলত উক্ত ব্যবহারকারী প্রদত্ত তথ্য এবং পোস্ট থাকে।
আপনার প্রোফাইলের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। টাইমলাইন হল আপনার প্ল-গ্রাউন্ড
যেখানে আপনি যা ইচ্ছা যুক্ত করতে পারেন, যা ইচ্ছা পোস্ট করতে পারবেন।
এটি অনেকটা আপনার রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসাবে কাজ করে। বর্তমানে আপনার করা
পোস্ট দ্বারা মানুষ আপনার মানসিকতাকে বিবেচনা করবে। সুতরাং, ফেসবুকের
পাশাপাশি ব্যাক্তিগত জীবনে টাইমলাইন সমানভাবে ভূমিকা পালন করে।
কম্পিউটার থেকে টাইমলাইনে প্রবেশ করলে বাম পাশে আপনার সম্পর্কে আপনার প্রদত্ত বিভিন্ন তথ্য প্রদর্শন করবে,
যা এবাউট সেকশন নামে পরিচিত। ডানপাশে আপনার করা বিভিন্ন পোস্ট প্রদর্শিত হবে।
মোবাইল থেকে টাইমলাইনে প্রবেশ করলে প্রথমে এবাউট এবং এর নিছে পোস্ট দেখতে পাবেন।
ফেসবুক এবাউট সাজানোর নিয়ম
এবাউট সেকশনকে একটি ছোটখাটো জীবনবৃতান্ত বলা চলে।
এখানে আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, চাকরি, বাসস্থান ইত্যাদি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ থাকে।সর্বা সঠিক তথ্য দিন।
নিউজ ফিড সাজানোর নিয়ম
ফেসবুকের মুল পেইজ টি নিউজ ফিড নামে পরিচিত।
অধিকাংশ ব্যবহারকারীগণ নিউজ ফিডেই তাদের ফেসবুকে কাটানো সময়ের বেশিরভাগ অংশ ব্যায় করেন।
তাই নিউজ ফিডের কন্টেন্ট উপর অনেকটাই নির্ভর করছে ব্যবহারকারীর ফেসবুক ব্যবহারের সার্বিক অভিজ্ঞতা।
তবে এই বিষয়টির নিয়ন্ত্রণ ব্যবহারকারীর হাতে সম্পূর্ণভাবে তুলে দিয়েছে ফেসবুক।
অর্থাৎ আপনার নিউজ ফিডে দেখানো সমস্ত কন্টেন্ট এর নিয়ন্ত্রক আপনি নিজেই।
১ম পর্বে এটির বিস্তারিত লিখেছিলাম।
ফেসবুক আনফলো সম্পর্কে আরও তথ্য
বেশ কিছুদিন ফেসবুক ব্যবহারের পর ফ্রেন্ডলিস্ট আর লাইক করা পেইজের সংখ্যা সময়ের সাথে সাথে বাড়তেই থাকে।
তবে প্রত্যেকটা ফেসবুক ফ্রেন্ড কিংবা পেজ এর পোস্ট যে আমাদের ভালো লাগে, তেমনটাও না।
মাঝেমধ্যে কিছু বন্ধুদের কিংবা কোনো পেজের করা পোস্ট ভালো না লাগাটা স্বাভাবিক।
তাই ফেসবুকে রয়েছে আনফলো অপশন। আনফলো অপশন ব্যবহার করলে
আপনি ফেসবুক ফ্রেন্ডের সাথে এড থাকবেন এবং পেজেও আপনার লাইক ঠিকই থাকবে।
তবে আনফলো করা ফ্রেন্ড কিংবা পেজের পোস্ট আপনার টাইমলাইনে আসবেনা।
তাই নিউজ ফিডকে জঞ্জালমুক্ত করতে আনফলো অপশনটি ব্যাবহার করতে পারেন।
ফেসবুক পোস্ট প্রায়োরিটি
আমদের সবারই এমন কিছু প্রিয় বন্ধু কিংবা ব্যাক্তিত্ব থাকে, যাদের পোস্ট আমরা মিস করতে চাইনা।
সে কারণে ফেসবুক পেজ এবং প্রোফাইলে “See First” নামে একটি অপশন রয়েছে। অপশনটি
যে প্রোফাইল বা পেজের জন্য চালু করবেন, উক্ত পেজ কিংবা প্রোফাইলের পোস্ট আপনার নিউজ ফিডের শীর্ষে প্রদর্শিত হবে।
ফেসবুক স্নুজ ফিচার
স্নুজ নামে একটি অপশন রয়েছে ফেসবুক প্রোফাইল, পেজ কিংবা গ্রুপের জন্য।
স্নুজ অপশনটি অনেকটা আনফলো করার মত, তবে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য।
সাধারণত কোনো একাউন্ট, কিংবা গ্রুপকে Snooze করলে ৩০ দিনের জন্য উক্ত একাউন্ট,
পেজ কিংবা গ্রুপের পোস্ট আপনার নিউজ ফিডে শো করবে না। মূলত অতিরিক্ত পোস্টদাতা
একাউন্ট, পেজ কিংবা গ্রুপের জন্য এই অপশনটি দারুণ কার্যকরী।
ফেসবুক ব্লক
ফেসবুকে কেউ আপনার প্রোফাইলে নেতিবাচক কমেন্ট করলে কিংবা ইনবক্সে অশোভনীয় কিছু বললে,
আপনি চাইলে তাদের ব্লক করতে পারেন। কোনো একাউন্ট কে Block করতে তার প্রোফাইলে গেলেই অপশনটি পাওয়া যাবে।
ফেসবুক রিপোর্ট
আমরা সবাই প্রতিদিনই একটি নির্দিষ্ট সময় ফেসবুকে কাটাই। প্ল্যাটফর্মটির ব্যবহারকারী হিসেবে আমাদেরই দায়িত্ব
প্ল্যাটফর্মটির উন্নতিকরণে ডেভলপারদের সাহায্য করা। তাই ফেসবুকের নিয়ম লংগন করে এমন কিছু দেখলেই
Report ফিচারটি ব্যবহার করা আমাদের সবারই দায়িত্ব। ফেসবুক কতৃপক্ষ আমাদের রিপোর্টটি খতিয়ে দেখে এর
বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এভাবে সবাই মিলে আমরা নিজেদের জন্য
একটি আদর্শ সোস্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গড়ে তুলতে পারি।