সঠিক পরিস্থিতি, সঠিক সময়, সঠিক বয়স বলে আসলে কিছুই নেই। যেদিন আমি/আপনি ত্যাগ করার জন্য কিংবা কঠোর পরিশ্রম করার জন্য প্রস্তুত সেইদিনটাই কিংবা সেই সময়টাই সঠিক সময়।
জীবনের যেকোন পরিস্থিতি যখন যেভাবে হাতের মুঠোয় এসে ধরা দিবে সেভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করে আনন্দের সাথে হাসিমুখে সেটাকে গ্রহন করে নিয়ে জীবনযাপন করার নামই হলো সত্যিকারের বুদ্ধিদীপ্ততার পরিচায়ক এবং সেটিই মুলত জীবন।
এটা হয়তো ঠিক যে এই চলার সময়েই আমাদের মাঝে থাকবে অনেক অপূর্নতা কিন্তু এই ছোট্ট সময়ের মধ্যে অপুর্নতার মাঝে চোখ বুলিয়ে নিজের শান্ত মনকে অশান্ত করে আসলে তো আমাদের সুখকে বিলীন করার কোন কারন নেই।এরচেয়ে বরং সেই অপুর্নতার পরিবর্তে পুর্নতার আগমনটুকু নাহয় আমরা একটা সময়ের হাতে ছেড়ে দিয়ে কাজে মনোনিবেশ করি।
ঠিক যেন শিকার ধরার আশায় শিকারীর অপেক্ষার মতই, যখন সঠিক সময় আসবে তখনই পূরণ করে নিবো আমার সকল চাহিদা।মজার ব্যাপার হলো চাহিদাকে দমিয়ে রাখতে পারার মধ্যে একটা বিশাল ক্ষমতা রয়েছে বরং বলা যেতে পারে- এই শব্দটিকে যতটা আমরা আমাদের প্রভুত্ব স্বীকার করাতে পারবো ততটাই সুখের সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাবে।
এই ছোট্ট সময়ে,এই পথচলাএ ফাঁকে লোকে অনেককিছুই বলবে এবং সেটাই স্বাভাবিক। লোকের কথা শুনে পিছন ফিরে তাকানো মানেই পিছিয়ে পড়া। তাই পিছিয়ে পড়াকে না বলতে হবে,কারন যারা পিছিয়ে পড়ে লোকের কথায় প্রভাবিত হয়ে তারা হেরে যায়।ক্ষুদ্র জীবনটা সীমালঙ্ঘন না করে যতটুকু পারা যায় উপভোগ করার মাঝেই রয়েছে জীবনের প্রকৃত সুখ।
সুখ তুমি কোথায়,হেতা নিহিত আমাতে তোমাতে,যার একান্ত বসবাস আমাদের মনে এবং প্রস্ফুটিত হয় কর্মের দ্বারা।