বিজনেস পেইজ ওপেন করার পরে মাত্রই পেইজের কাজ শেষ করিয়ে পেমেন্ট দেবার আগেই ৬৮ টা শাড়ির একটা বড় অর্ডার পেয়ে
Nadira Rahman Dipu আপুর মুখে দারুন হাসি।
অনেক ক্লায়েন্ট আসছে সেল ও হচ্ছে কিন্তু মনের মত না।
আবার অনেকেই ৩/৫ পিসের জিনিস চেয়ে হোলসেল দাম না পেয়ে রাগ দেখাচ্ছেন।
এদিকে
Mymuna Rose আপুর অনেক বেশি অর্ডার আর ডেলিভারির চাপে কোথাও কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন না।
সাথে এটা ও ভূলে যাচ্ছেন যে উনি কাষ্টমার রিভিউ ঠিক রাখতে গিয়ে নিজে ও কারো কাষ্টমার এটা ভূলেই যাচ্ছেন।
এমন একটা পরিবেশে হঠাত দৌড়ে এসে
Priyanka Basak বলে উঠলো আরে খেলা তো জমেই গেছে।
সাথে সাথে সবাই উঠে গেলো খেলার মাঠে শেষ দুই ওভারে কি করে ডি এস বি সেটা দেখার জন্য।
Ferdousi Akhter জানালেন সৌভিকের ক্রিকেট জ্ঞান টা দারুন এসব ম্যাচ একা বের করার ক্ষমতা তার রয়েছে।
সৌভিক: কিরে দোস্ত মন কেন খারাপ?
আফিফা: আরে বলিস না ব্যাবসা টা হবে না আমার আর।
সৌভিক- ওমা সেকি? কেন?
আফিফা: আরে একজন কুর্তির রিভিউ পোষ্ট দিয়েছে খারাপ ভাবে।
সৌভিক- ওহ এই ব্যাপার। হাসি ও এলো।
সৌভিক- আসলে ব্যাপার টা হাসির তাই।
দেখুন একটা রিভিউ, বিজনেস টাকে ব্রান্ড বানাতে অনেক বড় ভূমিকা রাখে।
কিন্তু তাই বলে শুধু ভালো রিভিউ যে পাবেন এমন টা আশা করা যায় না।
সৌভিক- হ্যাঁ আপু একটা উদাহরন দিই আপনাকে।
ক্লাসে আমার লেকচারের ফ্যান ৯০-৯৮% এর মধ্যেই আমি জানি। সংখ্যাটা ৮০-৯০% এর কম না।
তাই বলে কি আমার খারাপ লাগে?
একসময় লাগতো, কিন্তু এখন আস্তে আস্তে আমি এর পিছনের কারন টা বুঝে গেছি।
সৌভিক- ধর আমি জয়েন করার পর থেকেই আমার ক্লাস নিয়ে সবার মাঝে উন্মাদনা দেখতাম।
কিন্তু দুই এক জন বাইরে গিয়ে দেখি আমায় নিয়ে নানান কথা বলে, লাইক- রাগ বেশি, কড়া টিচার, আর মেয়েরা আরো বলে ভাব নিয়ে চলে, কথা বলে না ক্লাসের বাইরে কথা বলা যায় না। নানান রকম।
সৌভিক- আমি আবিষ্কার করলাম ঐ নেগেটিভ রিভিউ দেয়া মানুষ গুলি ও আমার সানিধ্যে আসতে চাই।
সৌভিক- শোনো, তুমি যদি তোমার পন্য নিয়ে সন্তুষ্ট থাকো আর বিবেক যদি বলে যে তুমি তোমার সর্বোচ্চ টাই করেছো তাহলে তুমিই সঠিক।
নেগেটিভ রিভিউ এর কিছু না জানা কারন-
তোমার প্রোডাক্টের সবাই সুনাম করছে এটা একটা চক্রের সহ্য না হওয়া।
তারা ক্লায়েন্ট সেজে পন্য নিবে এবং তোমার পন্যের বাজে রিভিউ দিয়ে তোমার ক্ষতি করতে চাইবে।
তোমার পন্য ভালো এবং তার রিভিউ এত টায় ভালো যে আসলে সবার কমেন্ট বা রিভিউ তে রিপ্লাই দেবার মত সময় ও পাচ্ছো না।
তাই সেই ক্ষেত্রে কিছু মানুষ চিন্তা করে নেগেটিভ লিখি তাতে যদি একটু নজরে আসা যায়।
তোমার দৃষ্টিতে আসতে চাওয়া, ব্যাপার টা হলো।তোমার দেয়া ছবিতে অনেক।লাভ রিয়াক্ট কিন্তু একটা হা হা।
তুমি কিন্তু হা হা দেয়া লোক টাকে খুঁজবে,সব লাভ দেয়া মানুষ কে খুঁজবে না।
একের ভিতরে অনেক আশা করা, কিছু ক্লায়েন্ট তোমার কাছ থেকে সাপোজ একটা লগো বানাতে চাই কিন্তু সে আরো ১০ টা লগোর কম্বিনেশন চাই।
এমন ক্লায়েন্ট সন্তুষ্ট হবে না।
আর তুমি পারবে ও না তাকে সন্তুষ্ট করতে।
স্পেশাল কাউকে পচিয়ে নিজেকে চেনাতে চাওয়া।
এই গুলি হলো বিহাইন্ড দ্যা সিন।
তাই একটা নেগেটিভ রিভিউ নিয়ে মন খারাপ করা যাবে না।
প্রভাসের ৩০০ কোটির সিনেমার রিভিউ ও নেগেটিভ আসে, শাহরুখের দিল ওয়ালে দুল হানিয়া সবার পছন্দের তালিকায় শীর্ষ তিনে নাই।
তাই বলে ঐ গুলা কিন্তু ,এই বলেই সৌভিক বললো- সাবরিন আপুকে কেক আনতে বলেছিলাম এনেছো?
তিলোত্তমা -সব রেডি আছে দোস্ত।
সৌভিক: আমরা আড্ডায় এমন খেতে পছন্দ করি।