পজিটিভ চিন্তা কিভাবে সাফল্য নিয়ে আসে 

আপনি যদি কোনওকিছু অর্জন করতে চান, তবে আপনাকে প্রথমে বিশ্বাস করতে হবে যে আপনি তা অর্জন করতে পারবেন।
যদি এই মূহুর্তে তা অর্জন করার দক্ষতা বা অবস্থা নাও থাকে – তবুও যদি বিশ্বাস করেন –
তাহলে আপনার দ্বারা তা অর্জন করা সম্ভব। কারণ বিশ্বাস থেকে আসে চেষ্টা, এবং চেষ্টা থেকে আসে অর্জন।
আপনি যদি বিশ্বাস করেন যে, আপনি পারবেন – বার বার ব্যর্থ হয়েও আপনি হাল ছাড়বেন
না – ফলে ভুল ও ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিতে নিতে একটা সময়ে আপনি সফল হবেন।
কারণ এক পর্যায়ে ভুল করতে করতে আর সেই ভুল হবে না। শুধু বিশ্বাস হারানো যাবে না।
সব সময়ে পজিটিভ থাকতে হবে যে আপনি পারবেন। হাল না ছেড়ে চেষ্টা করে যেতে হবে।
অন্য দিকে আপনি যদি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন – অন্য কথায় নেগেটিভ চিন্তা করতে শুরু
করেন – তবে আপনি চেষ্টা করাও ছেড়ে দেবেন। এরফলে আপনি চূড়ান্ত ভাবে ব্যর্থ হবেন।
নেপোলিয়ন হিল বলেছেন, সাফল্যের জন্য যদি মানুষের একটি মাত্র চারিত্রিক বৈশিষ্টকে ক্রেডিট দিতে হয়, তা হবে পজিটিভ চিন্তা করার ক্ষমতা।
হেনরি ফোর্ড এর কথাই ধরা যাক, তাঁর ইঞ্জিনিয়াররা বলেছিলেন যে গাড়ির জন্য
যে অত্যাধুনিক “V8” ইঞ্জিন তিনি তৈরী করতে চাচ্ছেন– তা করা সম্ভব নয়। এটা
কেউ পারবে না। কিন্তু ফোর্ড বিশ্বাস করতেন যে, আইডিয়া যখন এসেছে –
সেটা বাস্তবায়ন করা অসম্ভব হতে পারে না। শেষ পর্যন্ত ঠিকই ফোর্ড সেই ইঞ্জিন তৈরী করে দেখিয়েছিলেন – যা আধুনিক মোটর গাড়িকে এক নতুন ক্ষমতা দিয়েছিল।
যাদের মাঝে পি.এম.এ (পজিটিভ মেন্টাল এ্যাটিচুড) আছে, তারা ব্যর্থতাকে ভয় পায় না। যতবারই ব্যর্থ হোক, তারা সফল হওয়ার আগ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যায়। কারণ তারা বিশ্বাস করে, তারা যা করতে যাচ্ছে – তা অবশ্যই সম্ভব। তারা সব সময়ে শিখতে থাকে, প্রতিটি ভুল থেকে নিজেদের আরও শক্তিশালী করে আবার চেষ্টা করে। যার ফলে শেষ পর্যন্ত তারা সফল হয়েই ছাড়ে।
পজিটিভ চিন্তা করা মানুষরা সাময়িক ব্যর্থতাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখে। সাধারণ মানুষ যখন ব্যর্থতাকে শেষ হিসেবে দেখে, পজিটিভ চিন্তা করা (পি.এম.এ) মানুষরা প্রতিটি ব্যর্থতা ও কঠিন পরিস্থিতিকে অন্য ভাবে দেখেন। যে কোনও কঠিন পরিস্থিতিতে পড়লে তাঁরা হতাশ হওয়ার বদলে চ্যালেঞ্জ অনুভব করেন। এবং নিজেকে আরও একটু দক্ষ ও শক্তিশালী করার সুযোগ হিসেবে দেখেন।
ব্যর্থতা বা কঠিন সময়ে তাঁরা হাল ছেড়ে দেয়ার বদলে তাঁরা চেষ্টার পরিমান বাড়িয়ে দেন। নিজের দুর্বলতা খুঁজে বের করে সেগুলোকে কাটানোর চেষ্টা করেন। অন্যরা যেখানে কোনও আশা দেখতে না পেয়ে পিছিয়ে যায়, পজিটিভ চিন্তা করা মানুষরা এগিয়ে গিয়ে অন্যদের আশা করার সাহস যোগান। এই কারণেই অন্যরা এদের নেতা হিসেবে মেনে নেয়। এবং সাফল্যের বেশিরভাগ ক্রেডিট এদের ভাগেই পড়ে।
প্রশ্ন হলো সব সময় পজিটিভ থাকবো কিভাবে? বা পজিটিভ থাকার উপায় গুলিই বা কি?
এগুলি নিয়ে লিখবো ইনশাআল্লাহ আগামী পর্বে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *