আপনার পন্য বা সেবার দাম নির্ধারণ করা ব্যবসার একটি দারুন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। আপনি যদি একদম নতুন বিজনেস আইডিয়া নিয়ে নামেন, অথবা প্রচলিত ব্যবসাই নতুন ভাবে করতে চান, তাহলে পন্য বা সেবার দাম বা মূল্য হতে পারে আপনার সবচেয়ে বড় অস্ত্র। আবার এই মূল্য ঠিক করায় ভুল হলে নতুন বিজনেস এর বারোটা বেজে যেতে পারে।
মূল্যের সাথে আপনার পন্য ও সেবার মান অবশ্যই মিলতে হবে – অথবা দামের চেয়েও পন্যের মান ভালো হতে পারে। তবে ভুল করেও পন্য ও সেবার মানের চেয়ে মূল্য বেশি রাখা যাবে না। তাহলেই শেষ।
আপনার পন্য বা সেবা কি দাম দেখে কিনছে? নাকি মান?
আপনার পন্য কি দাম নাকি মান, কোন তা দেখে ক্রেতা কিনছে সেটা আগে যাচাই করুন।
অনেক সময়ে প্রচলিত বাজার মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে ভালো পন্য দেয়া একটি নতুন বিজনেস আইডিয়াকে বাজারে জনপ্রিয় করে তোলে। অনেক সময়ে লস দিয়েও বাজার ধরার জন্য এই কাজটি করা হয়। কিন্তু অনেক সময়েই দেখা যায় মূল্য বাড়ানোর পর পন্যের বিক্রি কমে গেছে। ক্রেতারা যদি শুধু কম দাম দেখেই আপনার পন্য বা সেবা কেনে, তবে কোনওভাবেই আপনি দাম বাড়াতে পারবেন না। তা করতে হলে আপনার পন্য বা সেবার মাঝে এমন কিছু দিতে হবে, যা অন্যরা দিতে পারছে না, অথবা দিচ্ছে না।
টার্গেট কাষ্টমার নোটিশ করে নিন আগেই – পন্য বা সেবার দাম নির্ধারনের সময়ে অবশ্যই আপনার টার্গেট কাস্টমারদের সামর্থ্য, সংস্কৃতি, অভ্যাস ইত্যাদি ভালোভাবে বিবেচনা করতে হবে। তাদের অভ্যাস বা সংস্কৃতি যদি হয় কম দামে পন্য কেনা – তবে পন্য বা সেবা বাজারের সেরা হলেও তারা আপনার কাছ থেকে বেশি দামে কিনবে না।
অন্যদিকে, কিছু ক্রেতা দামের দিকে তাকায় না। তারা সবচেয়ে বেশি দামে সবচেয়ে ভালো জিনিসটা কিনতে চায়। এরা যদি আপনার টার্গেট কাস্টোমার হয়, তবে সবচেয়ে ভালো পন্য বা সেবাটি দিয়ে তাদের জন্য ভালো একটি মূল্য নির্ধারণ করতে পারেন।
নিজের পরিচিতি কি হিসাবে চান – আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি বাজারে কি হিসেবে পরিচিতি চান। সবচেয়ে কম দামে ভালো পন্য, বড় ব্র্যান্ড যারা বেশি দামে সবচেয়ে ভালোটি দেয়, নাকি অন্যকিছু?
এর বাইরে, সফল প্রতিযোগীদের দিকে নজর রাখুন – তারা কিভাবে দাম ঠিক করছে। তাদের পন্য ও সেবার সাথে নিজেরটা মিলিয়ে দেখুন।