পারসোনাল ব্রান্ডিং এর ভুল গুলি- শেষ পর্ব

 
❌ প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের এড়িয়ে চলা-
নতুন পার্সোনাল ব্র্যান্ড অনেক সময় মানুষের নজরে পড়ে না। তাই, অনলাইনে সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তির মাধ্যমে এক্সপোজার পেলে ব্যপারটা অনেক সহজ হয়ে যায়। তাই কারো কাছে এক্সপোজার চাইতে নিজেকে ছোট মনে করার কিছু নেই। জীবনে বড় হতে হলে বিভিন্ন মানুষের সাহায্য দরকার হবে, এটাই স্বাভাবিক।
❌শুধু অন্যদের লেখনী শেয়ার করা
অন্যের লেখনী নিজের নামে চালিয়ে দেয়া যে অন্যায় তা তো আমরা সবাই জানি। কিন্তু অন্যের লেখা শেয়ার দেয়ার বেলায়ও সতর্ক থাকতে হবে।
মাঝে মাঝে অন্যদের পোস্ট শেয়ার করা স্বাভাবিক কিন্তু তা যেন নিজের পোস্টের চেয়ে বেশি না হয়। এতে মানুষ ধরেই নিবে যে আপনার নিজের কোনো মতামত নেই বা আপনার মতামত তুলে ধরার মতো স্কিল আপনার মাঝে নেই। অন্যের লেখা বার বার শেয়ারের মাধ্যমে আপনি অজান্তেই আরেকজনের ব্র্যান্ডিং করে দিচ্ছেন।
কেউ কেউ তো সব লেখায় চুরি করে চলেন।
❌ পোস্ট করতে না চাওয়া
অনেকের একটা ভুল ধারণা যে, যত কম পোস্ট, যত বেশি ব্যক্তিত্ব ফুটে ওঠে আর ঘন ঘন পোস্ট করলে তা আপনার অডিয়েন্সের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু, একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর পোস্ট না করলে মানুষ আপনাকে মনে রাখবে না। চেষ্টা করবেন বিভিন্ন সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে কথা বলতে। তবে তা যেন বেশি সমালোচিত না হয়।
❌ ফলোয়ারের কোয়ালিটির থেকে কোয়ান্টিটিতে বেশি গুরুত্ব দেয়া
ধরুন আপনার ১০,০০০ ফলোয়ার আছে কিন্তু তারা আপনার পোস্ট পড়েও দেখে না। এতে করে আপনার অনেক ফলোয়ার থাকলেও পার্সোনাল ব্র্যান্ড বিস্তৃত হচ্ছে না। তাই এমন ভাবে ফলোয়ার অর্জন করতে হবে যাতে তারা আসলেই আপনার পার্সোনাল ব্র্যান্ড এর ব্যপারে আগ্রহী হয়।
ধরুন, আপনি একজন ফোটোগ্রাফার, এর পাশাপাশি টুকটাক কবিতাও পছন্দ করেন। এখন আপনি ফেসবুকে একটা কবিতার গ্রুপে বেশ পোস্ট আর কমেন্ট করেন। এখন আপনার ফলোয়ারও বেশিরভাগই ঐ গ্রুপ থেকে আসা। এদিকে দিন দিন ফলোয়ারের সংখ্যা বাড়লেও, আপনার পোস্টে রিচ কমে যাচ্ছে। কারণ কবিপ্রেমী মানুষগুলোর স্থিরচিত্রে তেমন আগ্রহ নেই। এমতাবস্থায় হাজারখানেক ফলোয়ার থাকলেও আপনার কিন্তু কোনো লাভ হচ্ছে না।
একারণে, আপনার কাজের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এমন বিভিন্ন গ্রুপে সক্রিয় থাকতে পারেন। এসব প্ল্যাটফর্ম থেকে খাঁটি টার্গেটেড অডিয়েন্সের সাথে যোগাযোগে থাকা যায়। ফলোয়ার গেইন করার সময় কোন জায়গা থেকে বেশি ফলোয়ার আসবে তা চিন্তা না করাই ভালো। বরং কোন জায়গা থেকে আসা ফলোয়ার আসলেই পার্সোনাল ব্র্যান্ডের জন্য উত্তম তা চিন্তা করতে হবে।

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *