প্লানিং ছাড়াই শুরু করা-
একটি ব্লগ পোস্ট লেখার আগে বা প্রথম টুইটটি পাঠানোর আগে আপনাকে প্রথমে নিজেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে হবে। যেমন, এই লেখা কি আপনার ব্যান্ডের সাথে যায়? এই লেখা কি আপনাকে মানুষের সামনে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরে? কারণ আপনার প্রতিটি পদক্ষেপ যেন আপনার ব্যক্তিত্বকে উপস্থাপন করে সেটাই পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং-এর উদ্দেশ্যে। পার্সোনাল ব্র্যান্ড সুন্দর করে তৈরি করার পর আপনার একটা ভিন্নধর্মী পোস্ট পুরো ব্র্যান্ডকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
শুধু নিজের কথা চিন্তা করা-
পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং তৈরি করার প্রক্রিয়ায় বেশিরভাগ মানুষ একটা ভুল করে থাকে। তা হল, আপনার পার্সোনাল ব্র্যান্ড-টি শুধুমাত্র আপনাকে ঘিরেই তৈরি হবে এমনটা ভাবা।
আপনার পার্সোনাল ব্র্যান্ড শুধুমাত্র আপনার কাজের অভিজ্ঞতা বা আপনার ব্যক্তিগত সাফল্য নিয়ে হবে না। বরং এটি আপনার টার্গেটেড অডিয়েন্সের দৃষ্টিভঙ্গিকে কেন্দ্র করে হওয়া উচিত। বিশেষত আপনি তাদের জন্য কী কী করতে পারেন এমনটা যেন আপনার ব্র্যান্ডে ফোকাস করা হয়। সর্বোপরি নিজেকে টার্গেটেড অডিয়েন্সের জায়গায় বসিয়ে ভাবুন নিজের থেকে আপনি কী আশা করেন।
অন্যরা কী চাইছে তা না ভেবে শুধু নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে চাইলে অনেক সময় ও শ্রম দেয়ার পরেও দেখা যাবে, পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং ঠিকমতো হচ্ছে না।
দ্রুত ফলাফল আশা করা –
একটি কার্যকর পার্সোনাল ব্র্যান্ড তৈরি এবং রক্ষণাবেক্ষণ কেবল ওয়েবসাইট এবং কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট আপডেট করা নয়। একটি কার্যকর পার্সোনাল ব্র্যান্ড আপনাকে প্রতিযোগীদের থেকে আলাদা করে তুলবে। আপনি যাদেরকে প্রভাবিত করতে চান বা যাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে চান তাদের নজরে নিয়ে আসবে। সুতরাং, একটি কার্যকর পার্সোনাল ব্র্যান্ড তৈরী অনেক সময়সাপেক্ষ ও কঠিন কাজ।
অনেকে একাধিকবার ব্যর্থ হওয়ার পর সফলভাবে পার্সোনাল ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। তাই পুরো প্রক্রিয়ায় ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে।