পার্সোনাল ব্রান্ডিং এ বলুন নিজের গল্প সবাইকে

 
আমি আগের যে পর্ব গুলি লিখেছি ধাপে ধাপে সেই জিনিসগুলো নোট করেছেন, সেগুলোর বাস্তবায়ন করতে হবে এই ধাপে। এখানে আপনি শুধু কী বলছেন তাই না, আপনি কিভাবে আর কোথায় বলছেন তাও ঠিক রাখা জরুরী।
বর্তমানে অনেক সোশ্যাল মিডিয়া থাকলেও পেশাদার জীবনে লিংকডইনই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। লিংকডইনে নিজেকে ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করতে হলে যে বিষয়গুলো অনুসরণ করা যায়-
✅ প্রোফাইলে ফর্মাল ছবি রাখুনঃ
পরিষ্কার ব্যকগ্রাউন্ড আর রেজ্যুলেশনের উপস্থাপনযোগ্য ছবি লিংকডইনে রাখা বাঞ্ছনীয়। ফেসবুক বা ইন্সটাগ্রামে আমরা যেসব ছবি রাখি তা এখানে না রাখাই শ্রেয়। আর ছবি আপলোড করার আগে ফাইলের নাম পরিবর্তন করে আপনার নিজের নামে রিনেম করে নিলে আপনাকে সহজেই খুঁজে পাওয়া যাবে। (যেমন,shouvik.jpg)
✅ হেডলাইন কাস্টমাইজ করুনঃ
লিংকডইনে আপনার নামের নিচে একটা হেডলাইন থাকে যা লিংকডইন অটোম্যাটিকালি দিয়ে দেয় কিন্তু আপনি চাইলে তা কাস্টমাইজ করে নিতে পারবেন। এখানে শুধু “ফ্রিলান্সার” বা এধরণের কিছু না লিখে বরং আপনার কী কী স্কিল আছে তা লিখুন। আপনি যদি একজন চাকরিজীবী হোন, তবে আপনার পদবীর সাথে আপনার দায়িত্বগুলোও লিখে দিন। মূলত এখানে আপনার ‘এলেভেটর পিচ’ টি ব্যবহার করুন।
✅ আকর্ষনীয় সংক্ষিপ্ত বিবরণ লিখুনঃ
হেডলাইনের নিচেই এই বিবরণী থাকে। এটাও লিংকডইনে অটোম্যাটিকালি দেয়া থাকে কিন্তু আপনি নিজের মতো করে লিখতে পারবেন। এখানে আপনার সম্পর্কে কিছু কথা লিখে আপনি কী করেন, কী করতে পারেন, কী করেছেন, কী করতে আগ্রহী এসব সংক্ষেপে লিখুন।
আপনার অর্জনগুলোও এখানে লিখুন। সবকিছু ফার্স্ট পারসনে লেখার চেষ্টা করুন তাতে আপনাকে অ্যাপ্রোচেবল মনে হয়। কোনো বিশেষ কিছু বলার থাকলেও এখানে বলুন। সবশেষে আপনার সাথে সহজে যোগাযোগের একটা মাধ্যম দিয়ে দিন, যেমন ই-মেইল অ্যাড্রেস।
✅ কাজের অভিজ্ঞতার বিস্তারিত বর্ণনা দিনঃ
কাজের বিবরণ দেয়ার জায়গায় শুধুতে কোথায় কাজ করেছেন তা না লিখে বরং কী করেছেন, আপনি সেখানে কী ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছেন এবং আপনি কী কী শিখেছেন আর অর্জন করেছেন তা লিখুন।
✅ আপনার স্কিলগুলো যুক্ত করুনঃ
আপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্কিলগুলো এখানে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে কি না তা নিশ্চিত করুন। আপনি স্কিলগুলো আপনার পছন্দ মত সাজাতে পারবেন। আপনার সবচেয়ে জরুরী স্কিল যেন সবার আগে নজরে পড়ে তার দিকে লক্ষ্য রাখুন।
✅ অতীত নিয়োগকারীদের ও সহকর্মীদের কাছ থেকে এন্ডোর্সমেন্ট নিনঃ
পরিচিত মানুষদের আপনার প্রোফাইল রেকমেন্ড করতে ও স্কিল এন্ডোর্স করতে বলতে দ্বিধাবোধ করবেন না। কারণ আপনি না চাইলে লিংকডইনে নিজে থেকে কেউ এসব করবে না।
সব সোশ্যাল মিডিয়ায় সমানভাবে সক্রিয় থাকার সময় না থাকাটাই স্বাভাবিক। তাই সাবধানতার সাথে আপনার পছন্দের সোশ্যাল মিডিয়াটি নির্বাচন করুন এবং পার্সোনাল ব্র্যান্ড-এর উদ্দেশ্যে সেগুলো সাজান।
✅ টুইটারঃ
আপনার ফর্মাল ছবি ব্যবহার করার চেষ্টা করুন এখানে। আপনার টুইটার বায়ো আপনাকে ঠিকমত বর্ণনা করছে কিনা তা নিশ্চিত করুন। আপনার টুইটগুলিও সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখুন। যাচ্ছেতাই টুইট না করে কিছুটা ব্যক্তিত্ব বজায় রাখুন। একটি পিনড টুইট রাখতে পারেন যাতে মানুষ আপনার প্রোফাইলে ঢুকে সবার আগে সেটা দেখে।
✅ ফেসবুকঃ
যদি আপনি নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে ব্যক্তিগত রাখতে চান, তবে পেশাদার জীবনের পরিচিত মানুষগুলোর জন্য একটি আলাদা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তৈরি করা যেতে পারে। এখানেও আপনার বায়োগ্রাফিটি সম্পূর্ণ এবং ব্যক্তিত্বপূর্ণ রাখুন। আপনার ওয়েবসাইট বা কাজের পোর্টফোলিও এখানে সংযুক্ত করতে পারেন।
✅ ইন্সটাগ্রামঃ
আপনি যদি একজন সৃজনশীল ব্যক্তি হন বা যদি খাবার, সৌন্দর্য অথবা ফ্যাশনে আগ্রহী হন তবে ইন্সটাগ্রাম আপনার জন্য। ইনস্টাগ্রামের মতো একটি ভিজ্যুয়াল প্ল্যাটফর্ম আপনার পার্সোনাল ব্র্যান্ড-কে দৃষ্টিনন্দন উপায়ে তুলে ধরার ও প্রোমোট করার ভালো সু্যোগ হতে পারে। এখানেও ফেসবুক আর টুইটারের মত সাধারণ বিষয়গুলো মাথায় রাখুন।
✅ ওয়েবসাইট
প্রয়োজনে আপনি নিজের একটি ওয়েবসাইটও তৈরি করতে পারেন। এক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ই-মেইলের জন্য সবসময় জিমেইল ব্যবহার করা শ্রেয়। কারণ, জিমেইলকে বেশিরভাগ প্রফেশনাল কাজে ব্যবহার করা হয়, সব ক্ষেত্রে এর গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে এবং ভালো ইম্প্রেশন তৈরির সুযোগ করে দেয়। তাছাড়া, আজকাল বেশিরভাগ কাজই গুগল ড্রাইভের মাধ্যমে হয় যা ব্যবহার করতে জিমেইল অ্যাড্রেস আবশ্যক

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *