আপনি কি কখনও এমন বিজ্ঞাপন টিভিতে বা পত্রিকায় দেখেছেন, যেখানে বলা হয় একটি পন্য কিনলে মিলতে পারে জনপ্রিয় কোনও তারকার সাথে ডিনারের সুযোগ? পরিসংখ্যান অনুযায়ী এতে আসলেই পন্যের কাটতি বেড়ে যায়। আপনি হয়তো এতে তেমন একটা আগ্রহী না-ও হতে পারেন, কিন্তু বহু মানুষ আছে যারা এমন তারকাদের জীবনের আইডল মনে করে।
আমেরিকাতে অভিনেত্রী কিম কার্দাশিয়ানদের নামে যে ফ্যাশন বা কসমেটিকস পন্যই চালানো হোক না কেন, সেগুলো হটকেকের মত বিক্রি হয়। বিভিন্ন কোম্পানী তাদের বেশ মোটা অংকের টাকা দিয়ে তাদের নামে পন্য বের করার অনুমতি নেয়।
এমন নয় যে পন্যগুলো একদম টপ ক্লাসের, কিন্তু জনপ্রিয় তারকাদের নাম জড়িয়ে থাকায় মানুষ এগুলো বেশি কেনে।
কার্দাশিয়ান বা এই ধরনের তারকাদের সবচেয়ে বড় যে অস্ত্র তা হলো এদের সোশ্যাল মিডিয়ার ফলোয়ার সংখ্যা অনেক। প্রত্যেকের ইন্সটাগ্রাম, টুইটারে লক্ষ লক্ষ ফলোয়ার, এবং এদের বেশিরভাগই তাদের প্রচার করা পন্যগুলোর ক্রেতায় পরিনত হয়।
আপনার যদি ব্যবসার সার্বিক দিক, বা কোনও একটি পন্য বা সেবার বিষয়ে ভাল জানাশোনা থাকে, আপনিও সোশ্যাল মিডিয়াতে সেগুলো প্রচার করে একটি ভাল প্রোফাইল দাঁড় করাতে পারেন। ধীরে ধীরে আপনার জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকবে, এবং সেইসাথে আপনার মতামতও মানুষ গুরুত্বের সাথে নেবে।
এই কারনেই জনপ্রিয় তারকাদের দিয়ে বিজ্ঞাপন বানানো হয়। কিন্তু বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে মানুষ টেলিভিশনের চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার স্ক্রীণের সামনে বেশি সময় কাটায়। আর টেলিভিশনের চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর সুযোগ সুবিধা বেশি।
অনেক উদ্যোক্তাই এই কাজটি করছেন। আপনি যদি নিজের একটি ভাল ফেসবুক পেজ বা ইউটিউব চ্যানেল দিয়ে সাধারন ক্রেতাদের কাছাকাছি থাকতে পারেন, তবে তারাও জানবে যে কোনও সমস্যা হলে তারা সরাসরি আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারবে। এতে করে আপনার ব্যবসার গ্রাহকও বেড়ে যাবে নি:সন্দেহে।
এজন্য অল্প টাকায় ভলবো গাড়ির লাইক ফলোয়ার দিয়ে লাভ নাই,বরং নিজেকে ব্রান্ডিং করুন আর টার্গেট বেইজ কাজ করুন।
ছবিতে থাকা আমার বাবাই এর আজ জন্মদিন,সকলের নিকট দোয়া চাইছি।