লেখাটা পড়ে সময় নষ্ট করতে হবেনা।আমি লিখে রাখলাম ভবিষ্যতের চিন্তা করে।
প্রোডাক্ট নিয়ে বিজনেস করবো ভাবছি।প্রোডাক্ট নিয়ে বিজনেস যাদের,তাদের নিয়ে কাজ করছি ৫ বছর আর সামনের দিনেও করবো ইনশাআল্লাহ।
এই ৫ বছরের মধ্যে সত্যিই মেন্টর মেনে ও যা বলেছি সেটা শুনে কাজ করার মত তেমন পাবলিক আমি আসলেই পাইনি।
প্রশ্ন করতেই পারেন যে,তাহলে এত এত সফল উদ্যোক্তা কিভাবে তৈরি হয়েছে?
উত্তর হলো- সফলতার সংজ্ঞা এক এক জনের কাছে তো এক এক রকম।যে মাসে ২/৩ লাখ সেল করছে,আমার দৃষ্টিতে সে তারচেয়ে বেশি করতে পারতো।আবার যে ২০-৩০ লাখ সেল করছে সে আরও বেশি করতে পারতো।
পারেনি কেন?
উত্তর- কারন হলো,তাদের কাজের উপরে ফোকাস আর আত্নবিশ্বাস কম।একটা জায়গায় স্টিক থেকে কাজ করার মত একাগ্রতা নেই।
সমস্যাটা কোথায়?
উত্তর- জাতিগত অভ্যাস হয়তো।দুইদিন পর পর ব্রেক লাগে।আজ ওমুক হলো,কাল তমুক ইত্যাদি ইতাদি।আজ একটা কাজ শুরু করেছে তো কাল।আজ এর কাছে শোনে তো কাল অন্য জায়গায়।
আইটির নলেজ না থাকাটা সমস্যা?
উত্তর- আরেহ নাহ রে ভাই।দুনিয়ার সব জিনিস সবাইকে জানতে হয়না আর জানা সম্ভব ও না।এনারা সবাইকে ওস্তাদ বানিয়ে ফেলে আর সব তথ্য জানতে চাইবে, সব শিখতে চাইবে।কোনটা সঠিক আর বেঠিক সেটা বোঝার ক্ষমতা না থাকলেও সব নিয়ে লাফাবে।
ফোকাস কেন থাকেনা?
উত্তর- দুইটা দিক মনে হয়েছে।টাকার নেশা আর তৃপ্ত হয়ে যাওয়া।আজ বিজনেস শুরু করে দুইদিন অনেক হাইপ থাকবে এরপরে শুরু হয়ে যাচ্ছে অনলাইনে টাকা ইনকামের মেশিন আবিষ্কার করার কোর্স।রিলস বানাবো,ভিডিও করবো ফোকাস গেলো।
আর এক পক্ষ আছে,একটু সেল আশা শুরু হলেই কথা শোনা বাদ,সার্ভিস নেয়া বাদ,বিজনেস থেকে টাকা নেয়া নিয়ে মাথাব্যথা শুরু।স্কেল আপ নিয়ে চিন্তা নাই,কারন ফিউচারের জন্য ব্যবসা করেনা।
ব্যবসাটা চাকুরী না রে ভাই।এটা অনেক বড় ব্যাপার।ব্যাবসায়ীরা চাকুরী করেনা বরং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে।অথচ এই উদ্যোক্তারা পরের প্রজন্মের কেউ যে তার বিজনেস ক্যারি করবে সেটাই ভাবেনা।
সবার প্ল্যান হলো- দুনিয়ার সব কোর্স করবো আর যে যা বলবে শুনতে থাকবো।আজ এই জায়গায়,কাল ঐ জায়গায় যাবো আর সেলফি তুলে পোস্ট দিব আর ক্রেস্ট নিয়ে বেড়াবো (নিজের টাকা দিয়ে ক্রেস্ট কিনে নেয়ার মত আর কি)।
একটা ব্যবসা নিজেই শুরু করি,অন্তত তাতে করে প্রোডাক্ট নিয়ে বিজনেস করে কিভাবে গ্রো করা যাবে সেটাই নাহয় শিখলাম।