ফেসবুকে বিজনেস, আমাদের অজ্ঞতা এবং হাল ছেড়ে দেয়া- পর্ব ০১

আজকের এই কন্টেন্টের শুরুতেই বলছি- যাদের হাতে সময় কম,তারা পড়বেন না এবং যাদের লেখাপড়া নিয়মিত করার মানসিকতা নেই তাদেরকেও না পড়ার জন্য অনুরোধ করছি।
ছবিতে আমার সাথে যাকে দেখছেন তিনি সকলের পরিচিত মুখ তাইনা? উত্তরটা হলো হ্যাঁ।
যদি প্রশ্ন করি, উনি কি নিয়ে কাজ করেন, বলতে পারবেন?
উত্তরটা হলো- নাহ।
ঠিক বলেছেন- এই Ashis Patra দাদা একজন শিক্ষার্থী,একজন জ্ঞান পিপাসু।আমার চেয়ে বয়সে ছোট হবেন,এই গ্রুপে আমার চেয়ে পরেই এসেছেন বলে জানি আমি।কিন্তু তিনি Razib Ahmed স্যারের খুব পরিচিতদের একজন।কিন্তু কিভাবে?
ঐ তো ম্যাজিক জানেন উনি।আর যদি ম্যাজিক না জেনে থাকেন তাহলে আমাদের তো উত্তরটা জানা।
আসুন মুল বক্তব্যে আসি-
সারাদিনে আমি প্রায় ২০ টার মত গ্রুপে লিখি, আর সব মিলিয়ে আমার টাইপ করা শব্দের সংখ্যা দিনে ৫০০০০ থেকে ১ লাখের মধ্যেই থাকে,কিছু কিছু দিনে বেশিও হয়ে যায়।
আবার আমার কাজটাও যেহেতু উদ্যোক্তাদের নিয়েই তাই আমি সারাদিনে এই মানূষগুলির কর্মকান্ডই দেখি।আমার সাথে সারাউন্ড করে থাকা উদ্যোক্তাদের মধ্যে ৯৭%-৯৮% উদ্যোক্তাকে দেখে আমার মনে হয়েছে- “এনারা সঠিক জ্ঞান ছাড়াই বিজনেস করেন” হয়েছেন উদ্যোক্তা।অনেকেই আবার উদ্যোক্তা ও ব্যাবসায়ীর কন্টেন্ট নিজে লিখলেও জানেন না আসলেই পার্থক্য কি।
আচ্ছা সৌভিক ভাই- উদ্যোক্তা বলেন আর ব্যাবসা বলেন, আমরা আসলে সেল চাই,টাকা চাই তাই আমরা সেটাই করি যেটা করলে এইটা হবে বলে মনে হয়।
এটা করাতে দোষের কিছু নেই,আমিও দোষের কিছু দেখিনা।কিন্তু দোষের হলো- চাহিদায় নিজের ক্ষতি রাখা,বলতে পারেন ক্ষতি কোথায়?

আসেন দেখি কোথায় ক্ষতি-

  • ১০ মিনিট রাইটিং পোষ্ট পড়ার লোক নাই অথচ এটি পরে লিখলে একইসাথে রিডিং ও রাইটিং স্কিল বাড়বে।স্যার যা লিখেছেন সেটাই দেখি একটু কাটছাট করে লেখেন অনেকে।এটা না করে নিজের জীবনের সাথে সম্পর্ক রেখে লিখলেই তো সেটা ইউনিক হয়ে যায়।
  • প্রেজেন্টেশন পোষ্ট– এই কন্টেন্ট গুলি শেষ করাতেও আমাদের অনিহা,অথচ এগুলি করলে আমাদের ফ্রী হ্যান্ড রাইটিং আর নলেজ দুইতাই বেড়ে যাবার কথা,কিন্তু ম্যাক্সিমাম লেখায় হয় একই টাইপ।আমার কথা হলো- একই বই আর একই স্যার এর কাছে পড়ার পরেও রেজাল্টের ভিন্নতা থাকলে লেখায় কেন নয়?
  • রিডিং সিলেবাস- এটা করলে সব লাভ রাজীব স্যার আর আমার,কারন আমি লোভ ধরায় আর স্যার টাকা পান।এটা করলে আপনার জীবনের কত উপকার হবে সেটা আপনি নিজেই বুঝবেঙ।
  • রিডিং চ্যালেঞ্জ ও ম্যাগাজিন- আজ উদ্যোগ ছোট তাই গন্ডিটাও ছোট ,ভেবে দেখুন এই গন্ডিটা বর হলে একটা বায়ার মিটিং আপনি কি এটেন্ড করতে পারবেন? একটা বিজনেস প্রপোজাল কি এটেন্ড করতে পারবেন?একটা লাইভ? একটা সেশন কি স্পিচ দিতে পারবেন?
উত্তর হয়তো আসবে- নাহ/ মোটামুটি/ইনশাআল্লাহ পারবো/ চেষ্টা করে দেখবো।
আপনি পারলে খুবই ভালো,কিন্তু যদি পারতেই চান তাহলে উপরের কাজগুলি করুন,দেখবেন উন্নতি। তখন আর আমাকে পাত্তা দিবেননা।
আজকের পর্বে এইটুকু লিখলাম,আগামীকাল আরো একটা পর্বে আইটি আর বিজনেস বড় করা নিয়ে লিখবো ইনশাআল্লাহ।

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *