ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডস এর লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের কথা বলার স্বাধীনতাকে সম্মান করা। মানুষ যেন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজের আবেগ ও অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে সেই সুযোগ রাখা। এমনকি ব্যবহারকারীরা নানা বিষয় নিয়ে সমালোচনা করতে পারে এবং ভিন্নমত পোষণ করতে পারে। ফেসবুক এই সমস্ত বিষয়গুলিও কনটেন্ট হিসেবে অনুমোদন দেয়। কেননা অনেক সময় সেনসিটিভ কনটেন্ট জনগণের পক্ষে কথা বলে এবং তা নিউজ হওয়ার যোগ্যতা রাখে। তখন জনগণের স্বার্থের কথা বিবেচনা করেই ফেসবুক এই সমস্ত কনটেন্ট ব্যবহারের অনুমতি দেয়।
তবে ফেসবুক এটা নিশ্চিত করতে চায় যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে যে স্ট্যান্ডার্ড সেটা যেনো ফলো করা হয় এবং কারো কথার মাধ্যমে কেউ যেন আক্রান্ত না হয়।
ব্যবহারকারীরা যেন কথা বলার স্বাধীনতাকে ইচ্ছামত ব্যবহার করে অন্যের ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য ফেসবুক অনেক বিষয়ে লিমিট করে দিয়েছে।
ফেসবুক এটা নিশ্চিত করতে চায় যে মানুষ এখানে যে কনটেন্ট দেখবে সেটা যেন পুরোপুরি সঠিক এবং নির্ভুল হয়। সঠিক এবং নির্ভুল কনটেন্ট থাকলে তা সোশাল প্ল্যাটফর্মে একটা সুন্দর ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করে। সোশাল মিডিয়ার এবং একই সাথে ব্যবহারকারীর যাতে ভুলভাবে উপস্থাপন করা না হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে চায় তারা।
ফেসবুক প্ল্যাটফর্মকে সব জায়গা থেকে নিরাপদ করতে অথোরিটি বদ্ধপরিকর। কারো শারীরিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় বা কারো মান-সম্মান ক্ষুন্ন হয় এ ধরনের কোন কন্টেন্ট ফেসবুক কখনো গ্রহণ করবে না। ফেসবুক অথোরিটি এ ধরনের কনটেন্ট রিমুভ করে দিবে। অন্যকে হুমকি দেওয়া হয় বা তিরস্কার করা হয় বা স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুন্ন করে এ ধরনের কোন কিছুই ফেসবুক চায় না।
মানুষের গোপনীয়তার অধিকার কে ফেসবুক সম্মান করে। একজন ব্যবহারকারী কতটুকু তথ্য শেয়ার করবে, কতটুকু গোপন রাখবে, কার সাথে শেয়ার করবে এই পুরো বিষয়টি সে যাতে নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং গোপনীয়তার অধিকার যেন ক্ষুন্ন না হয় ফেসবুক এই ব্যাপারে খুবই সচেতন।
ফেসবুক অথোরিটি বিশ্বাস করে সব মানুষ সমান এবং সবাই সমমর্যাদা সম্পন্ন। কেউ কারো থেকে বড় বা ছোট এ ধরনের কোন কিছুতে ফেসবুক বিশ্বাস করে না। কাজেই তারা চায় যাতে মানুষ একে অপরকে সম্মান করে এবং কারো প্রতি অসম্মান প্রদর্শন না করে।