পেজটার সহজ ও বিজনেস রিলেটেড নাম দেন
ভাববেন না যে নামে কি এসে যায়! বরং, নামেই সবকিছু, নামই আপনার আইডেনটি, নামই আপনার ব্র্যান্ড। কেউ যখন ফেসবুকে আপনার পেজটি খুঁজবে, তাহলে অবশ্যই সে আপনার ব্র্যান্ড লিখেই খুঁজবে। কাজেই, আপনার ব্র্যান্ডের নামটিকেই আপনার পেজের নাম হিসেবে ব্যবহার করুন যাতে লোকজনের জন্যে আপনার ব্যান্ড খুঁজে পাওয়া সহজ হয়ে যায়। পেজের নাম আপনার বিজনেস রিলেটেড হলে অজানা কেউ সার্চ দিলে আপনার পেইজের এনগেজমেন্ট বাড়বে। নতুন ক্লায়েন্ট আসবে। মনে রাখবেন, আপনার ফেসবুক পেজের নামটি যদি আপনার বিজনেস নামের সঙ্গে খাপ না খায়, তবে আপনি ফেসবুক বিজনেস থেকে বঞ্চিত হবেন।
পেজের একটি সুন্দর ও ইউনিক নাম রাখার চেষ্টা করুন
পেজটার সুন্দর একটা নাম দেন। নামের আশে-পাশে অপ্রয়োজনীয় বাহুল্যতা বা বাড়তি অক্ষর বা শব্দ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। এতে আপনার পেইজের প্রফেশনালিজম নষ্ট হয়। পেজের নামটা যাতে অন্য কারো নামের সাথে হুবহু মিলে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। অন্য কারো নামের সঙ্গে আপনার পেজের নাম মিলে গেলে আপনি প্রটেনশিয়াল কাস্টোমার হারাবেন। দেখা যাবে যে, ইউজাররা আপনার পেজ খুঁজতে গিয়ে আরেকজনের পেজ পেয়ে যাবে এবং সেটাতেই স্থির হয়ে যেতে পারে।
সহজে মনে রাখা যায় এমন ইউজার নেম দিন আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে ফেসবুকে তৈরি করা পেজের নাম ও ইউজার নাম কিন্তু এক নয়। পেজের নাম সাধারণত প্রোফাইল পিকচারের নিচে থাকে আর পেজের ইউজার নেম থাকে, ইউআরএল বা অ্যাড্রেস বারে। যেমন আমার পেজের নাম ictcare2015 এটি লিখে সার্চ দিলেই আমার পেজ টি পাবেন এবং ক্লায়েন্ট বুঝতে ও পারবে আমার প্রতিষ্ঠানের বয়স ৫ পেরিয়ে গেছে।
আপনার ফেসবুক পেজকে ব্র্যান্ডিং করুন
ব্র্যান্ডিং অনেক বড় বিষয়। আপনি আপনার ওয়েবসাইটের প্রমোশনের জন্যে হোক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রচারণার জন্যে হোক, কিংবা হোক কোনও পণ্য বিক্রির জন্যে, যে কারণেই ফেসবুক পেজ খোলেন না কেন, সেটাকে অবশ্যই ব্র্যান্ডিং করতে হবে। অর্থাৎ, সবকিছুতেই যেন আপনার পেজের নাম চলে আসে, ব্র্যান্ডিং হয়ে যায়, মানুষের ব্রেনে নামটি গেঁথে যায়। এ জন্যে আপনি যা কিছু করতে পারেন-
সুন্দর করে পেজটাকে সাজান
নতুন কেউ একজন আপনার পেজে ঢুকলে প্রথমেই তার চোখে পড়বে আপনার পেজের লে-আউট বা আউটলুুকিং। ক্যাচি কভার ফটো, প্রোফাইল ছবি, সব ধরনের ইনফরমেশন দেয়া থাকলে লোকটি আপনার পেজ থেকে শপিং করতে ভরসা পাবে। কাজেই, আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা, মোবাইল নং, মেইল অ্যাড্রেস দিন,অ্যাবাউট সেকশনে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কয়েক লাইন লিখুন, ওয়েবসাইট থাকলে সেটির লিংক যোগ করুন। এ সবকিছু দেয়া থাকলে একজন ইউজার এসে আর আপনার পেজ থেকে ফেরত যাবে না। সবচেয়ে বড় কথা হলো, আপনার পেজের প্রতি লোকটার একটা বিশ্বাস জন্মাবে যার ফলে তার রেফারেন্সে আপনি আরো ক্লায়েন্ট পেতে পারেন। আমাদেরও কিন্তু এমন হয়, যখন কোনো নতুন পেজ দেখে ভালো লাগে, তখন আমরা নিজেরাই বন্ধুদের কাছে প্রোমোট করি। পেজের ক্ষেত্রে এই ট্রিকস অনুসরণ করতে পারেন।
আকর্ষণীয় প্রোফাইল ও কাভার ফটো যুক্ত করুন
ছবির গুরুত্ব কতখানি তা আপনাকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে বোঝাতে হবে না। কারণ, আপনি সেটি জানেন। সাধারণভাবে যে কেউই জানে যে, যে কোনও ফেসবুক পেজের প্রথম ইম্প্রেশনই হচ্ছে এর ছবির লুকিং, বিশেষ করে প্রোফাইল পিকচার ও কাভার ফটোর লুকিং।
কাজেই, আপনার পেজের ছবির দিকে বিশেষ নজর দিন। প্রোফাইল পিকচার হিসেবে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লোগো ইউজ করতে পারেন। লোগো না থাকলে এমন কোনও ছবি ইউজ করতে পারেন যার একটা ভিজ্যুয়াল ইম্প্রেশন থাকবে। আর কাভার ফটোর ক্ষেত্রে কিছুতেই কারো ছবি কপি করার চেষ্টা করবেন না। বরং, ক্রিয়েটিভ একটি ডিজাইন করার চেষ্টা করুন। খেয়াল রাখুন, কাভার ফটো যেন আপনার বিজনেসকে ফোকাস করে। অর্থাৎ, ফটোটি দেখেই যেন ইউজাররা আপনার ব্যবসার ধরণ সম্পর্কে আঁচ করতে পারে।
আজকের পর্বে এই পর্যন্তই, আবার লিখবো আপনাদের চাহিদায়।
কাজ করছি লগো, ফেসবুক পেইজ, ই-কমার্স সাইট নিয়ে
Founder & CEO- ICT CARE & Easysodai