ফেসবুক এড/বুস্ট এর ক্ষেত্রে ফেসবুক ইতিহাসের সবচেয়ে কড়াকড়ি অবস্থানে আছে এই মূহুর্তে! আর এজন্য নজরে আসছে অনেক ধরনের সমস্যা যেটি আগে কখনো আসেনাই। তাই ভাবলাম একটু সবার সাথেই শেয়ার করি।
ফেসবুকের এই কঠোর অবস্থানের ফলে কি কি ঘটেছে বা ঘটতে যাচ্ছে সেগুলি একটু দেখার চেষ্টা করি,আজকের লেখা গুলি সব আমার বিগত কিছু দিনের করা বূষ্ট ও প্রমোটের অভিজ্ঞতা থেকে লেখা-
কপি কন্টেন্ট– কপি পেস্ট করা পোষ্ট করে সেই পোষ্ট এর এড এপ্রুভ হচ্ছে অনেক কম। এপ্রুভ হলেও সেটার রিচ কমছে অনেক।
দুর্বল বা দায়সারা কন্টেন্ট– যেসকল কন্টেন্ট মানুষকে আকর্ষণ করতে পারে না সেগুলোর রিচ একদমই কম হচ্ছে, ফলে এসব এডের খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে।
টার্গেট অডিয়েন্স– ভুল অডিয়েন্স টার্গেটিং করে এড রান করলে ফেসবুক নিজেই সেটার রিচ কমিয়ে দিচ্ছে ফলে এডের খরচ বেড়ে যাচ্ছে ও সেলও আসছে না অনেক ক্ষেত্রেই। এজন্য যিনি এড দিতে চাইছেন তিনি নিজেই এগুলি খেয়াল করবেন,জানাতে হবে আপনার প্রোডাক্টের বিস্তারিত সেই মানুষকে যিনি এড দিচ্ছেন।
একাউন্ট ডিজাবল– ফেসবুকের এড পলিসি ও কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড না মেনে পোষ্ট করেন অনেকেই, আর সেটি যদি অসাবধানতায় এড আকারে রান করা হয় তাহলেই বাধছে বিপত্তি। ঐ রান করা এড এর কারনেই ধুম ধাম একের পর এক এড একাউন্ট ডিজেবল হয়ে যাচ্ছে।
Boost Unavailable – যেসব পেজ থেকে বারবার এড রিজেক্ট হচ্ছে বা পলিসি ভায়োলেট হচ্ছে সেসব পেজ এড দেওয়ার ক্ষেত্রে ফেসবুকের কাছে অযোগ্য বলে বিবেচিত হচ্ছে ফলে Boost Unavailable দেখাচ্ছে। এইখানে যিনি এড দিচ্ছেন তার কোন দোষ নেই, কারন এইটা আসছে পেজের জন্য। আমি আরো বিস্তারিত একটি পোষ্ট দিবো এই অংশ নিয়ে।
ফেসবুকের এড পলিসি – ফেসবুকের এড পলিসি পুরোপুরি মেনে চলার পরও অনেকের এড একাউন্ট ডিজেবল হচ্ছে ও এড রিজেক্ট হচ্ছে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই জেনে রাখা উচিত, ফেসবুক প্রথমত রোবটের মাধ্যমে এড রিভিউ করে সুতরাং কোন রোবটই ১০০% নির্ভুল নয়। তাই এড রিজেকশন বা এড একাউন্ট ডিজেবল হওয়া থেকে রক্ষা পেতে এড পলিসির সাথে যেন দূরর্বতী কোন সম্পর্কও না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এই জায়গাটা নিয়ে অনেকের কমপ্লেইন আছে, ফেসবুক নিজেও নিয়মিত আপডেট করছে এড ম্যানেজারে।
ফেক আইডি– ফেক আইডির বিরুদ্ধে ফেসবুক ভালোভাবেই সোচ্চার হয়েছে, অনেক পেজেই Boost Unavailable আসছে এই ফেক আইডির জন্য,যেখানে ভেরিফাই করতে হচ্ছে আইডি। আমি নিজেও আমার পেজে আমার মিসেসের আইডির জন্য ভেরিফাই করেছি। যেখানে তার নামের একটা অংশ ছিলো এন আইডির চেয়ে আলাদা।পরবর্তীতে আমি রিভিউ করে পেজ ও আইডি পেলাম। সুতরাং রিয়েল আইডি থেকে পেজ চালানো উচিত ও এড রান করা উচিত।
এত এত সমস্যায় আমাদের তাহলে করনীয় কি
করনীয় হচ্ছে, ভালো মানের পোস্ট করুন,
রিয়েল ডলার দিয়ে এড রান করুন ও কুপন ব্যবসায়ীদের থেকে দূরে থাকুন।
ফেসবুকের এড পলিসি না জেনে না পড়ে এড রান করা মোটেও উচিত না।
আনাড়ি নতুন ব্যক্তিদের দিয়ে এড করা হতে বিরত থাকুন।
ভালো এক্সপার্ট না হলে কাউকে এড একাউন্টের একসেস দিবেন না।
পাশাপাশি আপনি নিজেও ফেসবুক এডের খুটিনাটি বিষয় জেনে নিন। যাদের পেজ ফ্ল্যাগ খেয়েছে না এড একাউন্ট ডিজেবল হয়েছে তারা যথাযথ ভাবে আপিল করুন (Request Review) আশা করা যায় সব ঠিক হয়ে যাবে। এই ব্যাপার নিয়ে আমি আরো বিস্তারিত লিখবো ইনশাআল্লাহ।
মোঃ সৌভিকুর রহমান
শিক্ষক (কম্পিউটার বিভাগ)
যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
আমার কাজ- লোগো ডিজাইন,ব্যানার ডিজাইন,বিজনেস কার্ড ডিজাইন,ফেসবুক পেজ ডেকোরেশন,ই-কমার্স ওয়েবসাইট ডিজাইন,পেজ প্রমোট ও বুষ্টিং,কন্টেন্ট রাইটিং,ভিডিও এডিটিং ও সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট নিয়ে।