অনলাইন বিজনেস প্ল্যাটফর্ম হিসাবে বর্তমানে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা আসলে আকাশচুম্বী,আর তাই- ফেসবুক মার্কেটিং বর্তমানে যেকোনো ব্যবসার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
একেকজনে একেক রকম কৌশল অবলম্বন করে তার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসকে প্রচার প্রসার করছে। তাই এখানে এখন অনেক কম্পিটিশন আর এই কম্পিটিশনে টিকে থাকতে হবে আমাদেরকে অবশ্যই একটু কৌশলি হতে হবে।
এক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রেখে কাজ করলে ভালো ফলাফল আসতে পারে।তাহলে কী কী বিষয় এড করা যায় অর্গানিক ও পেইড মার্কেটিং এর ক্ষেত্রেঃ
Entertain:
Entertain your customers with interesting content.আপনি হয়তো খেয়াল করলে দেখবেন বাংলাদেশ সহ সবদেশের ক্ষুদ্র বিজনেস থেকে শুরু করে ব্রান্ড কোম্পানি গুলো তাদের ফেইসবুক পেইজে ক্রিয়েটিভ এবং ফানি কন্টেন্ট শেয়ার করে।
এতে অডিয়েন্স এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি পায় (গোপন কথা বলে দিলুম। আপনিও চাইলে কিছু আকর্ষণীয় ও মজাদার কন্টেন্ট এর মাধ্যমে আপনার কাস্টমারকে বিনোদন দিতে পারেন। সেটা ভিডিও, আর্টিকেল, ছবি, কিংবা মাই ডে বা স্টোরি ইত্যাদির মাধ্যমে করতে পারেন তবে সীমাবদ্ধতা বজায় রেখে।
Express:
এমন কন্টেন্ট শেয়ার করুন যেটা আসলে আপনার বিজনেস এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থাৎ যে কন্টেন্ট প্রকৃত পক্ষে আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসকে নির্দেশ করে, উপস্থাপন করে এবং আপনার বিজনেস মানুষকে কীভাবে হেল্প করতে পারে সেটা আপনার ফলোয়ারদের জানিয়ে দিতে পারেন ।
Engage:
কিছু আকর্ষণীয় পোস্টের মাধ্যমে কাস্টমারদের এনগেজড করার চেষ্টা করতে পারেন। পোস্ট হতে পারে ভিডিও, ছবি, আর্টিকেল, ব্লগ ইত্যাদির দ্বারা।মাঝে মাঝে কাস্টমারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য শুন্যস্থান পূরণ, কুইজ বা কিছু আগ্রহমূলক প্রশ্ন দিতে পারেন।
Educate:
কাস্টমারদের বিনোদনের পাশাপাশি তাদেরকে শিক্ষামূলক কিছু পোস্ট বা কন্টেন্ট দিতে পারেন।এটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।আপনার কন্টেন্ট যদি উপকারী ও গ্রহণযোগ্য হয় তাহলে আপনার কাস্টমার বিনামূল্যে একটা তথ্য পেয়ে গেলো এতেই আপনার প্রতি কাস্টমারের আস্থা বেড়ে যাবে এবং আপনি তাদের দৃষ্টিতে থাকবেন।তাছাড়া অডিয়েন্সের দৃষ্টিতে আপনার গ্রহণযোগ্যতাও বাড়বে।
আপনিও ভালো থাকবেন আর আপনার সম্ভাব্য কাস্টমারও ভালো থাকবে ইনশাআল্লাহ।