ভুল অডিয়েন্স টার্গেট করা
প্রথমেই যে কোন প্রোডাক্ট প্রমোশন করার আগে আপনি এর INTEREST-BASED MARKETING এনালাইসিস না করেই ইচ্ছামত বাজেট দিয়ে বুস্ট করে দিচ্ছেন। অথচ প্রমোশনের আগে A/B টেস্ট ক্যাম্পেইন রান করে আপনার প্রোডাক্ট এর ফেসবুক User-Based কম্পিটিটর মার্কেট এনালাইসিস করে পটেনশিয়াল অডিয়েন্স সিলেকশন করা, আপনার প্রোডাক্ট এর অনলাইন কাস্টোমার সেন্স আইডিন্টিফাই করা তারপর ক্যাম্পেইনের বাজেট ফিক্সড করে একটা সাক্সেসফুল ক্যাম্পইন রান করা সম্ভব।
Sultana Jannat Shikha আপুকেই ধরেন এই কথাটা বললাম-উনি বলবে, আমার টাকা এভাবে টেষ্টিং করে লস করবো?
ভাই আএ হিসাব করি ১০ ডলারে কতদিন এড দেয়া যাবে, সেল হবে কিনা।
ক্রমাগত একই স্ট্র্যাটেজিতে ফেসবুক এডভার্টাইজিং করা
একই স্ট্র্যাটেজিতে বোরিং ফেসবুক মার্কেটিং করছেন এর ফলে ক্রমশই আপনার অনলাইন সেল কমতে থাকবে, গত মাসে খুব ভালো সেল জেনারেট করতে পেরেছিলেন যে প্রমোশন থেকে সেই একই প্রমোশন থেকে এই মাসে সেভাবে আর পারবেন,এমন গ্যারান্টি নাই।তবে এমন করে তো সব সময় হবেনা।
এইজন্য মার্কেটিং এনালিসিস করার জন্য কাউকে পেমেন্ট দিয়ে আপনার রাখা উচিত অথবা নিজেই করা উচিত।এদিকে কাউকে টাকা দিতে গেলেই আমাদের মনে হয়- ওনাকে কেন আমি টাকা দিব শুধু শুধু।
ফেসবুক রিটার্গেটিং করে বিজনেসের ওয়ার্ম অডিয়েন্সদের কাস্টমারে কনভার্ট করার অজ্ঞতা
প্রথমেই জেনে নেই রিটার্গেটিং অ্যাড কি?
এটা হচ্ছে কুকি বেজড টেকনোলজি যেখানে একজন কাস্টোমার আপনার ওয়েবসাইটে আসার পরে ফেসবুক পিক্সেল এর মাধ্যমে তাকে ট্র্যাক করা হয় এবং পরবর্তী সময়ে সেই অডিয়েন্সের ওয়েব ব্রাউজিং আচরণের উপর নির্ভর করে অ্যাড দেখানো যায়।
ফেসবুক রিটার্গেটিং অ্যাড অন্যতম শক্তিশালী অ্যাড কৌশল। একটি রিপোর্ট অনুসারে, ওয়ার্ম অডিয়েন্স কোল্ড অডিয়েন্সদের তুলনায় ৭০% বেশি কনভার্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই বিজনেসে সেল নিয়ে আসতে নতুন নতুন অডিয়েন্সদের (ওয়ার্ম অডিয়েন্স) কাছে পৌঁছনোর পাশাপাশি পুরানো অডিয়েন্সদের কাছে আপনার সেলস ম্যাসেজ পৌঁছে দেয়া বেশি জরুরি। কারন পরিক্ষিত ভাবে তাদের ROI অনেক বেশি।
আপনি যদি তাদের ফিরিয়ে নিয়ে এসে এই মার্কেটিং কৌশলে ইনভেস্ট করেন, তবে দিগুন বা তার বেশি সেল কনভার্ট করতে পারবেন।
চলুন কিছু পরিসংখ্যান লক্ষ্য করা যাকঃ
রিটার্গেটিং এড এ ওয়েবসাইটের অ্যাড টু কার্ট ত্যাগ করার রেকর্ড ৬.৫% কমিয়ে আনে
৬৮% মার্কেটিং এজেন্সিগুলো তাদের মার্কেটিং প্ল্যানে রিটার্গেটিং অ্যাড এর জন্য বাজেট রাখেন
এই স্ট্র্যাটেজির অ্যাড অন্য সকল অ্যাড কৌশলের চেয়ে ১০৪৬% কার্যকরী বলে প্রমানিত
কাস্টম অডিয়েন্স সেগমেন্ট তৈরি করতে কন্টেন্টের ব্যবহার জানতে হবে
আপনি দুটি ভিন্ন কনটেন্ট তৈরি করে কনটেন্টগুলো প্রমোট করুন। তারপর খেয়াল করুন সবগুলো ট্রাফিক সোর্স থেকে আগত ট্রাফিক গুলো কোন কনটেন্টের সাথে কীভাবে এঙ্গেজ হচ্ছে।
এরপর কন্টেন্টের সাথে ট্রাফিকের এঙ্গেজ হওয়ার ধরনের উপর ভাগ করে তাদেরকে ভিন্ন সেগমেন্টে আলাদা করে ফেলুন।
পরবর্তী সময় যখন অ্যাড রান করবেন তখন যে অডিয়েন্স গ্রুপ যে কনটেন্টটির সাথে বেশি এঙ্গেজ হয়েছিলো সেই রিলেটেড কন্টেন্ট তাদের দেখান। এতে আপনার বুঝতে সুবিধা হবে ঠিক কোন অডিয়েন্স গ্রুপ কোন ধরনের প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের জন্য উপযুক্ত।
সুন্দর ও মার্জিত কন্টেন্ট ও কন্টেন্ট ইমেজ
একটা সাকসেসফুল এড ক্যাম্পেইনের জন্য আপনি এড গুলোতে কি ধরণের কন্টেন্ট ব্যবহার করছেন তার উপর ROI অনেকটাই নির্ভর করে৷
কথায় আছে আগে “দর্শনধারী পরে গুন বিচারী”। আপনি আপনার বিজনেস এর জন্য যে কন্টেন্ট টা দিবেন সে টা অবশ্যই সুন্দর এবং মার্জিত হতে হবে। ভিডিও তে এমন রঙ সিলেক্ট করুন যেগুলো দেখতে ভালো লাগে। আর গ্রাফিক্স ব্যাবহারের ক্ষেত্রে গুগল থেকে নেয়া বা ষ্টক ছবি এভয়েড করুন। এতে আপনার ব্র্যান্ড এর নিজস্ব কোন কোয়ালিটি থাকবে না।
উপরিউক্ত চ্যালেঞ্জগুলো মাথায় রেখেই আপনাকে একটি ফেসবুক অ্যাড ক্যাম্পেইন চালু করতে হবে। এতো কিছু মাথায় রেখে, কোন ধরনের বিজ্ঞাপন আপনার বিজনেস এর জন্য বেশি কার্যকরী হবে তা দেখার জন্য অবশ্যই আপনাকে একজন এক্সপার্ট হতে হবে।