খুব ছোটবেলা থেকেই আমায় সকলেই জিজ্ঞাস করতো বড় হয়ে কি হবো।গোষ্ঠির বড় ছেলে (আমার চাচাতো ভাই সবচেয়ে কম গ্যাপ যেটা তার বয়স আমার চেয়ে ১৪ কম) হবার কারনে মোটামুটি সকল চাচা,ফুফুরাই জিজ্ঞাস করতো।
আমি বুঝতে শেখার আগে থেকেই মনেহয় বোঝানো হয়েছিলো- ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার এই টাইপ কিছু হবার জন্য।অন্তত আমিও তাই উত্তর দিতাম।
ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ হলে চাকুরী পেলাম শিক্ষা দেবার,যাকে লেকচারার বলেন আর খাস বাংলায় মাষ্টার বলেন সেটাই সঠিক।বন্ধুদের সার্কেলে কোনদিন এই ডাক শুনিনি যে, সৌভিক কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার,যদিও আমার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বাদ দিয়ে কম্পিউটারে পড়ার কারনই ছিলো এই ডাকটা শোনার।
যাহোক একটা সময়ে এসব ভুলেই গেলাম মনে হয়,কারন আক্ষেপের জায়গা ও ক্ষেত্র চেঞ্জ হয়ে গেলো,বরং বলা উচিত চেঞ্জ হয়ে গেছে আস্তে আস্তে।এখন বয়স বেড়েছে,আস্তে আস্তে চিন্তার পরিধি ছড়িয়ে গেছে অনিশ্চিত জীবনের দিকে।
একটা সময় খুব রগচটা স্বভাবের ছিলাম বলা চলে,আসলে রাগটা অনেক বেশিই কিন্তু চেষ্টা করি কন্ট্রোলের কিন্তু ঐ যে অন্যায় দেখলেই মাথা গরম হয়ে যায় আর কি,সেটাও দেখি ইদানিং কন্ট্রোলের।আগে কিছু হলেই অনেক কিছু ভাবতাম কিংবা শেয়ার করার স্কোপ খুঁজতাম, এখন গান শুনি আর সবার থেকে দূরে থাকি।
আপনাদের মনে হতে পারে আজ সৌভিক ভাই হঠাত এসব কেন বলছে?আসলেও তো কেন বলছি? বলছি তার কারন হলো- ডাক্তার।ইঞ্জিনিয়ার কিংবা জীবনের আক্ষেপ তো বাদই চলে গেছে, ইদানিং আমি শুনি সব মহল (বন্ধু-বান্ধব, আত্নীয় স্বজন) থেকেই যে- ছেলেটা পড়ালেখায় ভালো ছিলো,আগে জানতাম অনেক ভালো চরিত্রের কিন্তু এখন দেখা যায় সারাদিন মেয়েদের সাথেই ছবি।পুরাটাই বখে গেছে।
কেউ কেউ আমার পরিবারে বলে- সৌভিকের সংসার টিকে থাকে কিনা সেটাও একটা ব্যাপার,আর এখন কি সব- মাছ,আলু,পটল,সবজীর বিজ্ঞাপন দেয়। আবার দেখি লেডিসদের জামা-কাপড় বেঁচে বেড়াচ্ছে,এক কথায় অনলাইনে হকারি করে বেড়াচ্ছে।
আম্মু ইদানিং এসব বলে,আমি চুপ করে শুনে উঠে চলে আসি।আর ভাবি- তাইতো আমি কতটা বদলে গেছি। আগে এসব শুনলে রেগে যেতাম আর এখন চুপ করে তাদেরকে এডিরে যাই।
জীবন বোধহয় এমনই হয়, সময়ের সাথে সাথে বদলে যায়।কেউ চেঞ্জ করতে শিখে যায় আর কেউ বা এই ইচ্ছাটাই নিয়ে আসেনা নিজের মাঝে। তবে আমি পরিবর্তন করতেও পারি,নিজেকেও করাতে পারি।সমস্যা একটাই- কাউকে একবার ইগনোর করলে তার স্থান আর জীবনে থাকেনা।
মোঃ সৌভিকুর রহমান
শিক্ষক (কম্পিউটার বিভাগ)
যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
আমার কাজ- লোগো ডিজাইন,ব্যানার ডিজাইন,বিজনেস কার্ড ডিজাইন,ফেসবুক পেজ ডেকোরেশন,ই-কমার্স ওয়েবসাইট ডিজাইন,পেজ প্রমোট ও বুষ্টিং,কন্টেন্ট রাইটিং,ভিডিও এডিটিং ও সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট নিয়ে।
আমার পেজ- ICT CARE