বর্তমানে হট টপিক হলো- “দেশের রিজার্ভ আর দেশের অবস্থান”। ভাইরালের উপরে ভাইরাল হলো-“দেশে ডলারের রিজার্ভ কম। ডলার রেট বাড়ছেই”।
একটু ভেবে দেখেন তো এই দ্বায় কি কেবলই একটা সরকারের? নাকি আমার আপনার সবার আছে?আপনি যদি খুব স্পেশাল কেউ হয়ে থাকেন তাহলে এই দ্বায় কেবলই সরকারের উপরেই দিবেন।
আমি বলিকি, ডলার দেশে আসবে কিভাবে সেটা বলে? আপনার পরিবারের ছেলে আর জামাই কে যে সরকারি চাকুরী করতে হবে,যেন আয় করার জন্য ঐ একটাই মাধ্যম আছে।
এখন কথা হলো, সবাই সরকারি চাকুরী করে টাকা ইনকাম করতে চাইলে, ডলার আয় করবে কারা? গোটা জাতি যখন সরকারি চাকরির পিছনে দৌড়ায় তখন ডলার আসবে কই থেকে?
আপনি ব্যবসা করতে চান না – কারণ রিস্ক, একটা ফিক্সড ইনকাম হবে।দিনশেষে অনেক গরমে একটু ফ্রীজের পানি খেয়ে আর সর্বোচ্চ রেষ্টুরেন্টে গিয়ে কিছু সময় কাটিয়ে বাড়ি ফেরার পথে চিন্তা করবেন- পরের গরমে একটা এসি কিনতে হবে।এভাবেই পার হয়ে যায় গরমের পর গরম,সি থেকে যায় শোরুমেই।
এদিকে, বেসরকারি চাকরি করা যেন বেঁচে থেকে সবচেয়ে বড় পাপ তার উপরে আবার বিরাট রিক্স, এই বুঝি চাকুরী চলে গেলো। এমন ভয়টা কেন এসেছে জানেন?
আপনিতো স্কিলড হন নি এই জীবনে, আপনি শুধু CGPA চেয়েছেন, আপনার পরিবার ও যেন রেজাল্ট বলতে শুধু এই পয়েন্ট টাকেই মেনেছে,এখন কেন তবে ডলার নিয়ে হাহাকার?
অথচ যদি বাইরের দেশের সাথে ব্যবসা করা যায়, বাইরের দেশের কোম্পানিতে জব করা যায়, যেই ব্যবসা বাইরের দেশের সাথে করা হয় সেখানে জব করা হয় তবেই না ডলার আসবে দেশে।ফ্রীল্যান্সিং করতে গেলে যেন-হই হই রব উঠে যাচ্ছে।ছেলেটা গোল্লায় গেলো, কাজ কর্ম বাদ দিয়ে, লেখাপড়া বাদ দিয়ে সারাদিন ল্যাপটপে বসে থাকে।অমুকের ছেলেটা বি সি এস ক্যাডার হবে বলে রাস্তা কাপিয়ে পড়ালেখা করে।
আছে সব সরকারি চাকরি নিয়ে। যেটা কিনা দেশের টাকা দেশে হাত বদল। চলুক এভাবেই, সমস্যা নাই কোথাও। এক সময় সবাই মিলে থালা হাতে বসবো, আর যার অবস্থান একটু ভালো, সে নাহয় ডলারের দেশেই চলে যাবে। এইসব তো আর রিস্ক না,নিজে বাচঁলে বাপের নাম।আর পারবো একটু দোষ চাপিয়ে বেঁচে যেতে।
ইদানিং আমি স্ট্যাটাস দেবার পরে আমার ফলোয়ার কমছেই, কারন তিতা সত্য মুখে বলা গেলেও মেনে নিতে পারেনা সবাই।