বাংলাদেশ ছাড়া আর কোন দেশেই Employees

বাংলাদেশ ছাড়া আর কোন দেশেই, Employees নিয়ে আর এর কথার সৃষ্টি হয়না।আমাদের পাশের রাষ্ট্রগুলর দিকে তাকালেও দেখা যায়- ভারত,শ্রীলঙ্কার মানুষ যেখানে বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে কর্মকর্তা হিসাবে,সেখানে আমরা যাচ্ছি কর্মচারী হিসাবে।

যদিও দুইটাই চাকুরী করা তবুও এই বিভাজন বলেন আর পিছিয়ে থাকা বলেন,সেটার কারন কি জানেন?

১. স্কিলড ওয়ার্কার হিসাবে তৈরি না থাকা
২. চাকুরীকে আসলে ৯-৫ টা সময় দিয়ে বিচার করা
৩. সঠিক জ্ঞানবোধের অভাব

আমাদের দেশের ম্যাক্সিমাম চাকুরীজীবি এভাবেই চিন্তা করেন যে- সকালে ৯ টাই যাওয়াটা কষ্টের,তাই এখানে কোনভাবেই ৯ঃ৩০ টার আগে শুরু করা যাবেনা,বরং অফিস শুরু করতে যত রিলাক্স টাইম দরকার সেটা তারা পালন করে আর শেষ করার বেলাতে ঘড়ির কাটাকে যতটা এগিয়ে নিয়ে আসা যায়।

সবচেয়ে কষ্টের ইস্যু হলো- তারা এটা ভাবেই না যে,একটা কোম্পানিকে ভালোবেসে বড় করলে লাভটা তারও।আর যাদের এই মানসিকতা থাকেনা,তারা সব সময় পিছিয়ে যায়।আমি আমার কর্মজীবনে যত জায়গায় কাজ করেছি- সেখানে সবাই আমাকে ফোন করে,আমাকে মিস করে,আমার কাজ করাটা মিস করে।এইটাই প্রাপ্তি।

অফিসে বস না থাকলে ফাঁকি দেওয়াটাও একটা রেওয়াজ এই দেশে,আসলে তারা নিজেদের কাজ,নিজের দ্বায়িত্ব আর কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন নয়।তাদের এই সচেতনার অভাববোধ আসে মুলত পরিবার থেকে শুরু করে,স্কুল-কলেজ-ভার্সিটি পর্যায় পর্যন্ত,সব বয়সেই।

আসলে আমরা কবে বুঝবো নিজেদের উন্নতির মুলে বাঁধাটা কোথায়?

অনেক মেধাবীদের ঝরে যেতে দেখবেন আপনি,কিন্তু কখনোই কোন মেধাবীকে আপনি অসফল হত্র দেখবেন না।তারা সফল হয় এর একটাই কারন থাকে- পরিশ্রম করার মানসিকতা আর ইগোকে দূরে রাখা।

আমাদের এই ল্যাগিং নিয়ে লিখতে গেলে আসলে প্যারা প্যারা লিখলেও শেষ হবেনা।তাই আসুন- নিজের ইনকামকে শুদ্ধ করি,সৎ ভাবে করার চেষ্টা করি,হালাল করে ইনকাম ঘরে তুলি।

আল্লাহ পাক সবাইকে বোঝার তৌফিক দিন,আমিন।

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *