হেডলাইন পড়েই খটকা লেগে গেছে তাইনা ? কি বলে এই লোক-শিক্ষা আছে মানে আমার তো সব আছে,অথচ আমি কিনা পারফর্ম করতে পারবো না?
বেশিরভাগ তরুণ-তরুণীর ভাবনা এমনই থাকে- তিনি কাজে নেমেই পৃথিবী জয় করে ফেলবেন। তাদের বিশ্বাস থাকে স্কুল-কলেজ থেকে তারা যা শিখেছেন – সেগুলো কাজে লাগিয়েই তারা চূড়ান্ত সফল হবেন। কিন্তু কিছু দিন বাস্তবে জীবনে পদার্পনের মধ্যেই অনেকেই বুঝতে পারবেন – একাডেমিক স্কিল আর বাস্তব কাজের মধ্যে বেশ পার্থক্য আছে।
একাডেমিক ভাবে অন্যের বলে দেয়া পথে ঠিকমত চললেই সাফল্য আসে। কিন্তু বাস্তব কাজের ক্ষেত্রে নিজেকে অনেক বেশি সিদ্ধান্ত নিতে হয় এবং সমস্যার সমাধান বের করতে হয়।
গতানুগতিক শিক্ষা আপনাকে বিভিন্ন ধরনের চিন্তা ও জ্ঞানের সাথে পরিচিত করায় – যেটা অবশ্যই বাস্তব জীবনে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে,কিন্তু শুধুমাত্র একাডেমিক যোগ্যতার শক্তিতে যদি কেউ কর্মক্ষেত্রে বড় হতে চায় – তবে খুব শিঘ্রই বোঝা যায়, সেটা যথেষ্ঠ নয়। ছাত্র অবস্থায় সবকিছু একটা ছকে বাঁধা থাকে, সেই ছক মেনে পরীক্ষা দিলেই মার্ক আসে – কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে – বিশেষ করে সেলস এবং মার্কেটিং এ কোনও কিছুই আগে থেকে বলে দেয়া যায় না।
তবে ব্রায়ান ফোর্ড (সিলিকন ভ্যালির কয়েকটি উদ্যোগে মার্কেটিং ও সেলস এ্যাডভাইজার ও ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন, এ্যামাজন এ্যালেক্সার টপ রেটেড “Self Improvement Daily” প্যাকেজ এর ফাউন্ডারও তিনি) বলেন – এই অবস্থায় আত্মবিশ্বান না হারিয়ে সমস্যাটা ধরার চেষ্টা করতে হবে। আসলে একাডেমিক পড়াশুনা শেষ হওয়ার পরই মানুষের সত্যিকার শিক্ষা শুরু হয়। যেখানে নিজেরটা নিজের করে নিতে হয়, অন্যের দায়িত্ব নিতে হয়। – এসব ক্ষেত্রে পথমেই সত্যিটা মেনে নিতে হবে। একাডেমিক পারফরমেন্স এবং বাস্তব জীবনে পারফরমেন্সে পার্থক্য থাকবেই।
এক্ষেত্রে ব্রায়ান যে সেলস টেকনিকটি ব্যবহার করতেন, সেটি হল ‘রোল–প্লেয়িং’। সোজা বাংলায় অভিনয় করা। একাডেমিক ভাবে আপনি যতই ভালো করেন না কেন – আপনাকে ধরে নিতে হবে আপনি কিছুই জানেন না, কিন্তু চেষ্টা করলে পারবেন, এবং প্রতিটি বাস্তব পরিস্থিতি থেকেই কিছু না কিছু শিখবেন।
প্রয়োজনে কমিশনের ভিত্তিতে যেসব কোম্পানীতে চাইলেই বিক্রয় কর্মী পদে ঢোকা যায় – সেইসব প্রতিষ্ঠানে ঢুকে তাদের পন্য বিক্রি করার চেষ্টা করতে হবে (আর এখনকার ছাত্র-ছাত্রীরা তো দুইদিন না যেতেই চেয়ে বসেন পারিশ্রমিক। – ধীরে ধীরে আপনি নিজেই নিজের ভুলগুলো ধরতে পারবেন এবং মানুষের সাথে পন্য ও সেবা নিয়ে কথা বলা এবং তাদের মুড বুঝে তাদের ‘পটানোর’ বিষয়টা বুঝতে থাকবেন।
যে কোনও মুডের মানুষের কাছেই আপনি পন্য বিক্রি করতে পারবেন – আপনাকে শুধু তার মুড বুঝে সেই অনুযায়ী কথা বলতে হবে। আপনার জানা থিওরির সাথে না মিললেও ঘাবড়াবেন না। অন্য ভাবে চেষ্টা করুন। পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজের আচরণ বদলান। এভাবে একের পর এক চেষ্টাই আপনাকে অভিজ্ঞ একজন সেলস পার্সন করে তুলবে