Productivity বাড়াবো কি করে 
২০২০-২১ সিজনে FOMO নিয়ে ৬ পর্বের একটা ধারাবাহিক লিখেছিলাম।যেখানে উল্লেখ করেছিলাম,আমরা যেটাকে রেস্ট বলি,সেটা আসলে রেস্ট নেয়া নয়।আজকে জানাবো, আমরা যেটাকে কাজ বলি,সেটা কি আসলেই কাজ?
অনেকেই বলেন সময় পান না।আমিও এই দলের বাইরে নই।তবে আমি একটু আলাদা ঘরোনার বাট এই লেখা আমার উপরেও বর্তায়।
সবাই Productivity Hack খুঁজতে ব্যাস্ত।কারন,রিলসের এই যুগে এসে আমরা ম্যাক্সিমামই ফেসবুকে এসে এই রিলস এত বেশি দেখছি যে,অনেকেই ভাবছে এত কাজ করছি তাও কাজ কেন আগাচ্ছেনা?
সিনারিও টা সবার জন্য নয়,যাদের হয় শুধু তাদের জন্য-
এইতো কতেকদিন আগেও একটা সময় ছিল,যখন কাজের
টেবিলে বসে থেকেও কাজ হতো না দিনশেষে।চাইলেও বই আমি অন টাইমে শেষ করতে পারতাম না।
মন চাইতো ফোকাসড হয়ে নিজের কাজ করতে, কিন্তু হাতটা ফোনে, চোখটা যেতো ফেসবুকে।
Notifications আসতো আর মাথায় অ্যালার্ম বাজতো
একটা অদৃশ্য চাপে পাগলের মতো ক্লিক করতাম।
এভাবেই আমার সময় গিলতে শুরু করলো ওই ছোট ছোট টুন টুন শব্দগুলো।
• এই notification-গুলো আসলে brain hack করে।
• এটা Dopamine trigger করে — এমনভাবে, যেন মনে হয় না দেখলে কিছু মিস হয়ে যাবে… নিজেকে আটকে রাখতে পারতাম না একসময়
দিনশেষে মনে হতো, আজকে কিছুই করলাম না… কাল থেকে সিরিয়াস হবো।
সব social media app এর notification OFF করে দিলাম।
ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ — সবকিছু।
শুধু Email notification চালু রেখেছি, কারণ কাজের purpose এ গুরুত্বপূর্ণ Email আসতে পারে।
মাত্র এই একটা কাজেই, Productivity ৫০% বেড়ে গেলো।
নোটিফিকেশন বন্ধ করার ১ সপ্তাহ পর থেকেই আপনি দেখবেন-
• আপনার মন এখন আর screen-এ লাফায় না।
• একটা কাজ শুরু করলে মনোযোগ থাকে।
• ফোকাস নিয়ে পড়াশোনা ও কাজ করতে পারবেন।
• Content creation সময় ৫০% কমে যাচ্ছে।
• আর মজার বিষয় আগের থেকে ৫০% বেশি কাজ শেষ করতে পারবেন দিনশেষে।
অবিশ্বাস্য লাগছে? লাগতেই পারে।
– কিন্তু brain science বলছে…
Each notification acts like a dopamine trigger it hijacks your attention.
(Stanford University-এর behavioral science research)
• আর বারবার যখন এই নোটিফিকেশন হাইজ্যাকে পড়ছিলাম, তখন বুঝে না বুঝে নিজের motivation টাই হারিয়ে ফেলছিলাম।
• scrolling-এর চক্করে পড়ে ভেতরের energy-টাই যেন মরে যাচ্ছিল।
আমাদের brain তো আর বুঝে না আমরা কাজ করছি নাকি reels scroll করছি। brain এর দরকার ডোপামিন।
Harvard এর এক study বলছে:
Constant interruption lowers productivity by 40%.
আজ আমি এখন আর অজান্তেই ১ ঘণ্টা reels দেখা মানুষ না।
আমি এখন জানি — Discipline doesn’t always mean doing more. It often means doing less, but better.
আর আমার ব্রেইন এখন ধন্যবাদ দেয়—
কারণ ওকে আমি ডিজিটাল পিশাচ থেকে কিছুটা হলেও বাঁচাতে পেরেছি।
যদি আপনিও প্রতিদিন Productivity guilt নিয়ে ঘুমাতে যান,
তাহলে হয়তো আপনারও দরকার, একটা OFF সুইচ টিপে দেওয়া।
সবার Productivity Hack হয়তো
Time blocking বা To-do list।
আর কারো হয়তো ৫ মিনিট রুলস।
আমি বললাম — Notification OFF.
আপনিও যদি এই পোস্টটা রিলেট করতে পারেন তাহলে সেই বন্ধুর সাথে শেয়ার করুন!
যে রিলস দেখতে, দেখতে নিজের জীবন ভুলে বসে আছে।
চলুন, নিজের ব্রেইনকে একটু শান্তি দেই।
আমাকে ম্যাসেঞ্জারে কল করে কেউ একবারে পেয়েছে এটার চান্স খুব কম।কেউ পেলে সে খুবই লাকি।কারন,আমার এই ম্যাসেঞ্জার,ফেসবুক,what’s app সহ সকল প্রকার এপসের নোটিফিকেশন অফ রাখা।
আমার কাজ এখানেই,তাও অফ রাখা কারন আমি আমার প্রোডাক্টিভিটি বাড়াতে চাই, কমাতে নয়।