বিজনেস টিপস – ২৫২৪

টপিক- উদ্যোক্তা আসলে কি? উদ্যোক্তা কেন হবো?
উদ্যোক্তা- উদ্যোক্তা হল এমন একজন ব্যবসায়ী, যে নতুন কোন ব্যবসা নিয়ে চিন্তা করেন যা আগে কেউ করেননি অথবা পূরনো কোন ব্যবসাকে নতুন একটা রূপে নিয়ে আসেন মানুষের কাছে।
একজন ব্যক্তি যখন নিজের কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করে কোন চাকরি বা কারো অধিনস্ত না থেকে নিজে থেকেই কোন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করার চেষ্টা করেন বা পরিকল্পনা শুরু করেন তখন তাকে উদ্যোক্তা বলা হয় । ব্যবসায় উদ্যেক্তার উদ্যেগ যখন সফল কিংবা স্বনিরভর হয় তখন তাকে বলা হয় ব্যাবসায়ি।
কেন হবো উদ্যোক্তা?
উদ্যোক্তাদের কিংবা ব্যবসা করার কয়েকটি ইতিবাচক দিক আমাদের জানা প্রয়োজন, যদিও বিষয়টি আমাদের সকলের জানা তারপর ও আমি সবাই কে জানাতে চাই-
✅ আপনি স্বাধীনভাবে আপনার ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন। এখানে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে অন্যের মুখাপেক্ষী হতে হবে না।
✅ চাকরি করার ক্ষেত্রে আপনি যতই পরিশ্রম করুন কিংবা আপনার পরিশ্রমের ফলে প্রতিষ্ঠান যতই লাভবান হোক না কেন, আপনি নির্দিষ্ট অংকের বেতনের বাইরে কোনও সুযোগ-সুবিধা পাবেন না।
অথচ উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যত লাভ হবে, সেই সুযোগ সুবিধা দিনশেষে উদ্যোক্তাদের পকেটেই চলে যাবে। এখানে সবসময় উদ্যোক্তাদের পরিশ্রম না করলেও চলে।
✅ একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে পারলে, সেটা শুধু উদ্যোক্তার নিজের জন্য নয়, পরবর্তী প্রজন্মের জন্যও নিশ্চিত আয়ের ব্যবস্থা করবে। আর ব্যবসা যতই পুরাতন হয় এবং উদ্যোক্তা হিসেবে সেটি বর্ধিত করার সুযোগ ততই বেড়ে যায়।
✅ সকল ধরনের চাকরি (খুব ছোট মানের) কিন্তু আপনাকে আর্থিক সচ্ছলতা দেবে না। কিন্তু একজন উদ্যোক্তা যদি নিজের বুদ্ধিমত্তা খাটিয়ে ব্যবসা চালাতে পারেন, তবে ব্যবসা তাকে আর্থিক সচ্ছলতা প্রদান করবে। যে কোনও ভুলের কারণে, সকালে অফিসে গিয়ে জানা গেলো চাকরি নেই, এমনা ঘটনা উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে ঘটার সুযোগ নেই।
✅ উদ্যোক্তারা নিজেদের বহুবিধ দক্ষতার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে পারেন। এখানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পড়ে থাকা সুযোগ সুবিধার যেমন সর্বোচ্চ ব্যবহার যেমন সম্ভব, তেমনি কর্মসংস্থানেরও বিশাল সুযোগ সৃষ্টি সম্ভব।
✅ অফিসিয়াল বাধ্যবাধকতা উদ্যোক্তাদের পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মেনে চলতে হয় না। বসদের নিকট জবাবদিহি থাকে না। কিংবা সকাল বেলা অফিসে এসে চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার খবরও শুনতে হয় না।
💢 উদ্যোক্তা কি চাইলেই হওয়া যায়?
নাহ, উদ্যোক্তা চাইলেই হওয়া যায় না। উদ্যোক্তা হতে গেলে কি কি করতে হবে সেই বিষয়ে ২য় সেশনে আলোচনা হবে ইনশাআল্লাহ। তবে একথা সত্য যে, উদ্যোক্তাদের ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয়।
লাভের পরিমাণ যেমন অপরিসীম, ঝুঁকির পরিমাণও তেমন বেশি থাকে।
তবে হ্যাঁ এটাও সঠিক যে, সঠিক সময়ে যারা কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তারা ব্যবসায়ে সাধারণত ক্ষতির সম্মুখীন হন না।
উদ্যোক্তা হতে হলে সবাইকে মিল কলকারখানা স্থাপন করতে হবে, বিষয়টা কিন্তু এমন নয়। এতটা কঠিন করে ভাবার আদৌ কোনও সুযোগ নেই। আপনি কিছু না পারেন একটা মুদি দোকান দেন, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর দেন, চালের দোকান করেন, খাবারের ব্যবসা করেন। তথ্য প্রযুক্তিখাতেও এখন অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে।
সেসব বিষয়েও ভাবতে পারেন। হাজার ধরনের অপশন আমাদের সামনে পড়ে আছে। প্রয়োজন শুধু যে কাজটা আপনি ভালোভাবে করতে পারবেন, সেটা ঠিকমত খুঁজে বের করে কাজটা শুরু করা।

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *