Physical Address
ICT Care, 145 Jail Rd, Jashore
01921-816779
আমি অনেককেই দেখি,যারা বলে-একটু ব্যবসাটা দাঁড় করাতে পারলেই আমি ওয়েবসাইট বানাবো।আমাকে জিজ্ঞাস করলে আমি বলি-বাজেট না থাকলে আর কি করার আছে।এদিকে অনেকেই আবার বলেন যে, বিজনেসের শুরুতেই ওয়েবসাইট কেন করবো? আগে ফেসবুক পেজ দিয়ে বিজনেস এসটাবলিশ করি, এরপর ভাবা যাবে।
তবে আমার কাছে ব্যাপারটা একতু ভুলের মনে হয়েছে, এই ধারনাটা। বিজনেস দাঁড় করানোর পরে নয়,বরং আপনার উচিত বিজনেস দাঁড় করানোর জন্যই ওয়েবসাইট বানানো।
কিছু যৌক্তিক কারন দেখাচ্ছি-
ফেসবুক পেজের নিশ্চয়তা নাই, কিন্তু ওয়েবসাইটের তো এই সমস্যা নাই।
আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসকে ভালোভাবে প্রেজেন্ট করতে পারবে ওয়েবসাইট।
আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস যেটা, সেটার মধ্যে অডিয়েন্স টার্গেট বা অডিয়েন্সের আগ্রহ কোনটাই বেশি সেটা আপনি কেবলমাত্র ওয়েবসাইট থেকে জানতে পারবেন,কারন- ওয়েবসাইট সরাসরি গুগলের সাথে কানেক্ট করে বের করে।
আপনার একধিক ক্যাটাগরি থাকলে প্রথমেই একাধিক ক্যাটাগরি নিয়ে কাজ না করে টপ কিছু ক্যাটাগরি নিয়ে কাজ করা উচিত আর এই টপ ক্যাটাগরি আপনি ট্র্যাফিক অ্যাড চালিয়ে ওয়েবসাইট থেকে গুগল এনালিটিক্স থেকে বের করতে পারবেন।
এসকল টপ ক্যাটাগরি বের করে সেগুলোর উপর কন্টেন্ট তৈরি এবং প্রমোশন করতে পারলে আপনারই লাভ।
ওয়েবসাইট মুলত, ডিজিটাল মার্কেটিং টুলস হিসাবে দারুনভাবে কাজ করে আপনার অডিয়েন্স এনালাইসিস করতে পারে।
ওয়েবসাইটের প্রথম প্রমোশনই হবে মুলত- অডিয়েন্স এনালাইসিস করার জন্য।
কোন কোন প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস পেইজে বেশি যাচ্ছে, কতদূর যাচ্ছে, কোন লোকেশন থেকে যাচ্ছে, কোন বয়সের ভিজিটর যাচ্ছে ইত্যাদি। যা কিনা পরবর্তীতে ফেসবুক অ্যাড টার্গেটিংও কাজে লাগবে।
তাই আমার মতে বিজনেস থেকে ইনকাম করে, তারপরে ওয়েবসাইট বানানোর চিন্তা না করে বরং, ওয়েবসাইটের পিছনে খরচ করা ভালো।একটা সময়ে আমিও বলেছি- ওয়েবসাইট না হয় পরে করুন, কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই।
কম্পিটিশন এখন অনেক বেড়েছে, তাই আপনাকে এখন অডিয়েন্সের ডাটা নিয়ে কাজ করতে হবে, অডিয়েন্সের ডাটা নিয়ে মার্কেটিং প্ল্যান করতে হবে।
মনে রাখবেন- আগে ইনকাম পরে ইনভেস্ট নয়, আগে ইনভেস্ট পরে ইনকাম।