বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রেন জার্নি: পর্তুগাল থেকে মালয়েশিয়া পর্যন্ত অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা
যাত্রার দৈর্ঘ্য: ২১ দিনমোট দূরত্ব: প্রায় ১৮,৭৫৫ কিলোমিটারঅতিক্রান্ত দেশ: ১৩টি
এক অসাধারণ ট্রেন যাত্রা যা শুরু হয় ইউরোপের পশ্চিম প্রান্তে পর্তুগালের লিসবন শহর থেকে এবং শেষ হয় এশিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব কোণে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে। যাত্রাপথে আপনি দুই মহাদেশ এবং ১৩টি দেশের ভৌগলিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য উপভোগ করবেন। যদিও এটি একটানা ট্রেন জার্নি নয়, বিভিন্ন দেশে ট্রেন পরিবর্তন ও ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এটি সম্পন্ন হয়।
যাত্রাপথের প্রধান দেশ ও আকর্ষণ
পর্তুগাল: লিসবন থেকে যাত্রা শুরু।
আকর্ষণ: ট্যাগাস নদী, বিখ্যাত বেলেম টাওয়ার।
স্পেন: মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা।
আকর্ষণ: গথিক স্থাপত্য, পাইরিনিস পর্বতমালা।
ফ্রান্স: প্যারিস থেকে পূর্ব ফ্রান্স।
আকর্ষণ: আইফেল টাওয়ার, লুভর মিউজিয়াম।
জার্মানি: বার্লিন, হামবুর্গ, ড্রেসডেন।
আকর্ষণ: ঐতিহাসিক স্থান, ব্ল্যাক ফরেস্ট।
রাশিয়া: ট্রান্স-সাইবেরিয়ান রেলওয়ে।
আকর্ষণ: মস্কো, লেক বাইকাল।
চীন: বেইজিং, সাংহাই।
আকর্ষণ: চীনের প্রাচীর, ইয়াংজে নদী।
মালয়েশিয়া: যাত্রার সমাপ্তি কুয়ালালামপুরে।
আকর্ষণ: পেট্রোনাস টাওয়ার।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: রোলিং পাহাড়, মরুভূমি, তৃণভূমি।
ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান: লুভর মিউজিয়াম, চীনের প্রাচীর।
সংস্কৃতির মেলবন্ধন: বিভিন্ন দেশের স্থানীয় খাবার ও ঐতিহ্য।
ইমিগ্রেশন: প্রতিটি দেশের সীমান্তে কাস্টমস এবং ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া।
ভিসা: ১৩টি দেশের জন্য ভিসা প্রয়োজন।
খরচ: প্রায় $১০,০০০ – $১৫,০০০।
এই ২১ দিনের ট্রেন ভ্রমণ শুধু একটি যাত্রা নয়, এটি এক জীবনের অভিজ্ঞতা। বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি, প্রকৃতি ও ইতিহাসের মিশেলে এটি এক অনন্য অভিযাত্রা।
“একটি ট্রেন জার্নি আপনাকে শুধু গন্তব্যে পৌঁছে দেয় না; এটি শেখায় পৃথিবীর বিশালতা ও বৈচিত্র্য।”
Newsletter Updates
Enter your email address below and subscribe to our newsletter