ব্যার্থতার কিছু কারনসমুহ-পর্ব ০১

 
যদি আপনি সফল হতে চান, তাহলে ব্যর্থতার কারণ জানা জরুরী। জীবনে সফল হতে সফল হওয়ার উপায় যেমন জানতে হবে, তেমনি জীবনে ব্যর্থতা কেন আসে – এটাও আপনাকে জানতে হবে। এগুলো জানলে জীবনের যে কোনও ক্ষেত্রে ব্যর্থতা এড়ানো আপনার জন্য সহজ হবে।
ব্যর্থতা মূলত আমাদের ২টি জরুরী বিষয় শিক্ষা দেয়
✅আমরা কোনও একটা কিছু ভুল ভাবে করছি।
✅ আমাদের একটু অন্য ভাবে চেষ্টা করতে হবে।
নিজের ভুল ধরতে পারা, এবং সেই ভুল শোধরানোর চেষ্টা করাই মূলত ব্যর্থতা কাটিয়ে সফল হওয়ার অন্যতম উপায়। আর ব্যর্থতার কমন কারণ গুলো জানা থাকলে অবশ্যই আপনি কেন ব্যর্থ হচ্ছেন – তা বের করতে পারা সহজ হবে। আর আগেই বলেছি, জীবনে ব্যর্থ হওয়ার মূল কারণ গুলো জানা থাকলে, সেগুলো এড়িয়ে যেতে পারবেন। কাজেই, আপনি যে অবস্থায়ই থাকুন না কেন – এগুলো জানলে আপনার উপকারই হবে।
🟥 শৃঙ্খলার অভাব-
যার মধ্যে শৃঙ্খলা নেই তার জীবনে ব্যর্থতা অনিবার্য। যে কোনও ধরনের সাফল্যের জন্য আপনাকে সুশৃঙ্খল হতে হবে। আপনি পড়াশুনায় ভালো করতে চান, আপনাকে নিয়মিত পড়তে হবে। ক্যারিয়ারে উন্নতি করতে চাইলে আপনাকে নিয়মিত গুছিয়ে কাজ করতে হবে। আধ্যাত্মিক সাফল্য চান, আপনাকে ধর্মের নিয়ম সুশৃঙ্খল ভাবে মেনে চলতে হবে। শৃঙ্খলার কোনওই বিকল্প নেই।
যার মধ্যে এই জিনিসটার অভাব আছে, সে কোনও কাজই মন লাগিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে করতে পারে না। যদি আপনি ঠিক করেন সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত প্রতিদিন পড়াশুনা করবেন – তবে যে কোনও মূল্যে আপনাকে তা করতে হবে। রুটিন ব্রেক করা যাবে না।যদি নিজের বা কাছের কোনও মানুষের বিপদ হয়, বা কাউকে সাহায্য করার প্রয়োজন হয় – তাহলে হয়তো রুটিন থেকে সাময়িক ভাবে বের হতে পারেন। সেটা শুধুমাত্রই ইমার্জেন্সীর কারণে। কিন্তু খেলা দেখা, আড্ডাবাজি – এই ধরনের অপ্রয়োজনীয় কাজের জন্য যদি নিয়মিত ভাবে নিজের রুটিন ব্রেক করতে থাকেন – তাহলে কিছুতেই সফল হতে পারবেন না।
সুশৃঙ্খল মানুষের প্রধান গুণ হল সময়ের কাজ সময়ে করা। পৃথিবীর সব সফল মানুষ সময়ের মূল্য বোঝেন। আপনি যদি সময়কে মূল্য না দেন, তবে সময়ও আপনাকে মূল্য দেবে না। আলস্য, ঢিলেমি, কাজ ফেলে রাখা – এগুলো সাফল্যের সবচেয়ে বড় শত্রু। একজন সুশৃঙ্খল মানুষের মাঝে এসব কখনওই থাকতে পারবে না।
সাফল্যের জন্য যখন যেটা করা প্রয়োজন – সেটা তখনই করুন। নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনুন। এই নিয়ন্ত্রণ একবারে আসে না। ধীরে ধীরে অনুশীলনের মাধ্যমে এটা রপ্ত করতে হয়।
অনেক মানুষ বিশ্বাস করে যে, আত্ম নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা একটি জন্মগত গুণ। যার মধ্যে এটা নেই – সে এটা অর্জন করতে পারবে না। এই বিশ্বাসটি দারুন ক্ষতিকর। যতক্ষণ কারও মধ্যে এই বিশ্বাস থাকবে – ততক্ষণ সে নিজেকে বদলাতে পারবে না।
কাজেই, প্রথমে দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করুন যে, আপনি চাইলে নিজেকে সুশৃঙ্খল করতে পারবেন। এটার জন্য প্রথমেই সব কাজ সময়মত করার দরকার নেই। প্রতিদিন যে কোনও একটি কাজ ঠিক করুন, যেটা আপনি যে কোনও মূল্যে সময়মত করবেন। এটি কিছুদিন প্রাকটিস করে, তারপর কাজের পরিমান বাড়ান। প্রয়োজনে কখন করবেন – তা লিখে রাখুন। এভাবে অনুশীলন করতে থাকলে একটা সময়ে গিয়ে আপনি সব কাজই সময়মত করতে পারবেন।
নতুন বছর,আসুন শুরু করি নতুন করে।

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *