ব্যর্থতা কাটিয়ে ওঠার জন্য দ্বিতীয় পদক্ষেপ হিসেবে নিজের সাথে একান্তে কিছু সময় কাটানো উচিৎ।
ছোট-বড়, যে কোনও ব্যর্থতাই শুধু একজন মানুষকেই প্রভাবিত করে না।
একজন উদ্যোক্তা যে কোনও পর্যায়ে ব্যর্থ হলে, তার আশপাশের মানুষ, কর্মী, পার্টনার, প্রতিযোগী – সবাই কোনও না কোনও ভাবে প্রভাবিত হয়। উদ্যোক্তা হওয়ার সবচেয়ে ভালো দিক যেমন নিজের মত করে সবকিছু চালাতে পারা, এর সবচেয়ে কঠিন দিক হল কোনও খারাপ কিছু ঘটলে তার পুরো দায় নিজেকে নিতে হয়।
আপনাকে হয়তো অনেক সমালোচনা শুনতে হবে। যারা আপনাকে থামাতে চেয়েছিল, তারা আপনাকে নিয়ে টিটকারি দেবে। কেউ কেউ হয়তো বলবে যে, আপনার ওপর ভরসা করে তার সর্বনাশ হয়ে গেল। – এসব কথায় বেশি কান দিলে আপনার আত্মবিশ্বাস দারুন ভাবে ভেঙে যাবে।
এই ধরনের কথায় বা আচরণে উত্তেজিত বা হতাশ হবেন না। কিছুদিনের জন্য যতটা পারুন নিজের সাথে একান্তে সময় কাটান। সবচেয়ে ভালো হয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা কোথাও চলে গেলে। প্রকৃতি মানুষের মনে অন্যরকম একটা প্রশান্তি নিয়ে আসে। প্রথম দিকে মানসিক চাপ থাকলেও, একটা সময়ে গিয়ে প্রকৃতির সংস্পর্শে চাপগুলো দূর হয়ে যায়। এই সময়টায় নিজের উদ্দেশ্যে ভালো ভালো কথা বলুন।
নিজেকে বলুন যে, একটি কাজে ব্যর্থ হয়েছেন মানেই সব শেষ নয়। আপনি আবার শুরু করতে পারবেন। তবে নিজের ভুল গুলোকে এড়িয়ে যাবেন না। তাহলে আরও বেশি বিপদে পড়বেন।
একান্ত ভাবে সময় কাটানোর সময়ে বাস্তববাদী মনোভাব নিয়ে নিজের অতীতের ভুল গুলো নিয়ে চিন্তা করুন। কোথায় কোথায় কি কি ভুল হয়েছে তা চিন্তা করুন, এবং ভবিষ্যতে কিভাবে সেগুলো এড়াবেন সেই পরিকল্পনা করুন। ভুল নিয়ে আফসোস না করে, বা অন্যের কথায় হতাশ না হয়ে – সেগুলো একটি একটি করে চিহ্নিত করে, সেগুলো এড়ানোর প্ল্যান করুন। প্রয়োজনে লিখিত পরিকল্পনা করুন। সম্ভাব্য সব ভুল, এবং সেগুলোর ভবিষ্যৎ সমাধান বের হয়ে গেলে দেখবেন অনেক হাল্কা লাগছে। আবার নতুন করে শুরু করার উদ্যম পাচ্ছেন।