রাতের খাবার যখন খাচ্ছি তখন রাত দুইটা,একটা মোবাইলে গ্রুপ মিটিং চলছে,আর একটাতে আমি সব বুষ্টের বিল মেটাচ্ছি কার্ড দিয়ে।
এগুলি শেষ হলে আমি নতুন বুষ্ট গুলিতে হাত দিলাম।এভাবেই রাতে ঘুমাতে আসছি,সকালে ভোরে উঠেই পেন্ডিং সব ম্যাসেজ আর মোবাইলের মিস হয়ে যাওয়া কলগুলি ব্যাক করছি।
এসব রাতে আর ভোরে করার কারন হলো- আমি যখন ঢাকাতে আসি,তখন অনেক কাজের সিডিউল বাঁধিয়েই আসি।এই ঢাকাতেই ভাই-বোন,মামা,চাচা,খালা,ফুফু থাকার পরেও বন্ধুর কাছে উঠি।
সেজন্যই এখন সব আত্নীয় স্বজন আব্বু-আম্মুকে বলে – মিয়াভাই/ভাবি, সৌভিক তো আর কোন আত্নীয় স্বজনকে গোনায় ধরেনা।
এত আসে তবু তার সময় হয়না,কি এমন কাজ করে?
আসলে আমি এগুলি শুনি আর ভাবি, মাঝে মাঝে বলতে ইচ্ছা করে- আমিতো শুধু চাকুরী করিনা,আমি আমার উদ্যোগ নিয়ে কাজ করি,আমার স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিতে আমি পরিশ্রম করি।
সফল মানুষেরা শুধু মেধা নয় বরং একইসাথে পরিশ্রম দিয়ে নিজেদেরকে অনন্য উচ্চতায় নিয়েছেন।আমিও চেষ্টা করি।আর চেষ্টা করি বলেই আজ আমার প্রতিষ্ঠান ৮ টা দেশে কাজ করছে।২০০০+ দেশীয় ক্লায়েন্ট যা সারা দেশব্যাপী।
হ্যাঁ,আমায় নিয়ে যারা আজ বলছেন তারাও এক সময় ছিলোনা পাশে,আমি সেইদিনগুলি ভুলি নি।খুব করে টের পেয়েছিলাম জীবনের অর্থগুলি কোথায় কেমন।
এই গল্প কেন বললাম জানেন?
আমরা অবেনেই উদ্যোগ কে বলি- এইটা আমার সন্তানের মত। অথচ সেটার বাস্তব বহিঃপ্রকাশ নেই।
কেন বললাম নেই?
কারন,ওনারা দেখবেন পড়তে চান না,পরিশ্রম করতে চান না।যদি পড়তেই চাইতেন,জানতে চাইতেন তাহলে- রিডিং সিলেবাস নিয়ে এত ব্যাখ্যা দিয়ে
Razib Ahmed স্যার কে এত লিখতে হতোনা।
আমার ৮৫০+ কন্টেন্ট লেখা হয়ে যাবার পরেও সেগুলি সার্চ করে না পড়ে ইনবক্সে প্রশ্ন আসতোনা।।
আসুন শুধু মুখে নয়,বরং আমার ত্যাগ,পরিশ্রম,অধ্যাবসায়, ডেডিকেশন,ধৈর্য এসবের সংমিশ্রনে বুঝিয়ে দিই,আমার উদ্যোগ আমার সন্তান।
বিঃদ্রঃ গ্রুপের খুব কিউট আপু
Farhana Akter Lucky আপুর সাথে হঠাৎ দেখা হয়ে গেলো অর্চার্ড পয়েন্ট,ধানমন্ডিতে।
আমি
Zahra Hasina Parveen আপুর Zahra’s Kitchen এর ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্র
্যাটেজি নিয়ে একটা মিটিং এ ছিলাম,ফিরে আসার পথে তাঁকাতেই দেখি বাটার শোরুমে আমাদের প্রিয় আপু।
আমার একটিভিটিতো আমাকে এই সম্মানটাও এনে দিয়েছে,আমি আমার স্বার্থেই কাজ করি,আর আমায় সারাউন্ড করে যারা বেঁচে আছেন- আমি তাদের জন্যই স্বার্থপর।