ব্যাস্ত জীবনেও সম্পর্ক হোক তরতাজা – পর্ব ০২

আজ একটা সময়ে দেখলাম আমিতো ডিজাইন করছি,এখন ডিজাইন করতে করতে বরং একটু নানূ (নানী) কে ফোন করি। আমি যখন খুব ছোট তখন আমার দুইবার নিউমেনিয়া হয়েছিলো,আমার নানু সারারাত জেগে ছিলো মশারীর ভিতরে আমাকে নিয়ে।অথচ এখন মাসে একবার কথা বলা কঠিন হচ্ছে।এইজন্য ভাবলাম এখন থেকে অফিসে বসেই একটু একটু করে কথা বলবো।এই টার্গেটে আজ মামার সাথেও কথা বললাম।
একটা সময় রিক্সায় যাতায়তের সময় ফোনে কথা বলে নিতাম,এখন বাইক চালিয়ে সব জায়গায় যায় এজন্য আর এটা করার সুযোগ নেই (আমি বাইকে বসে ফোন রিসিভ করিনা)।
ভেবে দেখলাম আমরা চাইলেইতো এমন করতে পারি, বাসে জ্যামে বসে আর ভালো লাগছে না! এমন সময়ে যদি ফোনটা তুলে নিয়ে, হেডফোন লাগিয়ে নিয়ে যদি কথা বলি প্রিয় মানুষের সঙ্গে তাহলে কিন্তু সময়টা আর বোরিং কাটেনা।
আবার ধরুন, লাইনে দাঁড়িয়ে আছি লাইনটা যেন কচ্ছপের গতিতে এগোচ্ছে। ব্যস, ফোন করে একটা আড্ডা কিন্তু হতেই পারে পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে।
আর আমি বরাবরই মাকে আমার কাজের ফাঁকেই ফোন করে যাবতীয় সব জিজ্ঞেস করি, আম্মু কেমন আছে, কী রান্না করছে! যদিএকান্তই আপনার ফোন করার মতো অবস্থায় না থাকেন, মেসেঞ্জার, হোয়্যাটসঅ্যাপ, ইমোতে জানান যে তাঁকে মনে পড়ছে।

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *