অন্যদের তুলনায় নিজেকে একটা ধাপ উপরে দেখতে চাইলে এই কন্টেন্ট আপনার পড়া উচিত-
আপনার যে কাজ অন্যকে দিয়ে রিপ্লেস করার সুযোগ হবে, ইমিডিয়েটলি সেটা আপনার করা উচিত,ইদানিং আমাকে অনেকেই জিজ্ঞাস করেন- ভাইয়া/স্যার আপনি অনলাইনে গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং কিংবা ওয়েবসাইট ডিজাইন করা শেখান?
আমি সরলমনে উত্তর দিই- আমি শেখাই না, আমার অফিস শেখাবে।সেখানে একটা কথা আমি প্রায়ই শুনে থাকি- “আপনি শেখালে শিখতাম”।
টাইম ম্যানেজমেন্ট পড়তে যেয়ে শিখেছিলাম,আবার এই একই কনসেপ্ট টা আমি শিখেছিলাম- লিডারশীপ কোয়ালিটিতেও।
যেমন ধরেন, আমি সফটওয়্যার বানাই, একটা সফটওয়্যার লঞ্চ করার জন্য আমার একটা ওয়েবসাইট দরকার। আমি ওয়েবসাইট বানানো, ডোমেইন, হোস্টিং সব পারি, কিন্তু আমার টিমে একজন আছে যে এই কাজটা পারে, আমি তখন আর নিজে সাইট বানাবো না, আমার টিমমেটকে দিয়ে বানাবো। আমি যদি নিজে সাইট বানাই, আমার হয়তো কিছু টাকা সেভ হবে, কিন্তু এতে আমার অনেকগুলো সময় নষ্ট হবে,ফোকাস নষ্ট হবে, ডিস্ট্রাকটেড হয়ে যাবো, যার অপরচ্যুনিটি কস্ট অনেক বেশি।
আসলে আমরা যে সকলেই নামের পাশে সি ই ও কিংবা উদ্যোক্তা ট্যাগ লাগাই=আমাদের বুঝতে হবে এই পদের কিংবা এই কথার দ্বায়িত্ব কত বড়।
আমাদের স্টার্টআপ, এসএমই উদ্যোগগুলোর প্রধান সমস্যা হলো, আমরা ওয়ান ম্যান আর্মি। নিজেই প্রোডাকশন করি, প্যাকিং করি, মার্কেটিং করি, ডেলিভারি দেই, আফটার সেলস সাপোর্ট দেই, একাউন্টস দেখি, স্পিচ করি, কন্টেন্টও লিখি- পারলে নিজেই প্রোডাক্ট হয়ে বোতলের ভেতর ঢুঁকে যাই। ব্যবসার শুরুর দিকে হলে ঠিক আছে, কিন্তু ডে আফটার ডে যদি এই কাজ করতে থাকি, তাহলে একটা বৃত্তে ঘুরপাক খেতে থাকবো।
আমাদের ট্রেডিশনাল এসএমইগুলো, যেমন: মুদি দোকান, কাপড়ের দোকান, খাবারের দোকান কিংবা চায়ের দোকান ইত্যাদি্র দেখবেন, গ্রোথ রেট খুবই কম।
অধিকাংশ উদ্যোক্তা সারাজীবন একটা দোকানের ভেতর বন্দী জীবন কাটিয়ে পার করে দেন। আপনি যদি নিজেকে মুদী দোকানদার ভাবেন তাহলে ঠিক আছে, কিন্তু লক্ষ্য যদি থাকে এরচেয়ে বেশি তাহলে আপনাকে আপনার প্রতিস্থাপক তৈরী করতেই হবে, ডে টু ডে অপারেশন থেকে নিজেকে বের করে আনতে হবে।
কি করবেন?
আপনারা তারাই পড়বেন যারা নিজেদের একটু আলাদাভাবে দেখতে চান, অন্যদের পড়ার দরকার নেই।
টাইম ম্যানেজমেন্ট – ২য় পর্ব প্রকাশ হলো আজ। ৩য় পর্ব পড়তে আগামীকাল চোখ রাখুন।