“জীবনের সেরা অর্জনটি করতে হলে আপনাকে নিজের আরাম আয়েশের চেয়ে সেই অর্জনটিকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।“
সত্যিকারের অর্জনের পথে অনেক সময়েই কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে। এই সময়ে ভবিষ্যতের ছবিটি যেন আপনাকে হাল ধরে রেখে এগিয়ে যাওয়ার উৎসাহ দেয়। ছবিটি সামনে ভেসে উঠলে যেন সমস্ত আলস্য দূর করে দিতে মন চায়, সব বিপদকে তুচ্ছ মনে হয়।
এই মনছবির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে লেখকেরা বলেছেন: “সঠিক পথে থাকার জন্য আপনার একটি শক্তিশালী কারণের প্রয়োজন হবে, কারণটি সেই ভিশন বা মনছবি।“
ভেবে দেখুন, সৈনিকেরা যখন নিজের দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণের মায়া ত্যাগ করে যুদ্ধ করে, দিনের পর দিন অমানবিক কষ্টের মাঝ দিয়ে যায়, খেয়ে না খেয়ে বিরূপ পরিস্থিতিতে পড়ে থাকে – তাদের মনে কি কাজ করে?
তাদের মনে একটাই ছবি থাকে, যুদ্ধ শেষে শান্তি আর সমৃদ্ধি। নিজের সন্তানের স্বাধীন দেশের মুক্ত বাতাসে শ্বাস নেয়ার মনছবি। আপনাকেও নিজের মনে এমন একটি ছবি সৃষ্টি করে নিতে হবে। আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে, এত কষ্টের পর যখন সাফল্য আসবে, তখন এই কষ্ট করার জন্য আপনার গর্ব হবে।
আমাদের উচিত, দুইটি ভিশন লেখা। প্রথমটি আপনার পূর্ণ জীবনের লক্ষ্য নিয়ে, দ্বিতীয়টি সামনের ৩ বছর নিয়ে।
পূর্ণ জীবনের ভিশনটি হতে পারে আপনি জীবনে নিজেকে কোথায় দেখতে চান, এবং কি অর্জন করতে চান তার একটি কাল্পনিক মনছবি। এটা হতে পারে অনেক টাকার মালিক হওয়া, সন্তানদের বড় মানুষ হতে দেখে যাওয়া, একজন সৎ ও ধর্মপরায়ণ মানুষ হওয়া, অথবা দেশের একজন শীর্ষস্থানীয় নীতি নির্ধারক হওয়া।
আর ৩ বছর মেয়াদী ভিশনটি হবে আগামী তিন বছরে কি কি অর্জন করতে চান – তা নিয়ে। সেটা হতে পারে ব্যবসায়ের মুনাফা দুই গুণ করা, চাকরিতে প্রমোশন পাওয়া, কোনও প্রতিযোগীতায় জেতা, বই প্রকাশ করা – ইত্যাদি।
এক্ষেত্রে আমাদের উচিত ভাবনার শক্তিকে কাজে লাগানো। একই ভাবনা সব সময়ে ভাবতে থাকলে, সেটা একসময়ে বিশ্বাসে পরিনত হয় এবং উদ্দীপনা ও আত্মবিশ্বাস দারুন ভাবে বেড়ে যায়।
একটু জানি-
“একটি উৎসাহপূর্ণ ভবিষ্যতের ভাবনার মাধ্যমে আপনার মস্তিষ্ককে শক্তিশালী ও উন্নত করতে পারেন। আপনি যে জীবন আশা করেন, সেই জীবন নিয়ে এমন একটি মনছবি তৈরী করুন – যা আপনার আবেগকে নাড়া দেয়, এবং তা নিয়ে নিয়মিত ভাবুন।“
যে ভিশন আপনি লিখেছেন, সেটাকে দিনের শুরুতে ও শেষে একবার করে পড়ুন। প্রতি সপ্তাহের পরিকল্পনা করার সময়ে পড়ুন। সেই সাথে যখনই মনে হবে এই মূহুর্তে আপনার অনুপ্রেরণা প্রয়োজন, তখনই ভিশনগুলিতে চোখ বুলান।