ভিডিও কলে বসবেন যেভাবে

আমাদের কর্মদিবস দিনেই শেষ হয় কদাচিৎ। ঘরে ফিরতে ফিরতে তো সেই রাত।
বাজারের ফুটপাত ধরে হেঁটে যাওয়ার সময় আপনি কিছু বিক্রেতাকে দেখবেন যারা
প্রতিদিন বসেন কিছু জিনিসপত্র নিয়ে যেমন- চিরুনি থেকে স্ক্রু ড্রাইভার, ইয়ারফোন
থেকে ডেটা কেবল। আর আছে মুঠোফান হোল্ডার ও ট্রাইপড; তা-ও নানা পদের।
মুঠোফান হোল্ডারগুলো দেখলে বড় আফসোস হয়। বিশেষ করে করোনাকালে যখন
টিভির টকশো থেকে শুরু করে অফিসের ভার্চ্যুয়াল মিটিংয়ে যোগ দেওয়া মানুষদের চেহারা দেখি।
কখনো মুখের এক পাশ স্ক্রিনের বাইরে চলে যায়, কখনো স্ক্রিনজুড়েই মুখ। অনেক
সময় ভিডিও কলে চেহারা দেখলে মনে হয় যেন উপুড় হয়ে আছে। এর কারণ হলো স্মার্টফোন বা কম্পিউটারের ক্যামেরার কৌণিক দিক ঠিক থাকে না।
বন্ধুদের ভিডিও আড্ডা বা খোশগল্প হলে মেনে নেওয়া যায়। তবে ফরমাল আলোচনায় ক্যামেরায় নিজেকে
কেমন দেখাচ্ছে, সে বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি। আর সে জন্য কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে পারেন—
✅ চেহারায় যেন পর্যাপ্ত আলো থাকে। আলোর উৎস সামনাসামনি হলে ভালো। পেছনে হলে মুখে ছায়া পড়বে।
✅ চোখবরাবর ক্যামেরা রাখুন। চাইলে কিছুটা ওপরেও রাখতে পারেন। তবে নিচে নয়।
✅ প্রস্তুতি নিন। পরিপাটি হওয়া ভালো। ভিডিও কল শুরুর আগে স্মার্টফোনের সামনের
ক্যামেরা চালু করে নিজেকে দেখে নিন ক্যামেরায় কেমন লাগছে।
✅ ক্যামেরায় শুধু আপনি নন, পটভূমিও থাকে। মানে আপনার পেছনের দিকটা।
ক্যামেরার ফ্রেমে এমন কিছু রাখবেন না যেটা দেখাতে চান না।
✅ ইয়ারফোন ব্যবহার করুন। এতে আপনি যেমন পরিষ্কার শুনতে পাবেন,
আপনার কথাও অপর পাশ থেকে পরিষ্কার শুনতে পাবে। তা ছাড়া ইয়ারফোন তারহীন হলে খানিকটা দূরেও দাঁড়াতে বা বসতে পারবেন।
✅ ক্যামেরার সামনে আপনার অবস্থান যথাযথ হওয়া চাই। খুব বেশি দূরে থাকা চলবে না। আবার খুব কাছে থাকলে মুখ বড় দেখাবে।
✅ অনেক মানুষের সঙ্গে ভিডিওতে যুক্ত হলে আপনার কথা বলার সময়টুকু ছাড়া বাকি সময় মাইক্রোফোন মিউট করে রাখুন। কথা বলার আগে মিউট থেকে সচল করে নিন।
✅ ভিডিওতে যুক্ত হওয়ার পর মাঝখানে উঠে কোনো জরুরি কাজে গেলে ভিডিও ক্যামেরা অফ করে নিন। তবে অডিওতে যুক্ত থাকুন। যাতে আলোচনার কোনো অংশ আপনার জানার বাইরে না থাকে।
✅ সবচেয়ে বড় কথা, মাথা খাটান। নিজেকে ভালোভাবে উপস্থাপনের জন্য যা যা প্রয়োজন, তা–ই করুন।
এবার আসি শুরুতে কেন মুঠোফোন হোল্ডার দেখে আফসোসের কথা তুললাম সে প্রসঙ্গে।
আপনি ভিডিও কলে কথা বলবেন, আর অন্য কেউ স্মার্টফোন ধরে থাকবে, তা তো আর হয় না।
এ ক্ষেত্রে সহায়ক হলো মুঠোফোন হোল্ডার। মোটামুটি ১০০–১৫০ টাকায় ট্রাইপডসমেত মুঠোফোন হোল্ডার কিনতে পাওয়া যায়। সেটা অবশ্য ফুটপাতে। সে নাহয় হলো। তবু চালিয়ে নেওয়ার মতো কাজ তো হবে। তবে টাকার পরিমাণ বাড়ালে আরও ভালো হোল্ডার কেনা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *