মার্কেটিং কি কোন রকেট সায়েন্স নাকি ? শেষ পর্ব

পুরো মার্কেটিং এক্টিভিটিস কে যদি আমি আলাদা আলাদা করে ক্যাম্পেইন দিয়ে ভাগ করি, তাহলে নিচের ক্যাম্পেইন গুলো মাথায় রাখতে হবে।
  1.  ব্র্যান্ড এওয়ারনেস
  2.  লিড জেনারেশন
  3.  প্রোডাক্ট লাউঞ্চিং
  4.  ব্র্যান্ড লাউঞ্চিং
  5.  রিব্র্যান্ডিং
  6.  সিসনাল পুশ
  7.  সেল জেনারেশন
  8.  আপসেলিং
  9.  রিসেলিং
  10.  ক্রস সেলিং
  11.  ডিমান্ড জেনারেশন
এখানেই সব নয়, এর বাইরেও আরো অনেক ধরনের ক্যাম্পেইন রয়েছে। এখন আপনাদের সাথে আমি উপরোল্লিখিত ক্যাম্পেইন গুলো নিয়ে ধারণা দিচ্ছি।

 ব্র্যান্ড এওয়ারনেস

এই ক্যাম্পেইনটা মুলত ডিজাইন করা হয় ব্র্যান্ড সম্পর্কে মানুষকে জানানোর জন্য। রিলেভেন্ট এক্টিভিটিজ যেটা মানুষকে আমাদের ব্র্যান্ড সম্পর্কে এওয়ার করবে। যেমন বিভিন্ন ইভেন্ট স্পনসরশিপ, সেখানে আমাদের লোগো, আমাদের উপস্থিতি আমাদের ব্র্যান্ডকে আমাদের টারগেট কাস্টমারের কাছে পরিচিত করে তোলে।

 লিড জেনারেশন
এটি মুলত লিড জেনারেট করার জন্য করা হয়ে থাকে। এই ক্যাম্পেইন গুলোর উদ্যেশ্যই থাকে সম্ভাব্য ক্রেতার ডিটেইল কালেক্ট করা যাতে পরবর্তিতে সেলস টিম অথবা মার্কেটিং টিম থেকে তাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। মুলত যেই পন্য/সেবার দাম অনেক বেশি হয়, তাদের ফানেলে লিড জেনারেশন সবচাইতে বেশি গুরুত্ন পেয়ে থাকে।
 প্রোডাক্ট লঞ্চিং
নতুন কোন প্রোডাক্ট লঞ্চ করার ক্ষেত্রে এই ধরনের ক্যাম্পেইন রান করা হয় যাতে সর্বোচ্চ এক্সপোসার পাওয়া যায়। প্রতিটা প্রোডাক্ট মার্কেটে ইন্ট্রিডিউস করার ক্ষেত্রে অনেক কিছু হিসেব নিকেশ করে, প্লান করে তারপর লঞ্চ করতে হয়।
 ব্র্যান্ড লঞ্চিং
বেপারটা আরো কঠিন যখন আপনি নতুন ব্র্যান্ড লঞ্চ করছেন। প্রথম ইম্প্রেশন সবসময় অনেক গুরুত্বপুর্ন। তাই মনে রাখতে হবে ব্র্যান্ড লঞ্চ করার সময়টা খুবই গুরুত্বপুর্ন। এটা খুব ক্রিয়েটিভ হতে পারে, এটা খুব ক্যালকুলেটিভ হতে পারে। প্রতিটা স্টেপ অনেক বেশি গুরুত্বপুর্ন তাই এই ধরনের ক্যাম্পেইন যেহেতু বার বার করার সুযোগ নেই, তাই একটু ভাল প্লানিং এবং প্রিপারেশন নিয়ে এই ধরনের ক্যাম্পেইনের কাজ শুরু করা উচিত।
 রিব্র্যান্ডিং
এই ক্যাম্পেইনটি মুলত ডিজাইন করা হয় কোন এক্সিসটিং ব্র্যান্ডকে নতুন ভাবে পরিচয় করিয়ে দিতে, অনেক সময় ব্র্যান্ডের নাম পরিবর্তন হয়, লোগো পরিবর্তন হয়, ব্র্যান্ড কালারে পরিবর্তন হয়। তখন নতুন নাম/ব্র্যান্ড ম্যাটেরিয়ালের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে এই ক্যাম্পেইন ডিজাইন করা হয়।
 সিসনাল পুশ
এটি মুলত কোন নির্দিষ্ট সিসনে সেল টারগেট এচিভ করার জন্য ডিজাইন করা হয়। যেমন ধরেন শীত প্রায় শেষের দিকে, তখন কোন একটি ক্যাম্পেইন রান করা যেতে পারে, যেটা এগ্রেসিভ সেল জেনারেট করতে সাহায্য করবে। যেমন ধরেন একটি কিনলে একটি ফ্রী।
 সেল জেনারেশন
এই ক্যাম্পেইনটি ডিজাইন করা হয়ে থাকে সরাসরি সেল জেনারেট করার জন্য। যেই প্রোডাক্ট গুলোর দাম তুলনা মুলক ভাবে কম, বিশেষ করে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য, পর্যাপ্ত ব্র্যান্ড পরিচিতি তৈরি হয়েছে, তখন এই ধরনের ক্যাম্পেইন থেকে ভাল সরাসরি সেল জেনারেট করা যায়। লিড জেনারেট না করেই।
 আপসেলিং এবং ক্রস সেলিং
এই ক্যাম্পেইনগুলো মুলত একই পন্যের এডভান্স/বড় ভার্শন অথবা একই প্রতিষ্ঠানের অন্য প্রোডাক্ট সেল করার জন্য ডিজাইন করা হয়ে থাকে। যেমন ধরেন একটি চিকেন ফ্রাই না কিনে ২ টি চিকেন ফ্রাই কেনার জন্য উৎসাহী করা যেতে পারে, সেটা হবে আপসেলিং। আবার চিকেন ফ্রাই এর সাথে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এবং কোক কিনতে উৎসাহী করাটা হচ্ছে ক্রস সেলিং।
 ডিমান্ড জেনারেশন
এই ক্যাম্পেইনটি হচ্ছে মুলত ডিমান্ড জেনারেট করার জন্য। যেমন ধরেন আমাদের ফোনের যে মৌলিক চাহিদা রয়েছে, তা কিন্তু সব ফোনের মাধ্যমেই পুরন করা সম্ভব, কিন্তু প্রতিনিয়ত আমরা আপডেটেড মোবাইল খুজি, নতুন নতুন ফিচার। এবং এর পিছনে ডিমান জেনারেশন ক্যাম্পেইন গুলো কাজ করে।

 

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *