আমরা সকলেই কিছু শব্দের সাথে ইদানিং খুব বেশি পরিচিত,যেমন- মোটিভেট, ফ্রাস্ট্রেটেড, ফাস্ট্রেশন,মাইন্ড সেট,ডেডিকেটেড ইত্যাদি।
এই শব্দগুলি আবার সবই কাজের সাথে সম্পর্কিত তাই আজ সকালে উঠে যখন আমি ভাবছি আমার সকালটা কিভাবে শুরু করতে পারি,তখনই মাথায় এলো এই জিনিসটা।
আমি কিংবা আপনি যখনই কোন সাকসেস স্টোরি দেখি বা শুনি তখনই আমাদের মাথায় যে ব্যাপারটা কাজ করে সেটা হলো- এইভাবে একটা কাজ কিভাবে একটা মানুষ দিনের পর দিন করে গেছেন?
আমরা তো এভাবে মোটিভেশন পাইনা,আমরা কিভাবে এতটা ডেডিকেটেড হবো?
এই প্রশ্নগুলি মাথায় থাকত্র থাকতেই আমাদের মাথায় চলে আসে- যা হবার হবে,আমি অন্তত আর পিছনে তাকাবো না,আমি আমার জায়গায় থাকবো আর নিজেকে অবশ্যই আমি সাকসেসফুল হিসাবে দেখবো একদিন।
এই বলে কাজে নেমে পডি কোন এক দল আর একদল দিন তারিখ সব ঠিক করে কাজে নামার প্ল্যান করার পরে সব ভুলে যায় আস্তে আস্তে।তারপরে আবার নাইট্রোজেনের জীবনচক্রের ন্যায় কোন ভিডিও বা স্পিচ কিংবা বই পড়ে মোটিভেট হই তারপরে আবার প্ল্যান এবং আবার একই কাজ।
কিন্তু আমার কাছেও বিভিন্ন বই ও ভিডিও দেখার পরে মনে হয়েছে নিজেকে মোটিভেট করার একটাই গোপন সুত্র আছে যেটা আপনাকে বা আমাকে নিয়ে যেতে পারে সাফল্যের চুড়ায়, যেটা মেনে চললে অন্তত নিজেকে পিছনে তাকাতে হবেনা সেটা হলো- ” আমি আমার বুদ্ধির দ্বারাই সব অর্জন করতে পারবোনা,আমার পরিশ্রম ও অধ্যাবসায়ের দ্বারাই আমি আমার স্বপ্নের কাছে পৌছাতে পারি”।
এই কথাটা আমরা যদি প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাবার আগে বলে ঘুমায় এবং সকালে উঠে আবার এটাকে মনে করি কিংবা কাজ শুরু করার সময় ডায়েরিতে প্রতিদিন লিখে কাজ শুরু করি,তাহলেই পরিবর্তন চোখে পড়বে।
আমি আমার জীবনের সব সিচুয়েশনে নিজেকে নিয়ে এভাবে এখন ভাবতে শিখেছি আর তাই টানা ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ৪০ ঘন্টা পরিশ্রম করতেও আমার কিছুই মনে হয়না।কখনো ক্লান্তি আসেনা।
জীবনতো একটাই,স্বপ্নের পুরন এখন না হলে, তবে কখন?
মোঃ সৌভিকুর রহমান
শিক্ষক (কম্পিউটার বিভাগ)
যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
আমার কাজ- লোগো ডিজাইন,ব্যানার ডিজাইন,বিজনেস কার্ড ডিজাইন,ফেসবুক পেজ ডেকোরেশন,ই-কমার্স ওয়েবসাইট ডিজাইন,পেজ প্রমোট ও বুষ্টিং,কন্টেন্ট রাইটিং,ভিডিও এডিটিং, সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট এবং প্রফেশনাল সিভি নিয়ে।