এস ডি কার্ড টি আসলে কি জিনিস?
এটি মুলত আরো একটি মেমরী ডিভাইস অর্থাৎ আপনি যেখানে আপনার পছন্দের তথ্য গুলি স্টোর করে রাখতে পারবেন।
ডিভাইসে বাড়তি তথ্য সংরক্ষণে মেমোরি কার্ড খুবই প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ। মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট কম্পিউটার, ক্যামেরা,
টেলিভিশন, মিডিয়া প্লেয়ার ইত্যাদিতে মেমোরি কার্ড ব্যবহার করা যায়।
মেমোরি কার্ডে প্রায় সব ধরনের ডাটা স্টোর করা যায়। মেমোরি কার্ডে সাধারণত গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট ও ফাইল সংরক্ষিত রাখা হয়।
আকারে ছোট হওয়ায় এটি সহজে বহনযোগ্য। ফলে তথ্য সংরক্ষণে মেমোরি কার্ড জনপ্রিয়ও বটে
ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ খালি রাখতে সম্ভব হলে ফোনে এক্সট্রা মাইক্রো-এসডি কার্ড অর্থাৎ মেমোরি কার্ড ব্যবহার করুন।
তবে মাইক্রো-এসডি কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টি মাথায় রাখা প্রয়োজন সেটা হল ওই মাইক্রো-এসডি
কার্ডের ডাটা লোডিং স্পিড কেমন।
আপনি যদি আপনার ফোনে একটি অপেক্ষাকৃত দুর্বল মাইক্রো-এসডি কার্ড ব্যবহার করেন, তবে ফোন পূর্বের তুলনায়
আরো স্লো হয়ে যাবে। তাই মাইক্রো-এসডি কার্ড কেনার সময় দেখেশুনে পরীক্ষা করে কিনবেন।
আমার মোবাইলের জন্য উপযুক্ত মেমোরি কার্ড নির্বাচন কিভাবে করবো?
যেকোনো মাইক্রো এসডি কার্ড যেকোনো মাইক্রো এসডি স্লটে সহজেই লাগানো গেলেও সব ফরম্যাট সব
ধরনের ডিভাইজে কাজ করবে না। জেনে রাখা ভালো, তিনটি আলাদা কার্ড ফরম্যাট রয়েছে। এগুলো আলাদা
স্ট্যান্ডার্ড এবং আলাদা ক্যাপাসিটির ওপর তৈরি।
এসডি, এসডিএইচসি এবং এসডিএক্সসি-মাইক্রোএসডি এর ক্যাপাসিটি মাত্র ২জিবি পর্যন্ত হয়ে থাকে। যেকোনো এসডি কার্ড স্লটে এটি সাপোর্ট করে।
মাইক্রো এসডিএইচসি ২ জিবি থেকে ৩২ জিবি পর্যন্ত ক্যাপাসিটি সমর্থন করে। যে ডিভাইসগুলো একে সমর্থন করে, শুধু সেখানেই এই কার্ডটি চলে।
এসডিএক্সসি স্ট্যান্ডার্ডে ৩২ জিবি থেকে ২ টেরাবাইট পর্যন্ত মেমোরি কার্ড বানানো সম্ভব। আর সাপোর্টেড ডিভাইসই শুধু এই টাইপের কার্ড কাজে লাগাতে পারে
তাই নতুন মেমোরি কার্ড কেনার সময় স্টোরেজ ক্যাপাসিটি জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কারণ বেশিরভাগ সময় একজন ইউজার কতো ক্যাপাসিটি মেমোরি কার্ড কিনবে, সেটা সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে পারেন না। এর ফলে প্রয়োজনের তুলনায় হাই-ক্যাপাসিটির কার্ড কিনে ব্যবহার করলে ডিভাইস স্লো হয়ে যায়।
কি বুঝলেন?
অনেক বড় মেমরী কার্ড মানেই কিন্তু সমাধান নয়।