যাত্রা যখন “০” (শুন্য) থেকে “১” একটি নির্দিষ্ট ক্রেতা শ্রেনীকে টার্গেট করে শুরু করুন

 
আপনি হয়তো অনেকবারই এই কথাটি শুনেছেন “একবারে খেতে চাইলে কিছুই খাওয়া যায় না”। – কথাটা শুনতে শুনতে গুরুত্বহীন হয়ে গেলেও কথাটা কিন্তু শতভাগ সত্য।
Amazon এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে পৃথিবীর প্রায় সব ধরনের পন্য কিনতে পাওয়া যায়। বর্তমানে অন্য অনেকগুলো কোম্পানী এই সেবা দিচ্ছে, এবং জ্যাক মার Alibaba এর মত কিছু কিছু কোম্পানী অনেক ভালোও করছে। কিন্তু প্রতিযোগিতা এড়িয়ে চলুন নীতি অনুসারে Amazon সবার প্রথমে এই ব্যবসা শুরু করায় এখনও তাকে কেউ ছাড়িয়ে যেতে পারেনি। এই আমাজনের উদ্যোক্তা জেফ বেজোস কিন্তু বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি।
বর্তমানে আমাজনে প্রায় সবকিছুই পাওয়া যায়। তবে প্রথমে আমাজন একদম ছোট একটি consumer group বা ক্রেতা শ্রেণীকে টার্গেট করে ব্যবসায় নেমেছিল। সেই মার্কেট ছিল বইয়ের মার্কেট, এবং টার্গেট বায়ার ছিল বই পড়া মানুষ।
আমাজন আসার আগে বই শুধু বইয়ের দোকানেই পাওয়া যেত। যার কারণে পাঠকদের বই খুঁজে পেতে বেশ ঝামেলা হত। সব বইতো আর সব দোকানে পাওয়া যায় না। আর এতে বইয়ের প্রকাশকরাও খুব বেশি লাভ করতে পারতেন না। আমাজন বাজারে এসে প্রকাশক আর পাঠকদের মাঝে একটি সেতু তৈরী করে সময় আর অর্থ বাঁচিয়ে দিল। এটা ছিল আমাজনের ০ থেকে ১ এ উন্নীত হওয়া। একটি সম্পূর্ণ নতুন ধারণা নিয়ে তারা কাজ শুরু করেছিল।
তবে শুধু বইয়ের বাইরে অন্য সব পন্য অনলাইনে বিক্রির আইডিয়া প্রথম থেকেই কিন্তু আমাজনের ফাউন্ডার জেফ বেজোসের মাথায় ছিল। তবে তিনি তাঁর ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। এমনকি প্রথমে আমাজনের সার্ভিস শুধুমাত্র একটি শহরেই সীমাবদ্ধ ছিল। জেফ বুঝে শুনে একটু একটু করে আমাজনকে আজকের পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন।
বই এর সাফল্যের পর আমাজন ধীরে ধীরে সিডি-ডিভিডির মত ছোট ছোট পন্য অনলাইনে বিক্রি শুরু করে। আর এখন তো চাইলে আপনি সেখান থেকে গাড়িও কিনতে পারবেন!
এবার আসুন জিরো টু ওয়ান বইয়ের লেখক পিটার থেইল এর কথায়। আজকের অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম এর জয়জয়কারের পেছনে পিটার আর তাঁর পার্টনারদেরই অবদান। তাঁরাই প্রথম পে পাল আবিষ্কার করে অন লাইন পেমেন্টকে এতটা সহজ করে দিয়েছেন।

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *