যেভাবে হবে আপনার লক্ষ্য পুরনের পরিকল্পনা

অভিজ্ঞদের সনাক্ত করুন:

আপনি যে বিষয় নিয়ে কাজ শুরু করতে চাইছেন সেই অঙ্গনে যারা সফল হয়েছেন তাদের কে সনাক্ত করুন আগে।
আপনি যে ক্ষেত্রে আছেন, সেই ক্ষেত্রের সবচেয়ে ভালো এবং অভিজ্ঞদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করুন

 অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিন:

ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার নকশা তৈরির পূর্বে সবচেয়ে ভালো কাজ হচ্ছে আপনার ক্ষেত্রের যারা অভিজ্ঞ আছেন তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নেয়া।
যেমন আপনি যে কাজ করতে চলেছেন সেই কাজে সফল হয়েছেন কিংবা আপনার চোখে সফল হয়েছেন এমন কারো পরামর্শ নিন।
আপনার ক্ষেত্রের অভিজ্ঞদের কাছ থেকে পরামর্শ নিলে, তাদের অভিজ্ঞতার কথা শুনতে চাইলে সেগুলো অনুসরণ করে আপনিও আপনার কাজে বেশ অভিজ্ঞ হয়ে দক্ষতার ছাপ রাখতে পারবেন।

 সাক্ষাৎকার এর জন্য অনুরোধ করুন:

অল্প কিছুদিন আগেও আমাদের দেশে একজন আরেকজনের সাথে দেখা করার জন্য কত ঝামেলা পোহাতে হতো তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু এখন প্রযুক্তির ব্যবহার এত পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে যে, একজন আরেকজনের সাথে দেখা করা এখন কোনো ব্যাপারই না। কারোর সাথে সাক্ষাৎকার এর দরকার হলে তাকে ই-মেইল এ জানিয়ে দিন যে তার সাথে আপনি দেখা করতে চান। এ ব্যাপারে তার সম্মতি আছে কিনা তা জেনে নিন। আর দেখা করার সময় বা সুযোগ না হলে অডিও বা ভিডিও কল এর সুযোগ তো থাকছেই।
তাই চেষ্টা করুন অন্তত একটি স্বাক্ষাতকারের।

 তাদের মতামত জানতে চান:

তাদের সাথে যোগাযোগের সময় জিজ্ঞেস করুন যে তাদের মতে সর্বোচ্চ গুণ বা দক্ষতার জন্য কোন কার্যকরী দক্ষতাগুলো সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিংবা তাদের মতে ঠিক কোন গুণগুলো একজনের থাকা উচিৎ। এছাড়া তারা তাদের জীবনে ঠিক কোন কোন গুণগুলোকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন সেগুলোও শুনে নিতে পারেন।

 ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার নকশা:

অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সাথে সাক্ষাৎকারের সময় নোট নিন। পরবর্তীতে সেই নোটগুলো দেখে তারা কী কী বলেছেন তা মনে করার চেষ্টা করুন এবং তারা যে অভিজ্ঞতাগুলোর কথা বলেছেন সেগুলো আলাদা করে সাজিয়ে লিখে ফেলুন।
সবার কাছ থেকে যে অভিজ্ঞতাগুলোর কথা জেনেছেন, আপনার ক্যারিয়ার প্ল্যানিং এ সেই সবগুলো অভিজ্ঞতাই যে কাজে লাগবে কিংবা দরকার হবে এমন কোনো কথা নেই। আপনার লক্ষ্য পূরণে যে অভিজ্ঞতাগুলো ক্যারিয়ার প্ল্যানিং এর জন্য সবচেয়ে বেশি সাহায্যকারী হবে সেগুলো বেছে নিতে হবে।
আপনি যদি উদ্যোক্তা হতে চান তবে যারা ইতিমধ্যে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করা শুরু করেছেন তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিন। সেক্ষেত্রে তাদের ব্যবসার উৎপাদন, উত্থান-পতন কিংবা কীভাবে বিভিন্ন দলকে পরিচালনা করতে হয় সেই অভিজ্ঞতাগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। সেগুলোকে পরে যখন যেভাবে লাগে সেভাবে কাজে লাগাতে পারবেন।

 জীবনচক্র অভিজ্ঞতা:

কোনো প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ক্ষেত্র পরিচালনা করা – প্রতিষ্ঠানের বিপর্যয়, নতুন কোনো উদ্যোগ নেয়া, স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে নেয়া ব্যবস্থা, প্রতিষ্ঠানের একটি উন্নয়নশীল অথবা পরিণত বাজার ব্যবস্থা পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা।

পরিচালনার অভিজ্ঞতা:

একটি নিম্নমানের দলকে পরিচালনা করে তার মানোন্নয়ন করা, একটি বড় দল পরিচালনা করা, এমন কোনো একটি দল পরিচালনা করা যেখানে প্রভাবিত করা গেলেও কর্তৃত্ব নেই এবং অনেক বেশী রাজনৈতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার অভিজ্ঞতা।
কেননা আজীবন তো আপনি একই জায়গায় থাকবেন না, বস হবার পরে তো এগুলি লাগবেই।
শুভ কামনা সবার জন্য
কাজ করছি লগো, ফেসবুক পেজ ও ই-কমার্স সাইট নিয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *