যেসকল কারনে অন্যদের চেয়ে আর্থিক স্বচ্ছলতায় পিছিয়ে থাকবেন- (পর্ব-০৬)

যন্তর-মন্তর,তন্তর ফুঁ, কন্টেন্ট পড়লে রাগ থাকবেনা বলে দিলাম হুঁ ✅
এই কন্টেন্ট হয়তো অনেককে রাগিয়ে দেবে – কিন্তু পৃথিবীর কোনও বাবার বা কোনও পাথরের সাধ্য নেই আপনাকে সফল করে বা আপনার বাজে সময় কাটিয়ে দেয়।এটা অন্তত আপনাকে মানতেই হবে। আর যদি মেনে থাকেন তাহলে আদতে লাভ আপনার,আমার নয়।
সৃষ্টিকর্তার কাছে আর্জি জানাতে কোনও মাধ্যম লাগে না। আর গ্রহ-নক্ষত্রের এত সময় নেই যে আপনার ভাগ্যের ওপর প্রভাব ফেলবে। ওগুলো কিছু জড় বস্তু, যাদের কোনও ইচ্ছা বা ক্ষমতা নেই।সবকিছু চলেই সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায়।
এসব ভাঁওতাবাজির পাল্লায় পড়ে মানুষের প্রচুর টাকা নষ্ট হয়। এসবের পেছনে টাকা নষ্ট করার বদলে সেগুলো নিজের দক্ষতা ও জ্ঞান বাড়ানোর কাজে লাগান – যাতে আপনি আপনার কাজের ক্ষেত্রে আরও ভালো হয়ে উঠতে পারেন। যদি নিজের কাজটা ভালোমত করতে পারেন – তাহলে এমনিতেই আর্থিক ও অন্যান্য অবস্থা ভালো হয়ে যাবে।
হাত দেখিয়ে জেনে নিতে চাইছেন আপনার ভাগ্যে কয়টা বউ হবে? নাকি কয়টা জামাই হবে? কত টাকার মালিক হবেন?
সব যদি এই পাথর আর যন্তর মন্তরেই হতো তাহলে তো হয়েই যেতো।
সৃষ্টিকর্তাকে নিজে নিজে ডাকুন। খাঁটি মন নিয়ে ডাকুন। তাহলে আত্মিক শান্তি মিলবে, আপনার আত্মবিশ্বাস আর ইতিবাচক চিন্তা করার ক্ষমতা বেড়ে যাবে।
যদি সময় খারাপ যায়, তাহলে সবার আগে নিজের দিকে তাকান। কোথায় ভুল করেছেন, সেটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে কোনও অভিজ্ঞ শুভাকাঙ্খীর পরামর্শ নিন। টাকা নষ্ট না করে তা সত্যিকার কাজে লাগান; সততা ও আত্মবিশ্বাসের সাথে নিজের কাজ করে যান, এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজের আর্জি নিজে জানান।
কোনও আংটি/পাথর বা তথাকথিত আধ্যাত্মিক জগতের ঐ ভাওতাবাজ মিডিয়ামদের চেয়ে এটা অনেক ভালো উপায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *