অভ্যাস পরিবর্তন করা একটি কঠিন কাজ। কিন্তু এই কাজটুকু করতে পারলেই ছোট ছোট ইম্প্রুভমেন্ট দেখা যায়,
আর এই ছোট ছোট ইম্প্রভমেন্ট গুলো সমষ্টিগত ভাবে ভাল ফলাফল এনে দেয়।
তাই যদি আমরা অনেক বেশি প্রোডাক্টিভ হতে চাই, আমাদের সময়কে বেস্ট ওয়েতে ইউটিলাইজ করতে চাই,
তাহলে আমাদের একটি ভাল ডিসিপ্লিন এবং প্রোডাক্টিভ অভ্যাস তৈরি করতে হবে।
আমি নিজে আমার জন্য কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে চাইছি,সেগুলি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চাইছি
ম্যানেজ করার জন্য একটি সুন্দর অভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।
১, নিজেকে প্রশ্ন করা, আমি কেন এই নতুন অভ্যাস তৈরি করতে চাচ্ছিঃ
যেকোন জিনিস শুরু করার আগে পরিষ্কার ধারনা থাকা দরকার আমি এটা কেন করতে চাচ্ছি।
যত পরিষ্কার ধারনা থাকবে, তত ভাল কর্মপরিকল্পনা করা সম্ভব।
যেমন আমি আমার অভ্যাস পরিবর্তন করতে চাচ্ছি, কেননা আমি বিশ্বাস করি, সুন্দর ডিসিপ্লিন লাইফ,
অনেক অল্প সময়ে অনেক বেশি কাজ করতে সাহায্য করে।
আমরা বেশির ভাগ সময় ১ ঘন্টার কাজ ৩ ঘন্টায় করি ডিসিপ্লিনের অভাবে।
কাজের মাঝে আমরা অনেক বেশি ডেস্ট্রাকটিভ ম্যাটেরিয়াল দিয়ে সারাউন্ডেড থাকি।
এর মধ্যে অনেকগুলো ডেস্ট্রাক্টিভ জিনিসকে চাইলেই সরিয়ে রাখা যায়, যেমন মোবাইল, সোশ্যাল মিডিয়া ইত্যাদি।
কিন্তু আমরা তো এগুলি কে অবিছেদ্য বানিয়েছি তাই ব্যাবহারের একটা সঠিক ওয়ে বের করতে হবে।
এখন প্রশ্ন হতে পারে, এই প্রশ্ন প্রতিদিন নিজেকে করার কী আছে?
কারন আছে, আমরা যে স্পীড নিয়ে কোন কিছু শুরু করি, তা সবসময় ধরে রাখতে পারিনা,
তাই আমাদের প্রতিদিন একই প্রশ্ন করার মাধ্যমে আমরা আমাদেরকে রিমাইন্ড করাতে পারি, যাতে আমরা ট্রাক থেকে হারিয়ে না যাই।
২, প্রায়রিটি সেট করে টু-ডু লিস্ট তৈরি করাঃ
প্রতিদিন আমরা অসংখ্য কাজের মাঝে জড়িয়ে থাকি, কিন্তু এর মধ্যে কিছু কাজ থাকে যা টপ প্রায়রিটি।
এই কাজগুলোকে আলাদা করতে না পারলে প্রোডাক্টিভ হওয়া কোন ভাবেই সম্ভব না।
আমাদেরকে প্রতিদিনের জন্য সবচাইতে গুরুত্বপুর্ন কাজ আলাদা করতে হবে। যা আপনাকে এনশিউর করতেই হবে যে টাইমের মধ্যে শেষ হয়েছে।
বাকিগুলো বোনাস, এবং বেটার অপশন হচ্ছে আগের দিন রাতেই তা রেডি করে রাখা,
অথবা সকালে উঠেই সবার প্রথমেই সেই দিনের কর্ম পরিকল্পনা রেডি করে ফেলা।
সকালে ঘুম থেকে উঠার পর ব্রেইন যতো রিল্যাক্স থাকে, দিন গড়ার সাথে সাথে ব্রেইন ততোই ক্লান্ত হতে থাকে।