৩,পর্যাপ্ত ঘুমঃ
টেকনোলজির এই যুগে টিকে থাকতে হলে দরকার হয় ক্রিয়েটিভিটির।
এবং ক্রিয়েটিভিটির জন্য আমাদের ব্রেইনকে পর্যাপ্ত রেস্ট দিতে হবে। অনেকটা ডিভাইসের রিস্টার্টের মত।
ডিভাইস হ্যাং করেছে, সমাধান কী?
রিস্টার্ট দেয়া। আমাদের রিস্টার্ট হচ্ছে ঘুম। একটানা ৬-৮ ঘন্টা ঘুমালে রিস্টার্ট দেয়ার কাজ হয়ে যায়।
কারো ক্ষেত্রে একটা ৬-৮ ঘন্টা ঘুমালেই হয়, আবার কারো হয়ত দুই বারে ঘুমাতে হয়, রাতে একটু এবং দিনে একটা ছোট ঘুম। আরো একটি মজার বেপার হচ্ছে ভোরে ঘুম থেকে উঠা।
ভোরে উঠতে পারলে সকাল ১০ টার মধ্যেই দেখবেন অনেক কাজ শেষ।
৪, স্কীল ডেভেলপমেন্টের জন্য ১ ঘন্টা সময় ডেডিকেটেড ভাবে রাখাঃ
কাজ বেশি থাকবে, কম থাকবে। এখান থেকে বের হবার সুযোগ নেই। তবে একটু গুছিয়ে করলে, হয়তো সময় বের করা সম্ভব। আমাদের অভ্যাসের মধ্যে প্রতিদিন কমপক্ষে ১ ঘন্টা সময় থাকা উচিত যেটাকে আমরা আমাদের স্কীল ডেভেলপমেন্টের জন্য কাজে লাগাবো।
-
এটা হতে পারে কোন বই পড়া, ব্লগ পোস্ট পড়া, পিডিএফ পড়া, ইন্ডাস্ট্রি ইনসাইট অথবা কেস স্টাডি।
-
হতে পারে ভিডিও দেখা, পডকাস্ট/অডিও বুক শুনা।
-
হতে পারে কোন ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্টের সাথে সময় কাটানো।
মুল কথা হচ্ছে রেগুলার কাজের ফাকে একঘন্টা সময় আলাদা করে রাখা, যেটাকে আমরা আমাদের ডেইলিং লার্নিং এর অংশ হিসেবে ইউটিলাইজ করবো।
৫, প্রতিদিন অন্তত এক ঘন্টা হাটা/ব্যায়াম করাঃ
আমরা অনেক পরিশ্রম করি আমাদের বেটার ফিউচারের জন্য, এবং বেটার ফিউচার ফিটনেস ছাড়া কল্পনা করা যায় না। আমরা যদি শারিরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পরি, বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে যাই তাহলে প্রফেশনালি অনেক সফল হবার পরেও সফলতা সেলিব্রেট করা যাবে না। আমরা যারা অনলাইন সেক্টরে কাজ করি, আমাদের হাটাচলা খুবই কম হয়, যা আসলেই খুব চিন্তার বিষয়। আমি নিজেও আমাকে নিয়ে চিন্তিত। তাই আমাদের প্রতিদিনের কাজের রুটিনের সাথে সাথে এক ঘণ্টা হাটা/ব্যায়াম করার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।
মজার বেপার হচ্ছে আপনি কিন্তু হাটতে হাটতে পডকাস্ট/অডিও বুক শুনতে পারেন। তারমানে, হাটা এবং স্কীল ডেভেলপমেন্ট এক সাথে।
৬, পার্ফরমেন্স ট্রাক করাঃ
আমরা আমাদের কাজ গুলো ঠিক ভাবে করছি কিনা এটা বের করাও জরুরি। আমরা এক্সেল, অথবা কোন প্রজেক্ট/টাস্ক ম্যানেজমেন্ট টুলস ব্যাবহার করতে পারি, যেখানে দিন শেষে আজ সারাদিন কী কী করার কথা ছিল এবং কতটুক হয়েছে সেটা দেখতে পারবো।
যেমনঃ