যে কারনে আপনার জীবনে আসিতে পারে আর্থিক অস্বচ্ছলতা – পর্ব ০২

আজকাল আমাদের দেশে ক্রেডিট কার্ড একটা সামাজিক স্ট্যাটাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এটি আসলে একটি বিরাট ফাঁদ,যা আমাদের অগোচরেই ক্ষতি করছে আমাদের।

যে লাইফস্টাইল মেইনটেন করার সত্যিকার সামর্থ্য মানুষের নেই, সেই লাইফস্টাইলে অভ্যস্ত করে মানুষকে ঋণের জালে আটকে ফেলাই মূলত ক্রেডিট কার্ড কোম্পানীগুলোর উদ্দেশ্য।

এই গর্তে একবার পড়লে মানুষ শুধু গভীর থেকে গভীরেই চলে যেতে থাকে, সেখান থেকে উঠে আসার কোনও পথই থাকে না।

যেই রেস্টুরেন্টে বিল দেয়ার সামর্থ্য নেই, সেই রেস্টুরেন্টে খেতে, যে ডিভাইস কেনার সামর্থ্য নেই – সেই ডিভাইস কিনতে উৎসাহিত করে এই ক্রেডিট কার্ড। টাকা খরচ করার সময়ে বুঝতেও পারে না – এই টাকা তাকে শোধ করতে হবে।

আপনি যখনই ঋণের জালে আটকে যাবেন, তখন আর নিজের জন্য কাজ করবেন না। তখন কাজ করবেন ক্রেডিট কার্ড কোম্পানীর জন্য।

এটা আসলে একটা মোহ,ভাবুন খুব ভালো করে,আমি লেখার শেষে ব্যাখ্যা দিব।

বিপদে আপদে বা ইমার্জেন্সীতে ধার করা যেতে পারে – কিন্তু লাইফস্টাইল মেইনটেন, বা সামর্থ্যের বাইরে কেনাকাটার জন্য ধার করা মানে টাকা নষ্ট করা। এই অভ্যাস একবার হয়ে গেলে দরকারের সময়ে টাকা হাতে থাকবে না।

কাজেই, ক্রেডিট কার্ড রাখলে সেটা ইমার্জেন্সীর কথা মাথায় রেখে রাখতে পারেন – কিন্তু সেটা দিয়ে বাজে খরচ করলে ফাঁদে পড়ে যাবেন।

আপনার ওয়ালেটে যদি ৫০০০ টাকা থাকে তবে আপনার চাহিদা ৫০০০ এর মত হবে,আর ওয়ালেটে ৫০০০০ থাকলে আপনার চাহিদা ৫০০০০ এর মত হবে।বিশ্বাস না হয় আজ বাইরে যেয়ে এটা পরখ করে দেখুন।

শখের বসে একটা শোরুমে গেলে হাতঘড়ি দেখতে,হঠাত পছন্দ হয়ে গেলো আর আপনার মন আপনাকে কনভেন্স করলো এটা কেনা উচিত,কারন টাকা খরচ হচ্ছেনা।ক্রেডিট কার্ড থেকে দিব আর সেটা ১২ মাস ধরে শোধ দিব।কত শান্তির ব্যাপার।

আমি নিজেই আমার ক্রেডিট কার্ড এই মাসে ফেরত দিয়ে দিব,ভিসা ও মাষ্টারকার্ড রাখছি সেটাও বুষ্টিং পারপাসে।