অনেকেই বলেন রমজানে রোজা রেখে পূর্ণ মাত্রায় কাজ করা যায় না। এটা আসলে পুরোপুরি ঠিক নয়। কিছু বিষয় মেনে চললে রোজা রেখেও পূর্ণ মাত্রায় পারফর্ম করা যায়। আসলে আমরা রোজা রাখি ঠিকই, কিন্তু রোজার উপকারিতাগুলো পুরোপুরি নিতে পারি না। রোজার আধ্যাত্মিক লাভের পাশাপাশি অনেক পার্থিব লাভও রয়েছে। আল্লাহ রব্বুল আলামীন রোজার আমাদের পরকাল এবং ইহকাল – দুই জীবনের কল্যান রেখেছেন।
রমজানের রোজা যদি আমরা আসলেই সত্যিকার সংযম ও নিয়েমের মাধ্যমে করতে পারি, তবে পরকালীন মুক্তি তো মিলবেই – সেইসাথে পার্থিব ভাবেও আমরা লাভবান হব। আমাদের শারীরিক ও মানসিক – সব দিক দিয়েই উন্নতি হবে। আর কাজের পারফর্মেন্স কমে যাওয়ার বদলে বরং বেড়ে যাবে।
রমজানে ঠিকমত রোজা না রাখলে ইফতারের পর খুব বেশি দুর্বল লাগা, দিনের বেলা পানিশূণ্যতা, কোনওকিছুতেই দীর্ঘ সময় মনোযোগ রাখতে না পারা, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া – ইত্যাদি সমস্যা হয়। এবং এর প্রতিটিই কাজের পারফর্মেন্সে ব্যাঘাত ঘটায়। এই লেখার পরামর্শগুলো মেনে চললে এগুলো থেকে অনেকটাই বেঁচে থাকতে পারবেন।
তবে, আপনি যদি আউটডোরে রোদের ভেতরে পরিশ্রমের কাজ করেন – তবে রোজা রাখা অবস্থায় হয়তো পুরো মাত্রায় পারফর্ম করতে পারবেন না। কিন্তু যদি অফিসিয়াল কাজ করেন – তবে মোটামুটি ভাবে পুরো মাত্রায় পারফর্ম করা খুবই সম্ভব।
নিচের কয়েকটি পরামর্শ আপনাকে এই ব্যাপারে সাহায্য করবে। পরামর্শগুলো মুসলিম বিশ্বের বেশ কয়েকজন নাম করা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের রেফারেন্স অনুযায়ী সাজানো হয়েছে।
সময়মত নামাজ ও এবাদত করুন
খাবারের ব্যাপারে সচেতন হোন
পর্যাপ্ত ঘুমান
টানা কাজ না করে মাঝে মাঝে বিরতি নিন
সারাদিন না খেয়ে থাকলে শরীর একটু দুর্বল হবেই। কিন্তু সঠিক নিয়ম মেনে চললে এটা সত্ত্বেও ভালোভাবে কাজ করা যায়। এই ধরনের পরামর্শ অনেকেই পাত্তা দিতে চান না। কিন্তু তাঁরা বুঝতেও পারেন না এটা তাঁদের স্বাস্থ্য ও কাজের ওপর কতটা খারাপ প্রভাব ফেলছে।
এই লেখায় যে পদ্ধতিগুলো বলা হয়েছে – এগুলো মেনে চলে অনেকেই উপকৃত হচ্ছেন। আপনিও কেন তাঁদের একজন হতে পারবেন না? নিয়মগুলো মানা শুরু করলে আপনি নিজেই পরিবর্তনটা ধরতে পারবেন। রোজা থেকেও যদি পূর্ণ মাত্রায় কাজ করতে পারেন – তবে তা আপনারই লাভ।