রাতের রুটিন যেমন হওয়া উচিত (বাসায় ফিরে)- পর্ব ০৩
যত তাড়াতাড়ি পারেন বাসায় ফিরুন
জরুরী কাজ না থাকলে অফিস/ক্যাম্পাস/কাজ শেষে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব – বাসায় ফিরে আসুন। যত জলদি ঘরে ফিরতে পারবেন – তত জলদি মূল রাতের রুটিন শুরু করতে পারবেন। যোগাযোগ ও সম্পর্ক রক্ষার জন্য মাঝে মাঝে বন্ধু বা কলিগদের সাথে বাইরে সময় কাটালেও, সেটা যেন রুটিন হয়ে না যায়।
বাসায় ফিরেই প্রথমে হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হোন। এতে ক্লান্তি অনেকটা দূর হয়ে যাবে।
রাতে হাল্কা খাবার খান, এবং তাড়াতাড়ি খান
রাতের খাবার যদি বেশি ভারী হয়, তবে তা হজম হতে সময় লাগে, এবং ঘুমে তা যথেষ্ঠ ব্যাঘাত ঘটায়। শরীর ভারী হওয়া এবং আলস্য হওয়ার প্রধান একটি কারণও রাতে বেশি ও ভারী খাবার খাওয়া, এবং দেরি করে রাতের খাবার খাওয়া।
সবচেয়ে ভালো হয় রাতে যদি কম ক্যালোরি যুক্ত খাবার খেতে পারেন। চর্বি ও ডুবো তেলে ভাজা খাবার একদমই না খাওয়ার চেষ্টা করুন। রুটি আর সব্জী খেতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। এবং এই খাবারটি যদি ৮টার মধ্যে খেয়ে ফেলতে পারেন – তবে তা ঘুম ও স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে ভালো। মাঝে মাঝে দাওয়াত এড়াতে না পারলে ভারী খাবার খাওয়া হয়েই যায়। কিন্তু সেখানেও যতটা পারা যায় কম খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। যতটা সম্ভব রাতের খাবারের এই রুটিন মেনে চলার চেষ্টা করুন।
পরের দিনের জন্য নিজেকে গোছান
সকালে উঠে সময় নষ্ট হওয়ার প্রধান একটি কারণ হল দিনের পোশাক, খাবার, ব্যাগ গোছানো – ইত্যাদি করতে যাওয়া। এতে সময়ের পাশাপাশি এনার্জি নষ্ট হয় – যা আপনি সত্যিকার কোনও কাজে লাগাতে পারতেন।
পরদিন সকালে উঠে আপনার যেসব জিনিস আগে প্রয়োজন হবে – সেগুলো আধাঘন্টা সময় নিয়ে গুছিয়ে ফেলুন। ব্যাগে কি কি জিনিস নেবেন, কি পোশাক পরবেন, লন্ড্রীতে কিছু দিতে হবে কি-না – ইত্যাদি কাজ গুছিয়ে ফেলুন। এতেকরে, সকালে আপনি অনেক রিল্যাক্সড থাকতে পারবেন এবং আপনার দিনটা অনেক গোছানো ভাবে শুরু হবে। এমনকি সকালে কি নাস্তা করবেন – সেটাও সম্ভব হলে রাতে ঠিক করে রাখুন।
অনেক সফল মানুষই এই কাজটি করেন, যাতে তাঁরা সকালে সত্যিকার প্রোডাক্টিভ কাজ ও ভাবনার জন্য এনার্জি ও সময় পান। সকালের রুটিন ঠিক রাখতে হলে রাতের রুটিন এর এই অংশটি ভালো করে মেনে চলুন।