রাতের রুটিন যেমন হওয়া উচিত (বাসায় ফিরে)- পর্ব ০৪

রাতের রুটিন যেমন হওয়া উচিত (বাসায় ফিরে)- পর্ব ০৪
রাত জেগে বিনোদন করবেন না
দিনে কাজ করার পাশাপাশি মানসিক ভাবে একটু হাল্কা হওয়ারও দরকার আছে। একটু সিনেমা/টিভি দেখা বা গেম খেলায় দোষের কিছু নেই। কিন্তু সেটার যেন নির্দিষ্ট সময় থাকে। ছুটির দিন ছাড়া লম্বা সময়ের সিনেমা না দেখাই ভালো। এক ঘন্টার বেশি টিভি দেখা বা গেম খেলা আপনার সময় নষ্ট করার সাথে সাথে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতার ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। কাজেই, এক ঘন্টার বেশি টিভি বা সিনেমা না দেখাই ভালো।
মাঝে মাঝে হয়তো কাজ বা পড়াশুনার খাতিরে রাত জাগতে হতে পারে – কিন্তু চেষ্টা করুন, রাত জেগে কাজ না করে সকালে আরেকটু তাড়াতাড়ি উঠে তা শেষ করার।
ঘুমানোর এক ঘন্টা আগে:
স্ক্রীণ থেকে চোখ সরিয়ে নিন
ঘুমানোর অন্তত এক ঘন্টা আগে ফোন/কম্পিউটার/টিভি – অর্থাৎ যে কোনও ধরনের স্ক্রীণ থেকে চোখ সরিয়ে নিন। এইসব ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে নির্গত আলো “মেলাটোনিন” হরমোনের নি:সরণকে বাধাগ্রস্থ করে। গভীর ও তৃপ্তিদায়ক ঘুমের জন্য এই হরমোর নি:সরণ হওয়া জরুরী।
আপনার হয়তো এমন হয়েছে যে, রাতে অনেক ঘুমিয়েও সকালে এনার্জি পাচ্ছেন না, অথবা চোখ জ্বালাপোড়া করছে, অথবা মাথায় চাপা ব্যাথা হচ্ছে – তাহলে সম্ভবত আপনি ঘুমানোর আগে আগে স্ক্রীণের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। – এতেকরে সকাল থেকেই ক্লান্ত লাগবে এবং মেজাজ খারাপ থাকবে। সোজা কথায়, আপনার দিনটাই খারাপ যাবে।
বই পড়ুন
ঘুমানোর আগে স্ক্রীণের দিকে তাকিয়ে থাকা যতটা খারাপ, কাগজের বই পড়া ততটাই ভালো। মাত্র ৬ মিনিট বই পড়লে মানুষর শরীর ও মন অনেক শান্ত হয়ে যায়। কারণ ছাপার অক্ষর নার্ভ বা স্নায়ুকে শিথিল করে। এছাড়া আপনি যদি আপনার কাজের বা পড়াশুনার ক্ষেত্রের বইয়ের সামান্য একটু অংশও এই সময়ে পড়েন – তবে সেটা মেমোরিতে খুব ভালো সেট করবে।

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *