লক্ষ্য ঠিক করছি কিন্তু ব্যার্থ হচ্ছি, এমন যারা তাদের জন্য লেখা সমাধান – শেষ পর্ব

যারা প্ল্যানিং করছেন কিন্তু লক্ষ্যে পৌছাতে পারছেন না, এই পোষ্ট তাদের জন্যই।
 
✅ একটি প্রকৃত চ্যালেঞ্জ খুঁজে বের করুন
আপনার লক্ষ্যকে বাধ্যতামূলক এবং অর্জনযোগ্য করুন – এবং অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং। দুর্দান্ত মেধার অধিকারিদের চ্যালেঞ্জ প্রয়োজন, অন্যথায় একঘেয়েমি পেয়ে বসবে এবং আপনার পরিকল্পনা ব্যর্থ হবে। আপনার লক্ষ্যের ব্যপারগুলো লিখে রাখুন।
✅ ইতিবাচক মানসিক সংযোজক স্থাপন করুন।
এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য যে ইতিবাচক ব্যপারগুলো আপনাকে সাহায্য করবে, তার একটি তালিকা তৈরি করুন। অস্পষ্ট নেতিবাচক বিবৃতি থেকে দূরে থাকুন যেমন “আমি কম চিন্তা করে থাকি।” যে ব্যপারগুলো আপনার মাঝে উত্তেজনা তৈরী করে, তার সন্ধান করুন। অবশ্যই কিছু একটা ফলাফল আসবে যেটা আপনাকে উদ্দীপনা্র সঙ্গে সানন্দে সামনে নিয়ে যাবে।
✅ একটা দৃশ্যগত উপস্থাপনা তৈরি করুন।
আপনার ফলাফল প্রতিনিধিত্বকারী ইমেজ তৈরি করুন। যদি রাজস্ব বৃদ্ধি বলতে বোঝায় আপনি একটি পরিবার অবকাশ গ্রহণ করতে পারেন তাহলে একটি আদর্শ অবকাশ বোঝায় এমন একটি ছবি তৈরি করুন। যদি আপনার কাঙ্খিত গ্রাহকদের পেতে আপনাকে কোন পরিবেশকদের সাথে কাজ করতে হয়, তবে আপনি এ অনুযায়ী লোগো বা দোকানের সম্মুখ তৈরি করুন। আপনার ইমেজটি কেটে একটি পোস্টার তৈরি করুন এবং ঝুলিয়ে দিন।
✅ সবার সাথে আলোচনা করুন।
কোম্পানির লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে যারা (প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী, পরিবেশক, সরবরাহকারী ইত্যাদি) গুরুত্বপূর্ণ, তাদেরকে লক্ষ্য নির্ধারণ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করুন। তাদেরকে এ প্রক্রিয়াতে যুক্ত হতে সাহায্য করুন। তাদের জিজ্ঞেস করুন এই লক্ষ্য দিয়ে তারা কি বুঝেন এবং তারা এতে নতুন কিছু যোগ করতে পারেন কিনা?
✅ ধৈর্যধারণ করুন।
সবকিছুর পরে, আপনাকে এই লক্ষ্য অর্জনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সময় দিতে হবে। লক্ষ্য অর্জনের জন্য ধাপ গুলো বুঝতে সময় নিন এবং কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনের ফলাফল নিয়ে ভাবুন। এটা প্রতিদিন করুন। আপনি ফলাফল নিয়ে যত উৎসাহী হবেন আপনার কাজে তত আগ্রহ তৈরি হবে। অবশ্যই কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রতিটি ধাপ চিহ্নিত করুন। উদ্যোক্তারা প্রায়ই এটা ভুলে জান। সফলতা উদযাপন করুন। যে শক্তি আপনাকে এই কাজে এনেছে, তাকে আবার নিয়ে আসেন। লক্ষ্য অর্জনের সাথে একে যুক্ত করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *