১। লোগো ছোট সহজ দৃস্টিনন্দন সৃজনশীল ও শিল্পমান সম্পন্ন হওয়া উচিত।
২। লোগো এক কালারের হলে সেটা আদর্শ তবে । দুই কালার হতে পারে।
লোগোতে ২ কালারের বেশী ব্যবহার করা ঠিক নয়।
এতে কালার ম্যাচিং ও প্রিন্টিং কাজে জটিলতা বৃদ্ধি পায়।
বড়ো বড়ো কোম্পানীগুলো এক কালার লোগো ব্যবহার করে থাকে।
৩। রং ঠিক করা খুব গুরুত্বপূর্ণ ।
ব্যবসার ধরণ বা পন্যের সাথে মিলিয়ে রং ঠিক করা ভালো।
যে রংই হোক সেটা যেন আবার ২ রং এর বেশী মিশ্রণ না হয়।
মনে রাখবেন। প্রেসে রং হলো চারটি: সিএমওয়াইকে CMYK, ছায়ান বা হালকা আকাশী,
মেজেন্ডা বা গোলাপী, ইয়েলো বা হলুদ আর কালো বা ব্লাক। এই রংগুলোর মিশ্রনে অন্য রং তৈরী হয়।
যেমন হলুদ এবং মেজেন্ডার মিশ্রণে তৈরী হয় লাল। ঠিক এই ফরম্যাটে ইলাস্ট্রেটর এর কালার ফরম্যাট সাজানো।
৪। লোগো কখনো ফটোশপে ডিজাইন করা উচিত নয়।
কোনো ডিজাইনের যদি ফটোশপে লোগো ডিজাইন করে তাহলে হয়তো
সে প্রিন্টিং প্রযুক্তি সম্পর্কে অজ্ঞ অথবা সে আপনাকে ঝামেলায় ফেলার জন্য একটা বুদ্ধি বের করেছে।
কারণ ফটোশপের লোগোটি বড়ো করতে গেলে ঝামেলা হতে পারে।
৫। লোগো অবশ্যই ইলাস্ট্রেটরে ডিজাইন করে ফাইলটি ক্রিয়েট আউটলাইন করে ভেক্টর ফাইল
আকারে সংরক্ষণ করতে হবে।ফটোশপ ফাইলের ঝামেলা হলো যখন আপনি লোগোটি বড়ো করে
একটি বিলবোর্ড এর জন্য তৈরী করবেন তখন এটি ফেটে যেতে পারে।
তাছাড়া যেহেতু প্রিন্টের আগে যেকোনো কাজ ইলাস্ট্রেটর ফরম্যাটে আউটপুট দিতে হয়।
সেহেতু ফটো এডিটের কাজ না থাকলে ইলাস্ট্রেটরে ডিজাইন করাই ভালো।
৬। ডিজাইনের পর লোগোটির কয়েকটি ফরম্যাট সংরক্ষণ করবেন। যেমন .ai, .pdf, .eps, .png ইত্যাদি।
পিএনজি করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন কোনো ব্যাকগ্রাউন্ড না থাকে। এমনকি সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডও না। ব্যাকগ্রাউন্ড থাকবে স্বচ্ছ।
আশা করি মোটামুটি বুঝে গেছেন লোগো খাওয়া কিংবা মাথায় দেওয়ার জিনিস না।
আপনার মুখ দেখলে আপনার পরিচিত লোক যেমন আপনার চরিত্র সম্পর্কে চট করে বুঝে যায়,
ঠিক তেমনি পরিচিত ব্যক্তিরা লোগো দেখলে কোম্পানির সেবা সম্পর্কে পুরো ধারনা পেয়ে যায়।
পরিচিত বললাম এই কারণে যে, অ্যাপল কোম্পনি সম্পর্কে আগে থেকে কেউ না জানলে যে কেউ মনে করতে পারে
এই কোম্পানি মনে হয় আপেল বিক্রি করে কিংবা চাষ করে।