লোগো ডিজাইন শুরু করার আগে বেশ কিছু প্রস্তুতির বিষয় রয়েছে।ভালোভাবে ব্র্যান্ড বা কোম্পানির বিষয় আশয় বুঝে নিতে হবে।
ব্রান্ড / কোম্পনির কাজ সম্পর্কে ধারনা
কোম্পানির অডিয়েন্স সম্পর্কে ধারনা
ব্রান্ড কালার সম্পর্কে ধারনা
কি ধরনের লগো চাইছেন সেটি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা
কনসেপ্ট ডেভেলপমেন্ট
ব্রান্ড / কোম্পানির কাজ সম্পর্কে ধারনা
লোগো দেখতে শুধু সুন্দর হলে হবে না, এতে ব্র্যান্ডের ম্যাসেজও থাকতে হবে। যাতে এটি কোম্পানির পণ্য বা সেবা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণাও দেবে। লোগো ডিজাইনের সময় শুধু সুন্দর একটি লোগো বানাবেন তা নয়। যাতে সিম্বলটির মধ্যে একটি ব্র্যান্ডের ম্যাসেজ লুকিয়ে থাকে। যাতে সবার সামনে একটি গ্রাফিক সিম্বল দিয়ে প্রকাশ করার চেষ্টা করেন একজন লোগো ডিজাইনার।তাই কোম্পানির পন্য ও সেবার বিষয় সম্পর্কে ডিজাইনার কে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে।
কোম্পানির অডিয়েন্স সম্পর্কে ধারনা–
পন্যের অডিয়েন্স বা ক্রেতা এবং ব্রান্ড টির ব্যবসায়িক এরিয়া সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে। তাই লোগো ডিজাইন করার পূর্বে ওই ব্র্যান্ডের অডিয়েন্স কারা হবে তা জানতে রিসার্চ করতে হবে। এ বিষয়গুলো ক্লায়েন্টের কাছে শুরুতে ভালো মতো জেনে নিতে হবে। আপনার কাছে যেটা সেরা, সেটা তার কাছে নাও হতে পারে।
ব্রান্ড কালার সম্পর্কে ধারনা-
দেশ, জাতি, বর্ণভেদে লোগোর ডিজাইনও পরিবর্তন হবে। যেমন আমাদের দেশে লাল সবুজ অনেক জনপ্রিয় রং। তার মানে এই নয় যে এটি পশ্চিমা বিশ্বেও জনপ্রিয়। তাদের নিজস্ব কিছু জনপ্রিয় বিষয় রয়েছে যা ডিজাইন শুরুর পূর্বে জানতে হবে। ব্র্যান্ডের আদ্যপ্রান্ত জেনে নিন।
কি ধরনের লগো চাইছেন সেটি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা-
কত প্রকারের লগো আছে সেই সম্পর্কে পোষ্ট করবো আগামী পোষ্টে।
কিন্তু একটু বলি – কোম্পানি আসলে কি ধরনের লগো চাইছে সেটা জানুন।
টাইপোগ্রাফিক্যাল নাকি আইকনিক?
যেমন- SAMSUNG নাকি Bkash?
এখানে SAMSUNG হলো টাইপোগ্রাফিক্যাল আর Bkash হলো আইকনিক। কোম্পানি তার পন্য কে কিভাবে উপস্থাপন করতে চাইছে সেটা জানাতে হবে ডিজাইনার কে।
কনসেপ্ট ডেভলপমেন্ট-
লোগো ডিজানের স্কেচ শুরুর আগে ক্লায়েন্টের ব্র্যান্ডের পেছনে কিছু সময় ব্যয় করুন। ক্লায়েন্ট কোন দেশের নাগরিক? তারা কি করে? তাদের মতাদর্শইবা কি?ক্লায়েন্ট যদি পূর্বে কোনো লোগো ডিজাইন করিয়ে থাকে তাহলে সেগুলোও আগে দেখে নিন। কি ধরণের লোগো ক্লায়েন্ট রিজেক্ট করেছে, কেন করেছে বা কি ধরণের লোগো পূর্বে ক্লায়েন্ট সিলেক্ট করেছে- এসব কিছু জেনে নিন ডিজাইন শুরুর পূর্বেই। ক্লায়েন্টের রুচিবোধ সম্পর্কে তাহলে অনেকটা ধারণা চলে আসবে এবং খুব দ্রুত কাংখিত লোগো ডিজাইন করা যাবে।
মাথায় রাখতে হবে ডিজাইনার কে লগো তৈরি করতে গেলে আপনার ওয়েষ্টেড পেপার গুলা ও সাথে রাখুন। পরবর্তীতে কোন লিড পেলেও পেতে পারেন।